রিসালাত হাসান
পিরামিডের কথা বললেই যে দেশটির কথা সবার প্রথমে মনে আসে সেটা হচ্ছে মিশর। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য মিশরের চেয়েও বেশি সংখ্যক পিরামিড রয়েছে তার পার্শ্ববর্তী দেশ সুদানে। যুদ্ধ আর দারিদ্র্যের কারণে নিয়মিত খবরের শিরোনাম হলেও, সুদানের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্তিক সম্পদের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নেই খুব বেশি মানুষের।
সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রাচীন নগরী মিরিও। এখানেই দেখা মিলবে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের পুরানো রহস্যময় পিরামিডের।
কুশ সাম্রাজ্যের শাসকদের আবাস হিসাবে ব্যবহৃত হত এই পিরামিডগুলো। এসব পিরামিড উচ্চতায় ২০ ফুট থেকে ১০০ ফুটের মত। আর এসব পিরামিডের প্রবেশমুখগুলো সবই পূর্বমুখী। সূর্যোদয় উপভোগ করার জন্যই পূর্বদিকে প্রবেশদ্বার তৈরই করা হয়েছিল বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।
এখানে প্রায় ৩০০ পিরামিড থাকলেও, পর্যটকদের তেমন আনাগোনা দেখা যায় না। তবে এই পিরামিডকে ঘিরেই পর্যটন শিল্পের উন্নতির আশা করছে সুদান।
সুদানের জাতীয় জাদুঘর প্রধান; আব্দেল-রহমান ওমার বলেন, “আমরা আশা করি এবছরে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক পাব । আমাদের ধারণা এ সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং দ্রুতই আমাদের পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবে”।
পুনঃসংস্কারের জন্য কাতার সাড়ে তের কোটি ডলার দেবার প্রস্তাব দিলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে মনে করে জাতীয় যাদুঘরের এই কর্মকর্তা। সুদানের ওপর আরোপ করা আন্তর্জাতিক মহলের অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে দিলেই এই পিরামিডগুলোর সংস্কার ও সুদানের পর্যটন শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। সূত্র : independenttv