মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে নাসা একদল মানুষকে এক বছরের জন্য নির্জনবাসে পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে একটি নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাশে একটি গম্বুজ তৈরি করেছে নাসা, যার মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে মঙ্গল গ্রহের অনুরূপ তাপ, চাপ ও আবহাওয়া। সেখানেই গত ২৮ আগস্ট থেকে ‘অজ্ঞাতবাস’ শুরু করেছে নাসার নির্বাচিত ছয়জন মানুষ।
গম্বুজটিতে টানা এক বছর অবস্থান করবেন এই ছয়জন। বিষয়টিকে বলা হচ্ছে, পৃথিবীতে মঙ্গলবাস। ওই ব্যক্তিদের শরীর-মনের ওপর মঙ্গল গ্রহের অনুরূপ ওই পরিমণ্ডলে বাসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চায় নাসা-আসলেই কি মঙ্গলে মানুষ টিকতে পারবে ওই লাল গ্রহে।
সৌরশক্তি ব্যবহার করা গম্বুজটি বাইরে আড়াআড়ি ৩৬ ফুট (ব্যাস) এবং উচ্চতায় ২০ ফুট। বাসিন্দাদের গম্বুজের বাইরে আসতে হলেও নভোচারীর পোশাকে থাকতে হবে। হাওয়াই দ্বীপের ওই গম্বুজে ছয়জনের দলে রয়েছেন এক ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জার্মানির এক বিজ্ঞানী এবং চার মার্কিন নাগরিক। এই চারজন আবার পেশায় যথাক্রমে বিমানচালক, স্থপতি, চিকিৎসক/সাংবাদিক এবং ভূবিজ্ঞানী। তবে তাঁদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেনি নাসা।
গম্বুজের মধ্যে তাঁদের প্রত্যেকের আলাদা ঘর আছে। সেখানে আছে বিছানা-টেবিল-চেয়ার। খাবার বলতে ক্যানবন্দি টুনা মাছ এবং পাউডার চিজ। বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। খুবই সীমিত ইন্টারনেট ব্যবহারও।
নাসার এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাওয়াই স্পেস এক্সপ্লোরেশন অ্যানালগ এবং সিম্যুলেশন’ (হাই-সিজ)। এ জন্য ১০ লাখ ২০ হাজার ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগে ফ্লোরিডায়, অ্যান্টার্টিকা এবং রাশিয়ায়ও একই ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। ২০১১ সালে দীর্ঘ ৫২০ দিন ধরে চলে এই পরীক্ষা। ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর বিষয়ে সাফল্য পেতে চায় নাসা। সূত্র : পিটিআই।