হাতিয়া দ্বীপের অহঙ্কার নিঝুম দ্বীপ। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হিসেবে দ্বীপটির খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বে। সাম্প্রতিক সময়ে বনদস্যুদের উৎপাতে নিঝুম দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ ধ্বংসের মুখে। স্থানীয় ভূমি দখলকারী ও বনদস্যুরা রাতের আঁধারে উজাড় করছে সবুজের লীলাভূমি নিঝুম দ্বীপের বনায়ন। নষ্ট করছে জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য। একদিকে সরকারি বৃক্ষনিধন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে উজাড় হওয়া বনভূমি দখল করে সেগুলো বিক্রি করেও হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
গতকাল সোমবার বিকেলে নিঝুম দ্বীপ বিট কর্মকর্তা-কর্মচারিরা গেজেটভুক্ত সংরক্ষিত বন ও জাতীয় উদ্যান ছোঁয়াখালী এলাকায় টহলে বের হলে ৪০-৪৫ জনের দলবদ্ধ বনদস্যু লোহার রড, রামদা, কিরিছ ও দেশীয় অস্ত্রসহ নির্বিচারে গাছপালা-ঝোঁপঝাড় কেটে পাচার করতে দেখেন। এ কাজে বাধা দিতে গেলে উল্টো কিরিছ উচিয়ে বনদস্যুরা বিট কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর চড়াও হয়। পরে নিঝুম দ্বীপ তদন্ত কেন্দ্রের টু আইসি-এর কাছে মোবাইল ফোনে সাহায্য চাইলে তিনি ফোর্সসহ বিট কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্ধার করেন।
বিট অফিসার জানান, এসময় বনদস্যুরা প্রায় ১০ একর জমির বন উজাড় করে।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার চরওসমান বিট অফিসার মোঃ হাসান আল তারিক বাদি হয়ে হাতিয়া থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুধু আজ একদিন নয় এভাবেই বছরের পর বছর চলছে নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যানের ধ্বংস লীলা। বনবিভাগ কিংবা প্রশাসন যেন তাদের কাছে অসহায়। তাদের অভিযোগ দলীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে একাজ। দু’একটি জিডি কিংবা মামলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সূত্র : নয়া দিগন্ত