Skip to content

মালয়েশিয়ার প্রথম ইসলামি এয়ারলাইন

Rayani

মুসলিম প্রধান মালয়েশিয়ায় ‘রায়ানি এয়ার’ নামে একটি বিমান সংস্থা কার্যক্রম শুরু করেছে। ইসলামি আইন-কানুন মেনে সংস্থাটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

আল্লাহ রাগ করেছেন তাই!
তিন কোটি মানুষের দেশ মালয়েশিয়ার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। তাদের একটি অংশ মনে করে, ইসলামি নিয়ম-কানুন মেনে না চলায় আল্লাহ রাগ করেছেন বলেই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ‘এমএইচ ৩৭০’ ও ‘এমএইচ ১৭’ ফ্লাইট দুটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে! সেই থেকে দেশটিতে একটি ইসলামি এয়ারলাইন্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন মুসলমানদের ওই অংশটি।

Rayani4

প্রথম যাত্রা
রবিবার (২০ ডিসেম্বর, ২০১৫) ‘রায়ানি এয়ার’-এর প্রথম ফ্লাইট কুয়ালালামপুর থেকে কোতা বারু-তে যায়। ৫৫ মিনিটের এই ফ্লাইট শুরুর আগে কোরানের আয়াত তেলাওয়াত করা হয় এবং যাত্রীদের হালাল খাবার পরিবেশন করা হয়।

Rayani3

ইসলামি পোশাক
ফ্লাইটের কেবিন ক্রু-রা ইসলামি রীতি অনুযায়ী পোশাক পরেন। তবে যাত্রীরা যে-কোনো পোশাকে বিমানে উঠতে পারবেন। পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হয়নি।

Rayani2

চাহিদা পূরণ
রায়ানি এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর জামহারি বলেন, ‘‘অনেক মুসলিম মালয়েশিয়ান একটি ইসলামি এয়ারলাইনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন বলে আমরা এটি চালু করেছি। তাই বলে আমরা কোনো পবিত্র এয়ারলাইন অথবা পবিত্র গন্তব্যে যাওয়ার কথা বলছি না। আমরা শুধু যাত্রীদের একটি বিকল্প ব্যবস্থা দিতে চেয়েছি। তবে আমরা সব ধর্ম ও জাতির যাত্রীদেরও স্বাগত জানাই।’’

Rayani5

মালিক কিন্তু হিন্দু!
মালয়েশীয়দের এই ডাকে সাড়া দিয়েছেন এক হিন্দু দম্পতি। রবি আলাগেনড্রান ও তাঁর স্ত্রী কার্তিয়ানী গোবিন্দন। এয়ারলাইনের নামটি তাঁদের দু’জনের নামের অংশ থেকে নেয়া।

Rayani6

যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
রায়ানি এয়ারের প্রথম ফ্লাইটে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগই মুসলমান। এঁদের একজন ২৩ বছর বয়সি শিক্ষার্থী চে মাসনিতা আতিকাহ জানান, ‘‘এটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রথমত আমি একজন মুসলিম। আর দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়া একটি মুসলিম প্রধান দেশ।’’ রায়ানি এয়ার বর্তমানে মালয়েশিয়ার তিনটি গন্তব্যে চলাচল করছে।

Rayani7

এর আগে আরও তিনটি
রায়ানি এয়ার-এর আগে থেকে বিশ্বে আরও তিনটি ইসলামি এয়ারলাইন চালু আছে। এগুলো হচ্ছে, রয়েল ব্রুনাই এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও ইরান এয়ার। সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *