সুন্দরবন মানেই শুধু সুন্দরী গাছ আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার নয়৷ সেখানে পাওয়া যায় সুস্বাদু মধুও৷ সেগুলো যারা সংগ্রহ করেন তাদের বলা হয় মৌয়াল৷
মধু সংগ্রহের মরসুম
প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন, এই তিনমাস মধু সংগ্রহ করা হয়৷ এ সময় বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে দল বেঁধে বনে প্রবেশ করেন মৌয়ালরা৷
দোয়াদরুদ পড়ে নেয়া
মধু সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগে বিশেষ প্রার্থনা করে নেন মৌয়ালরা৷ কারণ সেখানে বাঘের ভয়ের পাশাপাশি আছে ডাকাতের ভয়৷ কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যান৷
কয়েকজনের দল
মৌয়ালরা বন বিভাগ থেকে কয়েকজন মিলে একটি দল গঠন করে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়ার অনুমতি পান৷ এরপর নৌকা করে প্রায় মাসখানেকের জন্য বেরিয়ে পড়েন৷
নিয়মকানুন
মধু সংগ্রহের কিছু নিয়মনীতি ঠিক করে দিয়েছে বন বিভাগ৷ যেমন মৌচাক থেকে মৌমাছি সরানোর সময় আগুনের ধোঁয়া ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু অভিযোগ আছে মৌয়ালরা অনেক সময় নিয়ম না মেনে মৌচাকে আগুন ধরিয়ে দেন৷
মধু উৎপাদন হ্রাস
অনেকসময় নিয়মনীতি না মেনে মধু ও মোম সংগ্রহ করায় বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছির বংশ ধ্বংস হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে৷ এতে সুন্দরবন থেকে দিন দিন মধু সংগ্রহের পরিমাণ কমছে বলে জানা গেছে৷
বনে আগুন
মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে কখনও কখনও সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে৷
মৌয়ালদের দুর্দশা
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মধু ও মোম আনতে যান মৌয়ালরা৷ কিন্তু এরপর যে টাকা পান তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাতে হয় তাদের৷ নৌকা ভাড়া ও বনদস্যুদের চাঁদা দিতেই আয়ের একটা বড় অংশ চলে যায় মৌয়ালদের৷ সূত্র : ডয়চে ভেলে