ঘৃতকুমারী বহুবর্ষজীবী বিরল প্রকৃতির উদ্ভিদ। পাতা লম্বা ও মোটা, গোড়া থেকে মাথার দিক ক্রমেই সরু, কিনারা কাঁটাযুক্ত। পাতার নিচের দিক বৃত্তাকার। এর অভ্যন্তরে থকথকে রসালো পদার্থ থাকে।
উপকারিতা
* পাতার ভেতরের মজ্জা ১ চা চামচ সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০ থেকে ১৫ দিন সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
* ২ চা চামচ ঘৃতকুমারীর মজ্জা সকাল ও সন্ধ্যায় খালি পেটে গরম পানিসহ পান করলে পেটের ব্যথা কমবে। এ ছাড়া হালকা গরম করে ব্যথার স্থানে লাগালেও উপকার পাবেন।
* ঘৃতকুমারীর পাতা ধুয়ে মুছে আগুনের তাপে কুসুম গরম করে চোখের পাতায় সেঁক দিলে চোখের ব্যথাও ফোলাসহ লালভাব কমে যাবে।
* হজমের ত্রুটি হলে ১ চা চামচ দিনে ৩ বার খাবার আধ ঘণ্টা আগে ৭ থেকে ১০ দিন পান করলে হজমের ত্রুটি দূর হয়।
* মেদ কমাতে ১ চা চামচ ঘৃতকুমারীর মজ্জা দিনে তিনবার খালি পেটে ৩ মাস সেবন করলে অতিরিক্ত মেদ আস্তে আস্তে কমে যায়।
* ঘৃতকুমারীর মজ্জা পিষে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর গোসল করলে ত্বকের সতেজতা বাড়ে। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে।
* কোনো স্থান পুড়ে গেলে ঘৃতকুমারীর মজ্জা লাগালে পোড়ার যন্ত্রণা কমে।
হাকীম মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ
অধ্যক্ষ, তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা