Skip to content

মায়াবী কুয়াশা, মেঘের লুকোচুরি, গাছে-গাছে কমলালেবু : ওয়াহ্ জম্পুই!

কার্শিয়াং-কালিম্পং তো চেনা জায়গা। ছুটিতে একবার ঘুরেই আসুন না জম্পুই। সারা বছরই যাওয়া যায় সেখানে। শুধু পরিকল্পনা করে বেরিয়ে পড়লেই হল। কেন যাবেন: ত্রিপুরাতে জম্পুইয়ের অবস্থান। চারদিকে পাহাড়ের মেলা। অনেকে একে ‘ত্রিপুরার কার্শিয়াং’ বলে থাকেন। যদিও কার্শিয়াংয়ের মতো হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়ে না জম্পুইয়ে। এখানকার ঠান্ডা আরামদায়ক, বেশ উপভোগ্য।

Jampuiবছরের যে কোনও সময় জম্পুই যাওয়া যায়। তবে শীতকালে জম্পুই পাহাড়ের রূপই আলাদা। সকালে মায়াবী কুয়াশায় ঢেকে যায় আঁকাবাঁকা পথ। গাছে গাছে পাকা কমলালেবু। গোটা পাহাড়ই তখন কমলা রঙে রেঙে যায়। যখন মিঠে রোদ এসে জড়িয়ে ধরে পাহাড়কে, তখন ফিকে হতে শুরু করে কুয়াশা। রোদ আর কুয়াশার লুকোচুরি দেখতে দেখতে হেঁটে বেড়ান পাহাড়ি পথে। বিভিন্ন ধরনের অর্কিড পথকে করে তুলবে রঙিন। ভালো লাগবে জম্পুইয়ের লুসাই উপজাতির অতিথিপরায়ণতা। বসন্তেও জম্পুই পাহাড়ে রূপ মনোলোভা। নানা রঙের ফুলে পাহাড় সেজে ওঠে। আর বর্ষায় গেলে দেখবেন, কালো মেঘ হয়তো আপনাকে ছুঁয়ে চলে যাবে! পাহাড়ে মেঘ আর রোদের বিচিত্র খেলা স্বর্গীয় অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

কীভাবে যাবেন: আপনাকে প্রথমে পৌঁছতে হবে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। আগরতলা থেকে গাড়িতে আপনাকে পৌঁছতে হবে জম্পুই। দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার। সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগে। কয়েকদিন সময় নিয়ে গেলে আগরতলা ছাড়াও দেখে আসা যায় ঊনকোটি।Jampui2

কোথায় থাকবেন: জম্পুই পাহাড়ে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। সবচেয়ে বড় গ্রামটির নাম হল ভাঙমুন। এখানে রয়েছে ত্রিপুরা পর্যটন পরিচালিত ইডেন ট্যুরিস্ট লজ। নন-এসি দ্বিশয্যা ঘরের ভাড়া ৫৫০ টাকা। নন-এসি তিনশয্যা ঘরের ভাড়া ৬৬০ টাকা। অল্প খরচে থাকার দারুণ আয়োজন।

বুকিং বা বিশদ তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: ট্যুরিস্ট ইনফর্মেশন সেন্টার, ত্রিপুরা ভবন, ১ প্রিটোরিয়া স্ট্রিট, কলকাতা-৭১ (ফোন: ০৩৩-২২৮২৫০৩/ 033-2282503 অথবা ০৩৩-২২৮২০৬২৪/033-22820624)

Jampui3সরাসরি ই-মেইল করতে পারেন: tripuratoursim.kol@gmail.com ত্রিপুরা পর্যটনের আগরতলা অফিসেও সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন: ০৩৮১-২৩২৫৯৩০/0381-2325930 বা tripuratourism09@rediffmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *