অনেকেই ঈদে দূরে ট্রাভেল কিংবা ট্যুরে যান। ট্রাভেলস এরিয়া অর্থাৎ ভ্রমণের পর্যটনস্থানগুলোর পরিবেশ আপনার অনুকূলে নাও থাকতে পারে। এতে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। অনেকেই বেড়াতে গিয়ে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না হওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডায়রিয়া তার মধ্যে অন্যতম। হিল ডায়রিয়ার সমাধানে কিছু উপায় জেনে রাখুন।
ঈদের ছুটিতে ভ্রমণে কোথায় কোথায় যাবেন! অবশ্যই পাহাড়ি অঞ্চলে। পাহাড়ি অঞ্চলে বেড়ানো মজাই অন্যরকম। কিন্তু এতে অসুখ-বিসুখও কিন্তু চেপে বসে। এই যেমন পেটের সমস্যা।
বেড়াতে গিয়ে পেটের সমস্যায় ভোগা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ট্রাভেলারস ডায়রিয়ার প্রধান কারণ অনিয়মিত ও ভুলভাবে খাওয়া-দাওয়া।
বাইরে গিয়ে যেখানেই খাবেন আশপাশের পরিবেশটা একবার বুঝে নিন। কাঁচা খাবার কম খান। চেষ্টা করুন প্যাকেজড ওয়াটার খেতে। মিনারেল ওয়াটারের কোম্পানি, সিল ও তারিখ দেখে তবেই কিনবেন।
প্রাথমিক সাবধানতা মেনে চললেও যদি ডায়রিয়া হয়, তাহলে লোমোটিল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের ডায়রিয়া নিজ থেকে সেরে যায়। তাই, ডায়রিয়ার শুরুতেই অ্যান্টেবায়েটিক খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
হাইড্রেশনের মাত্রা ঠিক রাখুন। লবণ চিনির পানি বা ও আর এস খান।
প্রথম একদিন স্যালাইন ওয়াটার আর লোমোটিল জাতীয় ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে শুরু করলে অন্য ওষুধের দরকার নেই। একদিন পরও যদি পেট খারাপ না কমে, তখনই অ্যান্টিবায়েটিক বা অ্যান্টি বায়োটিক ও অ্যান্টি অ্যামেরিক ড্রাগের কম্বিনেশন খাওয়ার প্রয়োজন হয়। একদিন অ্যান্টিবায়েটিক খেয়ে দেখুন। এতেও যদি সুরাহা না হয়, তাহলে স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ডায়রিয়ার সঙ্গে পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি মূলত পানিবাহিত রোগ। পাহাড়ি এমনিতেও সমভূমির তুলনায় অপরিচ্ছন্ন হয়। আগেকার দিনে অনেকে ঝরনার পানি খান না, তাই এখন এরই কারণে আর ডায়রিয়া হয় না।
কিছু কিছু ইনফেকশন ঠাণ্ডায় বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে ঠাণ্ডার জায়গায় ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এটি মোটে গুরুত্বপূর্ণ কারণ নয়। তাহলে তো সুইজারল্যান্ডের সবার ডায়রিয়া হতো।
হাইজিন বজায় রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি। লক্ষণ সাধারণ ডায়রিয়ার মতোই হয়।
পেটে চাপ ধরে থাকা ব্যথা, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর মূলত এগুলোই ডায়রিয়া সিম্পটম। বেড়াতে গেলে অবশ্যই ওষুধ সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
আর খাওয়া-দাওয়া এবং পানি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতনতা থাকবেন। হাত ধুয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সঙ্গে রাখুন।
টয়লেট পেপার নিয়ে যান। ট্রেনে বা যেখানে পরিচ্ছন্ন হোটেল নেই, সেখানে এর প্রয়োজন হতে পারে। নিয়ম মেনে বেড়ান ও সুস্থ থাকুন। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন