Skip to content

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড হাইওয়ে ২০১৬ সালেই

India-Miyanmer-Thailand-Roadলং ড্রাইভে এখন সহজেই বেড়ানো যাবে নয়াদিল্লি থেকে ব্যাংকক। আগামী বছরেই চালু হতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি-ব্যাংকক হাইওয়ে। ভারতের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়করি শনিবার এ ঘোষণা দেন। প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের এ মহাসড়কটি ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ডকে সংযুক্ত করবে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।

মহারাষ্ট্রের ‘ফ্লাইওভার ম্যান’ খ্যাত নীতিন গড়করি বলেন, ‘কোনোকিছুই অসম্ভব নয়। আপনারা যেভাবে মুম্বাই থেকে গাড়ি চালিয়ে দিল্লি আসেন, সেভাবেই পৌঁছে যেতে পারবেন থাইল্যান্ডে। এটা একটা বৈপ্লবিক কাজ। জনগণ এখন বিশ্বাস করবে না।’ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সময় থেকে নীতিন তার দক্ষতার প্রমাণ রেখে চলেছেন। সে সময়ের ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’ প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর তার নাম ছড়িয়ে পড়ে।
পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, এ ত্রিদেশীয় সংযোগের মহাসড়কটির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। নতুন বছরে এটা শেষ করাই অগ্রাধিকার। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ২০১২ সালে এ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

নীতিন বলেন, আমি ফাঁকা কথা বলি না, কাজে বিশ্বাস করি। এখন আমাদের লক্ষ্য দৈনিক ১০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা। আগের সরকারের আমলে দৈনিক মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ হতো। এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৩০ কিলোমিটারে।
ভারতের ৯৬ হাজার কিলোমিটার হাইওয়েকে ‘সবুজ করিডোর’ হিসেবেও গড়ে তুলবেন বলেও জানান তিনি। সব প্রজেক্টের বাজেটের এক শতাংশ ব্যয় হবে সড়কের দুই পাশের সবুজায়নে।

তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে ভারতের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে।’ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্ক (৪৮ লাখ কিমি.) রয়েছে ভারতে। এর আগে তিনি শ্রীলংকার সঙ্গে ভারতের সংযোগে সাগরে ব্রিজ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার পুরো অর্থায়ন করছে এডিবি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ঘোষণার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংযুক্তিতে নয়াদিল্লি সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মাইলফলক হল বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) চুক্তি স্বাক্ষর। এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করা চারটি দেশ যাত্রী চলাচলের জন্য ১৪টি রুট বের করেছে। এছাড়া ৭টি রুটে চলবে পণ্যবাহী কার্গো।

বাংলাদেশ-চীন-নেপাল-পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের সড়ক নির্মাণ
প্রতিবেশি দেশগুলোর সীমান্তে সড়ক নির্মাণ করছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজু মঙ্গলবার লোকসভায় বলেন, বাংলাদেশ, চীন, নেপাল ও পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তে ৪৩৭৯ কিমি. পাকিস্তান সীমান্তে ৬৮৯.৫ কিমি. চীন সীমান্তে ৩৭৯৬ কিমি. ও নেপাল সীমান্তে ১৩৭৭ কিমি. দৈর্ঘ্যরে এ সড়ক তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। ভুটান ও মিয়ানমার সীমান্তেও এমন সড়ক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। সৌজন্যে : যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *