
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য মিসরের পিরামিডের আদলে নির্মিত পিরামিড। গতকাল (১৩.০১.১৬) আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করেন আহসান উল্লাহ মনি।
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য মিসরের পিরামিডের আদলে বাংলাদেশে নির্মিত পিরামিড গতকাল বুধবার (১৩.০১.১৬) উদ্বোধন করা হয়েছে। বিকেলে প্রাচীন বাংলার ঈশা খাঁর রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর পেরাব গ্রামে এর উদ্বোধন করা হয়। শুক্রবার দর্শনার্থীদের জন্য পিরামিডটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পিরামিডের নির্মাতা আহসান উল্লাহ মনি এর আগে সোনারগাঁয় ভারতের তাজমহলের আকারে তাজমহল নির্মাণ করে আলোচনায় আসেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মদনপুর হয়ে ঢাকা বাইপাস সড়কের কোবাগা এলাকা থেকে একটু সামনে গেলেই ছায়াঘেরা, পাখিডাকা নিরিবিলি পরিবেশে চোখে পড়বে পিরামিডটি। প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই অন্য রকম এক অনুভূতি জাগবে মনে। পিরামিডের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে, মিসরের ফেরাউনেরসহ সাতটি ডামি মমি সাজিয়ে রাখা। অন্ধকার পরিবেশে আরেকটু সামনে চোখে পড়বে প্রাচীন যুগের রাজা-রানিদের পোশাক, অলংকার, তৈজসপত্র ও যুদ্ধে ব্যবহূত বিভিন্ন উপকরণের নমুনা।
পিরামিড দেখতে আসা স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সগির মিয়া বলেন, ‘মিসরে গিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে পিরামিড দেখা কখনোই আমাদের সম্ভব হতো না। আমাদের এলাকায় পিরামিড নির্মাণ করায় দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই পিরামিড দেখে মুগ্ধ হবে।’
পেরাব গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহ জাহান মিয়া জানান, প্রাচীন বাংলার ঈশা খাঁর রাজধানীর ইতিহাস দিন দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছিল। আর সেই সময়ে সোনারগাঁয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য পিরামিড নির্মাণ একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
পেরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, মিসরের পিরামিডের আদলেই সোনারগাঁর অজপাড়াগাঁ পেরাবতে বাংলাদেশের পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে। পিরামিডের ভেতরে ঢুকলে প্রথমে ভুতুড়ে পরিবেশ মনে হলেও পরে অন্য রকম এক অনুভূতি মনে জেগে ওঠে।
পিরামিড নির্মাণ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান উল্লাহ মনি বলেন, ‘আমি মিসরে গিয়ে পিরামিড দেখে মুগ্ধ হয়েই বাংলাদেশে পিরামিড নির্মাণের পরিকল্পনা করি। পরে মিসরের পিরামিডের আদলেই বাংলাদেশে পিরামিড নির্মাণ করেছি।’ তিনি বলেন, পিরামিডের ভেতরে রাখা মমিগুলো মিসর থেকে আমদানি করা হয়েছে। এর প্রতিটির মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা মমিগুলো দেখে মুগ্ধ হবে।
মনি জানান, তিনি ১১০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচতারা হোটেল, ফিল্ম সিটি, ফিল্ম স্টুডিও ও ফিল্ম জাদুঘর। সূত্র : কালের কণ্ঠ