Skip to content

ভ্রমণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ

:: কানিজ ফাতিমা ::
একটা সময় ‘ভ্রমণ’ ছিল বিলাসিতা। সারা জীবন দুই-একবার গুটিকয়েক দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের মাঝেই বেশিরভাগ মানুষের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সীমাবদ্ধ ছিল। কালের ব্যবধানে ভ্রমণ এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। নাগরিক জীবনের কর্মচাঞ্চল্য, ব্যস্ততা যখন আমাদের জীবনকে করে তোলে একঘেয়ে, ভ্রমণ তখন আমাদের করে সতেজ ও প্রাণবন্ত। তাইতো কর্মব্যস্ততার মাঝে শহুরে মানুষ নিজেদের ফিরে পেতে প্রায়ই বেরিয়ে পড়ছেন জানা-অজানা বিভিন্ন স্থানে। নামকরা দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি অল্প চেনা অথবা খানিকটা অচেনা স্থানেও এখন ভ্রমণ করতে সমান আগ্রহী এই প্রজন্মের অনেকেই। ভ্রমণের মাধ্যমে নিজেদের পরিতৃপ্ত করার পাশাপাশি পর্যটক হিসাবেও রয়েছে তাদের কিছু দায়-দায়িত্ব। পর্যটক হিসাবে যেমন নিজেদের কিছু পূর্বপ্রস্তুতি থাকতে হয় আবার একই সঙ্গে পর্যটন স্থান এবং ঐ স্থানের মানুষের প্রতিও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।

ভ্রমণকালীন কী কী করবেন
১। ভ্রমণ শুরু করার আগে নির্দিষ্ট ভ্রমণস্থানের খোঁজ-খবর জেনে নিন।
২। ভ্রমণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট অথবা অন্য কোনো পরিচয়পত্রের কপি সঙ্গে রাখুন।
৩। ব্যাগ প্যাকিং করার আগে আবহাওয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
৪। ভ্রমণ করার পূর্বে সেই স্থানের জরুরি ফোন নম্বরগুলো জেনে নিন।
৫। আপনার ব্যক্তিগত মূল্যবান জিনিসগুলো নিজের দায়িত্বে রাখুন।
৬। ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় ডিভাইস সঙ্গে রাখুন (যেমন মোবাইল ফোন চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, ক্যামেরা ইত্যাদি)।
৭। ভ্রমণের সময় সর্বদা কিছু শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির বোতল সঙ্গে রাখুন।
৮। প্রয়োজনীয় ঔষধ সঙ্গে রাখুন।
৯। টর্চলাইট্, ছাতা, রেইন কোট, ম্যাপ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিজের কাছে রাখুন।
১০। স্থানীয় খাবারের স্বাদ গ্রহণ করুন এবং সেই স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকদের কাছ থেকে কিছু পণ্য কিনুন।

ভ্রমণকালীন কী কী করবেন না
১। রাস্তায় কোনো প্রকার আবর্জনা বা ময়লা ফেলবেন না।
২। হোটেল রুমে অযথা বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় করবেন না।
৩। বন্যপ্রাণীকে বিরক্ত করবেন না।
৪। প্রকৃতির ক্ষতি করবেন না।
৫। অনুমতি ছাড়া স্থানীয়দের ছবি তোলা ও ভিডিও করা থেকে বিরত থাকুন।
৬। ভ্রমণের সময় প্রত্নতাত্ত্বিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্থান ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
৭। অপরিচিত মানুষের কাছে আপনার কোনো জিনিস রেখে যাবেন না।
৮। পর্যটক স্থানসমূহ থেকে প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ বহন করবেন না।
৯। স্থানীয় মূল্যবোধ, পৌরাণিক কাহিনি এবং সংস্কৃতির কোনোরকম অবমূল্যায়ন যাতে না হয় সেদিকে যত্নবান থাকবেন।

দায়িত্বশীল পর্যটক হিসাবে ভ্রমণ যেমন অভিজ্ঞতাকে করবে সুন্দর তেমনি, প্রকৃতি ও পর্যটন স্থানকে রাখবে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও আকর্ষণীয়। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে আসুন সবাই দায়িত্বশীল পর্যটক হই। সৌজন্যে: পক্ষিক অনন্যা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *