দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র আপনাকে মুগ্ধ করবে। রেন ফরেস্ট থেকে শুরু করে মহানগরীর বিচিত্র রূপে আপনি বিমোহিত হবেন। ছবিঘরে থাকছে মালয়েশিয়া ভ্রমণের কয়েকটি কারণ।
রাজধানী : রাজধানী কুয়ালালামপুরে ১৬ লাখ মানুষের বাস। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ। এই শহরটি মধ্য-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত বলে একে মালয়া বা পশ্চিম মালয়েশিয়া বলা হয়। এই শহরটি দেশটি সম্পর্কে আপনার চিরাচরিত ধারণা যেমন বদলে দিতে পারে, তেমনি এর আছে বৈচিত্র৷ আছে আকাশচুম্বী আধুনিক অট্টালিকা, হিন্দু মন্দির, আছে মসজিদ এবং গির্জা। এমনকি সব ধর্মের উপাসনালয় এক রাস্তায় দেখতে পাবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার: দেশটির ল্যান্ডমার্ক পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার। এটির উচ্চতা ৪৫২ মিটার। ৮৮ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। ৪১ তলার স্কাই ব্রিজটি অন্যতম হাইলাইট এবং ৮৬ তলায় আছে পর্যবেক্ষণ ডেক। রেসকোর্সের পাশেই এর অবস্থান।
মালাক্কা : মালয়েশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে এই উপকূলীয় শহরের অবস্থান। ২০০৮ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়। ১৬৫০ সালে এই সিটি হলটি নির্মাণ হয়, যেটি একসময় ডাচ গভর্নর এবং কর্মকর্তাদের বাসস্থান ছিলো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো ডাচ স্থাপত্য এটি। বর্তমানে এটি ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর।
চা বাগান : ক্যামেরন পাহাড়ি এলাকায় বিশাল অঞ্চল জুড়ে এই চা বাগান রয়েছে, যার অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার মিটার উঁচুতে। চা ছাড়া এখানে স্ট্রবেরি, সবুজ অ্যাসপ্যারাগাস এবং লেটুসেরও চাষ হয়। কুয়ালালামপুর থেকে এখানে যেতে বাসে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
পেনাং এবং জর্জ টাউন : পেনাং দ্বীপের রাজধানী জর্জ টাউন একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু৷ ২০০৮ সালে এর ‘ওল্ড টাউন’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়। এখানে নানা ধরণের গির্জা, মন্দির এবং মসজিদ রয়েছে। এছাড়া পেনাং প্রজাপতি খামার এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মসলা বাগান পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। ফার্নিকুলার রেলওয়ে থেকে ট্রেন পেনাং পর্বত পর্যন্ত যাতায়াত করে, যা থেকে অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।
স্ট্রিট আর্ট : গত কয়েক বছর ধরে পেনাং এবং জর্জ টাউন তাদের স্বতন্ত্র পথচিত্রের জন্য পরিচিত হয়ে উঠছে।
বিরল প্রজাতির প্রাণী সমৃদ্ধ অরণ্য বোর্নিও : বোর্নিও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। এটি তিনটি দেশের মধ্যে বিভক্ত: মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনেই৷ ২০০০ সালে গুনুং মুলু জাতীয় উদ্যান ইউনেস্কোর প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায়।
বোর্নিও ওরাংওটাং : বোর্নিও রেন ফরেস্টে এক লাখ বন্য ওরাংওটাং-এর বাস। বন উজাড়ের কারণে বিরল প্রজাতির এই প্রাণী এখন হুমকির মুখে।
লঙ্কাউইর সৈকত, পাহাড় এবং স্কাইক্যাব : লঙ্কাউই দ্বীপপুঞ্জ ৯৯টি দ্বীপের সমাহার এবং এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণকেন্দ্র এটি। ৭০০ মিটার উঁচুতে স্কাই ব্রিজ থেকে অরণ্যের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে যাওয়া যায় কেবল কার স্কাইক্যাবে করে। যারা সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য লঙ্কাউই অসাধারণ গন্তব্য, কেননা এখানে তাপমাত্রা বরাবরই ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। সৌজন্যে: ডয়চে ভেলে