Skip to content

ভূমিকম্পে পর্যটন শিল্পে ধস নামতে পারে নেপালে

Nepal২৫ এপ্রিল নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেশটির মোট অর্থনীতির চেয়েও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ দুর্যোগ দেশটির পর্যটন শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন তারা।

স্মরণকালের ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে দেশটির ঐতিহাসিক ধারাহার টাওয়ার। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত ১৯ শতকের একটি স্থাপনা ছিল এ টাওয়ার। এছাড়া বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র দুর্বার স্কয়ারও ভেঙে পড়েছে। দেশটির ভক্তপুরে অবস্থিত ব্রিক ওয়াল ও কাঠের মন্দিরগুলোও ধসে গেছে ওই ঘটনায়।

নেপালের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কাঠমাণ্ডু শহরেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভূমিকম্পে হিমালয়ে এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে বেস ক্যাম্পের দিকে ফিরতে থাকা পর্বতারোহীও রয়েছেন।

নেপালের অর্থনীতি মূলত পর্যটননির্ভর। বছরে প্রায় ৮ লাখ বিদেশী পর্যটক দেশটির বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রগুলো ও হিমালয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসে। আবাসনসহ সেবা খাত থেকে দেশটি অন্তত ১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে, যা নেপালের জিডিপির প্রায় অর্ধেক। নেপালের জিডিপির ৩ শতাংশ অর্জিত হয় বিদেশী পর্যটকদের ব্যয় থেকে।

যু্ক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ থেকে জানা যায়, ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ। আর তা ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান আইএইচএস গ্লোবাল ইনসাইটের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ রাজিব বিশ্বাস বলেন, ‘নেপালে ভূমিকম্পের অর্থনৈতিক প্রভাব জিডিপির ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *