মাসুম সায়ীদ
দিনের শেষে যখন লেনদেন ফুরায়, তখন ক্লান্ত শরীর নরম বিছানা খোঁজে। নরম বিছানাও আছে অনেক রকম। যেমন- ম্যাট্রেস, জাজিম ইত্যাদি। এগুলো অবশ্য বয়ে নেওয়া কঠিন, বিশেষ করে যখন পাহাড় বাইছেন বা দীর্ঘ পথ হাঁটছেন। তাহলে স্লিপিং ব্যাগ ছাড়া উপায় কী? স্লিপিং ব্যাগ
স্লিপিং ব্যাগ হলো একজন মানুষের ঘুমানোর জন্য চারকোনা কম্বল। অথবা এ ধরনের আরামদায়ক কিছু দিয়ে তৈরি চেইনওয়ালা বস্তা। দুই দিকে এর চেইন থাকে। একে তোশকের মতো বিছিয়ে সটান হওয়া যায় আবার প্রয়োজনে ভেতরে ঢুকেও পড়া যায়। আরেক ধরনের স্লিপিং ব্যাগ আছে মিসরীয় মমির মতো। এটাকে মাম্মি ব্যাগও বলা হয়। বেশির ভাগ মাম্মি ব্যাগ নারীদেহের গড়নে তৈরি। এটা তুলনামূলক আঁটসাঁট। কাঁধের নিচ থেকে পা পর্যন্ত সেলাই করে আটকানো থাকে এটি। ফলে তাপমাত্রা ধরে রাখা যায়। শূন্য বা মাইনাস ডিগ্রি তাপমাত্রায় ব্যবহারের জন্য মাম্মি ব্যাগই উপযুক্ত। স্লিপিং ব্যাগগুলো দুই বা তিন ভাঁজ করে মুড়িয়ে কর্ড লক দিয়ে আটকিয়ে স্টাফ স্যাকে ভরে রাখা হয়।
মানসম্পন্ন স্লিপিং ব্যাগ তৈরির সময় তাপমাত্রার চারটি অবস্থা হিসেবে রাখা হয়। যেমন- ক. সর্বোচ্চ খ. আরামদায়ক গ. সর্বনিম্ন এবং ঘ. চরম মাত্রা। সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, আরামদায়ক মাত্রায় প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং সর্বনিম্ন মাত্রায় দৃঢ় মনোবলের অধিকারী পুরুষে আরামে ঘুমাতে পারবে। চরম মাত্রা উল্লেখ করা হয় ব্যবহারে সতর্ক করার জন্য। ১৮৭৬ সালে স্লিপিং ব্যাগের প্রবর্তন করেন ওয়েলশের প্রেসি জোনস। উদ্ভাবনের পর এই ব্যবসায়ী উনিশ শতকের শেষ ভাগেই রুশ ও আমেরিকান সৈনিকদের কাছে ৬০ হাজার স্লিপিং ব্যাগ বিক্রি করেছিলেন।
কোথায় পাবেন
সাধারণ মানের স্লিপিং ব্যাগ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় কাকরাইল মসজিদের সামনে আর বায়তুল মোকাররমের নিচতলায়। তবে ভ্রমণে ব্যবহারের জন্য ভালো মানের এবং ব্যাক প্যাকে রাখার উপযুক্ত স্লিপিং ব্যাগ পেতে আপনাকে যেতে হবে আজিজ সুপার মার্কেটের পিক ৬৯ অথবা কনকর্ড এম্পোরিয়ামের ভ্রমণসঙ্গীতে। ভ্রমণসঙ্গী ‘সাঙ্গু’ ব্র্যান্ডের যে স্লিপিং ব্যাগটি তৈরি করে, তা পুরুষরা ১২ ডিগ্রি এবং মহিলারা ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়ও আরামে ঘুমাতে পারে। ঠিকানা : পিক ৬৯, আজিজ সুপার মার্কেট, তৃতীয়তলা, শাহবাগ, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৩০৩৭৭১৬। ভ্রমণসঙ্গী, আন্ডার গ্রাউন্ড ফ্লোর, কনকর্ড এম্পোরিয়াম, কাঁটাবন, ফোন : ০১১৯১০৩৯৯৩০। দাম ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
সূত্র : কালের কণ্ঠ