Skip to content

মানপুপুনিয়েরের পাথর

Manpupunia

তাসকিন হক
রাশিয়ার উত্তরের উড়াল পার্বত্য অঞ্চলে দেখা মিলবে অদ্ভুত আকারের কিছু পাথুরে স্তম্ভের। সমতল ভূমির ভেতর থেকে যেন হঠাৎই গজিয়ে উঠেছে এগুলো। পাথরখণ্ডগুলো যেন অনেকটাই ইস্টার আইল্যান্ডের দৈত্যাকার মূর্তির কথাই মনে করিয়ে দেয়। দুটোই আয়তনে বিশাল ও রহস্যময়। ইস্টার আইল্যান্ডের দৈত্যাকার মূর্তিগুলোর কথা কমবেশি অনেকে জানলেও এই শিলাস্তম্ভগুলোর অস্তিত্ব কিন্তু রাশিয়ার বাইরে একরকম অজানাই রয়ে গেছে।

‘মানপুপুনিয়ের পাথরখণ্ড’ কিংবা ‘সাতজন শক্তিশালী মানুষ’—এ নামেই এ শিলা স্তম্ভগুলো পরিচিত। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে সাতটি স্তম্ভ আছে এখানে। আর একেকটি স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৯৯ থেকে ১৩৮ ফুট পর্যন্ত। এক শিলাবিশিষ্ট স্তম্ভগুলোর সৃষ্টি কতটা প্রাকৃতিক, তা নিয়ে সন্দেহ আছে খোদ স্থানীয়দেরই।

মানপুপুনিয়েরের এই স্তম্ভগুলো নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে নানা কিংবদন্তিও শুনতে পাওয়া যায়। তাদের পুরাণ অনুসারে এই স্তম্ভগুলো আসলে ছিল সাতটি বিশালাকার সাস্মায়াইদ দৈত্য। তাদের গন্তব্য ছিল উড়াল পর্বতমালা হয়ে সাইবেরিয়ার দিকে। ওখানকার মেনসি গোত্রের লোকজনকে ধ্বংস করাই ছিল ওই দৈত্যগুলোর লক্ষ্য। কিন্তু তার আগেই বাধা দিতে আসেন সাদামুখো এক ওঝা। তাঁর জাদুতেই নাকি দৈত্যগুলো পাথরে পরিণত হয়। দৈত্যের সঙ্গে নাকি ওঝাও পাথরে পরিণত হন। যদিও স্বাভাবিকভাবেই কাহিনীটির সত্যতা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। গবেষকরা কিন্তু এখনো বের করতে পারেননি এই স্তম্ভগুলো কিভাবে গঠিত হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, উড়াল পর্বতমালার কিছু পর্বত কালক্রমে ক্ষয় হতে হতে আজকের এই রূপ নিয়েছে। সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *