বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ১২টি ভারতীয় ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) আছে।
সেগুলো হলো- গুলশান (ঢাকা), মতিঝিল (ঢাকা), মিরপুর রোড (ঢাকা), উত্তরা (ঢাকা), যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর এ অবস্থিত।
ট্যুরিস্ট (টি) ভিসা ব্যতীত সব ধরণের ভারতীয় ভিসা ওয়াক-ইন পদ্ধতিতে কোন অনলাইন সাক্ষাতের তারিখ ছাড়া গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যারা চট্টগ্রাম বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ এবং সিলেট (হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট) ব্যতীত অন্যান্য বিভাগ বসবাস করছে, তারা আইভ্যাক, গুলশান (ঢাকা)/ আইভ্যাক, মতিঝিল (ঢাকা)/ আইভ্যাক, মিরপুর রোড (ঢাকা)/ আইভ্যাক, উত্তরা (ঢাকা)/ আইভ্যাক, খুলনা/ আইভ্যাক, ময়মনসিংহ / আইভ্যাক, যশোর / আইভ্যাক, বরিশাল / আইভ্যাক, সিলেট- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
যেসব পাসপোর্টধারী চট্টগ্রাম বিভাগ এর বাসিন্দা, তারা আইভ্যাক, চট্টগ্রাম- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
বাংলাদেশী নাগরিক, যারা রাজশাহী বিভাগে বাস করছে, তারা আইভ্যাক, রাজশাহী/ আইভ্যাক, রংপুর- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
অন্যান্য বিদেশী নাগরিকরা আইভ্যাক, গুলশান, ঢাকা এবং সহকারী ভারতীয় হাই কমিশন, চট্টগ্রাম- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের কোন ভিসা ফি প্রয়োজন নেই।
অন্যান্য বিদেশী নাগরিকদের ভিসা ফি দেয়া প্রয়োজন যদি না তারা ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ভিসা ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে অব্যাহতি পায়।
বাংলাদেশের যেকোন আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদনকারী সকল ব্যক্তিবর্গের ভিসা প্রসেসিং ফি (ভিপিএফ) পরিশোধ করতে হবে।
আপনার ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে যদি আপনি
জীবনের জন্য হুমকীসরূপ কোন সংক্রামক রোগে ভোগেন।
মানসিক রোগে ভোগেন এবং চিকিৎসা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ভারতে ভ্রমণ করেন।
নিজে মাদকাসক্ত বা মাদক পাচার করেন।
অপরাধী বা কোন দেশে অনিষ্পন্ন কোন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে থাকেন।
কোন দেশ হতে দ্বীপান্তুরিত বা বহিষ্কৃত হয়ে থাকেন।
অপর্যাপ্ত/ অসম্পূর্ণ/ মিথ্যা কাগজপত্র দিয়ে থাকেন।
অবৈধ ভ্রমণ নথির অধিকারী হয়ে থাকেন।
প্রাসঙ্গিক কোন তথ্য গোপন করে থাকেন।
অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে এমন কোন ভিত্তিতে, যা আবেদনকারীকে ভিসার জন্য অযোগ্য হিসাবে পেশ করবে, যা আবেদনকারীর কাছে মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করে জানানো হবে, এমন কোন কথা নেই।
ভারতে প্রবেশের শর্ত
বৈধ ভিসা থাকার পরেও ভারতে আপনার প্রবেশ রধ হয়ে যেতে পারে যদি মিথ্য বিবরণের মাধ্যমে ভিসা অর্জন করা হয় অথবা প্রাসঙ্গিক বিষয় গোপন করা হয়, আপনি সে বিষয়গুলোতে অবগত থাকেন বা না থাকেন।
আপনার আবেদনের দিন ও ভারতে প্রবেশের দিনের মধ্যে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন ঘটলে।
একজন ইমিগ্রেশন অফিসার ভারতে আগমনের সাথে সাথে যে কাওকে মেডিকেল পরীক্ষা করাতে পারে, যদি সে প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে।
আপনি অবশ্যই ভারতে কোন চাকরির বা আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা/ গবেষণার দায়িত্ব নিতে পারবেন না যদি না কর্মসংস্থান ভিসা বা যথাযথ ভিসা আপনাকে মঞ্জুর করা হয়।
অবস্থানের বৈধ মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্যেই আপনাকে অবশ্যই ভারত ত্যাগ করতে হবে যদি না ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা আপনার অবস্থানের মেয়াদ সম্প্রসারণ করা যায়।
আপনাকে অবশ্যই নিকটবর্তী বিদেশীদের আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস (এফআরআরও)-তে নাম নিবন্ধন করতে হবে, যদি মেডিকেল/মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসা ব্যতীত বাকী সব ধরণের ভিসার ক্ষেত্রে ভারতে আপনার অবস্থান ছয় মাস মেয়াদ অতিম করে।
মেডিকেল/মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে, ভারতে আগমনের ১৪ দিনের মধ্যে নিকটবর্তী এফআরআরও)-তে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে এমন কোন ভিত্তিতে, যা আবেদনকারীকে ভিসার জন্য অযোগ্য হিসাবে পেশ করবে, যা আবেদনকারীর কাছে মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করে জানানো হবে, এমন কোন কথা নেই।
কূটনৈতিক/ অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জারিকৃত কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী / অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীগণ এর ভারতে ভ্রমণ করা এবং ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে কোন ভিসা প্রয়োজন হয় না।
নিম্নলিখিত শেণীর আবেদনকারীরা অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে এবং তাদের অনলাইন ভিসার আবেদন ব্যক্তিগতভাবে বা কোন বৈধ প্রতিনিধির মাধ্যমে ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা-তে কার্যদিবসগুলোতে ১০:০০ ঘটিকা থেকে ১৩:০০ ঘটিকার মধ্যে জমা দিতে পারে।
এই আবেদনকারীদের অবশ্যই অনলাইনে একটি সাক্ষাতের দিন ধার্য্য করতে হবে এবং এ ধরণের আবেদনগুলি, যদি হাই কমিশনে আবেদন দাখিল করার তারিখ থেকে আরও পরেও সাক্ষাতের তারিখ পড়ে, তারপরেও গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
(১) সরকারী কাজের উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর আমলাদের ভারত ভ্রমণ- তাদের আবেদনপত্রগুলোর সাথে অবশ্যই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি মৌখিক ঘোষণা (নোট ভার্বাল) থাকতে হবে।
(২) ভিনড়ব দেশের কূটনৈতিক/ অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীগণের (অন্যথায় যাদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসা অর্জনের প্রয়োজন) অফিসিয়াল কাজের উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণ- তাদের আবেদনপত্রগুলোর সাথে অবশ্যই নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশন কর্তৃক একটি মৌখিক ঘোষণা (নোট ভার্বাল) থাকতে হবে।
(৩) জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিগণের অফিসিয়াল কাজের উদ্দেশ্যে ভারত ভ্রমণ তাদের আবেদনপত্রগুলোর সাথে অবশ্যই নিজ নিজ অফিস কর্তৃক একটি মৌখিক ঘোষণা (নোট ভার্বাল) থাকতে হবে।
কোথায় ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে?
ভারতীয় ভিসার আবেদন কেন্দ্র (মিরপুর, ঢাকা) আল-আমিন আপন হাইট্স ২৭/১/বি (২য় তলা), শ্যামলী (শ্যামলী সিনেমা হলের উল্টাদিকে) মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭ হটলাইন নম্বর: ০৯৬১২ ৩৩৩ ৬৬৬, ০৯৬১৪ ৩৩৩ ৬৬৬ ই-মেইল: info@ivacbd.com ওয়েবসাইট: www.ivacbd.com আবেদনপত্র গ্রহণের সময়: ০৮.০০-১৩.০০ ঘটিকা ভিসা প্রসেসিং ফি (আবেদনকারী জন প্রতি): ৬০০/- টাকা পাসপোর্ট ডেলিভারী (নির্দিষ্ট তারিখে): ১৫.৩০-১৮.৩০ ঘটিকা।
সূত্র: http://www.ivacbd.com