Skip to content

বেলা শেষে সাগুফতায়

সামছুর রহমান
মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার প্রবেশমুখে কালশী নতুন সড়কে বিকেলে ঘুরতে আসেন অনেকেই। সড়কটির ঢালেই নাগরদোলাকে কেন্দ্র করে ভিড় জমে শিশুদের। ছবিটি গতকাল বিকেলে তোলা l সাইফুল ইসলামপরিবার নিয়ে পুরান ঢাকা থেকে মিরপুর ১১ নম্বরে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন বাবুল আকতার। সেখানে এসে শুনলেন মিরপুর ডিওএইচএসের সাগুফতা এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা। দিনের কাঠফাটা রোদ কমতেই চলে এসেছেন সপরিবারে।

Saguftaবাবুল আকতার বললেন, ‘নিরিবিলি, গাছগাছালি আর একটু বসার জায়গা আছে, তাতেই কত মানুষ বেড়াতে আসছে। ঢাকায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়া যায় এমন জায়গা তো খুব বেশি নেই। এখানে এসে ভালোই লাগছে।’

কালশী থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত সংস্কার হওয়া নতুন রাস্তার পাশে কিছুটা ফাঁকা জায়গা এবং ঝিল থাকায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসছেন। মূলত নতুন রাস্তায় পল্লবী ডি ব্লকের এক নম্বর সড়কের সামনে অবস্থিত মিরপুর আর্মি ক্যাম্প ক্যানটিন থেকে মিরপুর ডিওএইচএসের প্রবেশমুখ পর্যন্তই লোকজনের আনাগোনা বেশি। এ জায়গাটি অনেকের কাছে ‘সাগুফতা’ নামেও পরিচিত।

শরতের শেষার্ধেও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। সবুজের সমারোহ, ফাঁকা প্রান্তর, কাশফুলের টানে গরমে অতিষ্ঠ লোকজন চলে আসছেন সাগুফতায়। গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, বিকেল ঘনাতেই দল বেঁধে লোকজন ঘুরতে আসছেন। রোদের তেজ কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়াতে আসা লোকজনের সংখ্যাও বাড়ছে।

কালশী সড়ক ধরে মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে কিছুটা এগিয়ে এলে ফাঁকা জায়গায় বসেছে নাগরদোলা। ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ তোলা নাগরদোলায় চড়তেও সারি দিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পাশেই ঘোড়ার পিঠে করে দুই চক্কর ঘোরারও ব্যবস্থা আছে। বেলুন, খেলনার দোকান মিলিয়ে পুরো জায়গায় এসেছে গ্রামীণ মেলার আমেজ।

চটপটি-ফুচকা, গোলা আইসক্রিম, পপকর্নসহ নানা ধরনের খাবারের অন্তত ৫০টি অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে এখানে। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হলেও এ এলাকা সরগরম থাকে। চটপটি-ফুচকা বিক্রেতা মো. ইমন বলেন, শুক্রবার ও ছুটির দিনের বিকেলে বেশি লোকজন আসে। আগে আশপাশের এলাকার লোকজনই বেশি আসত, ইদানীং বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে।

সড়কের পাশের ফাঁকা জমিতে ফুটেছে সাদা কাশফুল। কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে অনেকেই ঢাল বেয়ে নিচে নামছেন। বাচ্চারা ঘুরছে তুলে আনা কাশফুল হাতে। মিরপুর ৬ নম্বর থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন জুলফিকার আলম। বললেন, ‘প্রায়ই বিকেলে এখানে চলে আসি। বাচ্চা কাশফুল দেখে খুশি হয়।’

ঘোরাঘুরি শেষে দেশি-বিদেশি খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ আছে সাগুফতা এলাকায়। ডিওএইচএসের প্রবেশমুখে গড়ে উঠেছে একাধিক দোকান। পাশেই আছে কফির দোকান। প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত শরীর শীতল করতে দুই চুমুক দিতে পারেন কোল্ড কফি কিংবা মিল্কশেক।

মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে নেমে কিংবা কালশী নতুন রাস্তার মোড়ে নেমে রিকশায় যেতে পারবেন সাগুফতায়। পরিবার নিয়ে লোকজন ঘুরতে আসায় আর্মি ক্যানটিনের সামনে দাঁড়ানো রিকশাচালকেরা বেশি ভাড়া আদায় করেন বলে ঘুরতে আসা লোকজন অভিযোগ করেন। পল্লবী ডি ব্লক থেকে মিরপুর ১০ নম্বরের ভাড়া ৫০ টাকা হলেও আর্মি ক্যানটিনের সামনে থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৭০ টাকা। সৌজন্যে : প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *