যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের (জেআরএল) সাথে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া রুল আট সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সে পর্যন্ত যমুনা রিসোর্টে চেম্বার বিচারপতির দেয়া স্থিতাবস্থা বহাল থাকবে।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন।
যমুনা রিসোর্টের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব তীরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলায় অবকাশযাপন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ১৯৯৯ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩০ বছর মেয়াদে প্রায় ১৬২ হেক্টর জমি ইজারা নেয় যমুনা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চুক্তি অনুসারে পাওনা পরিশোধ ও সার্টিফিকেট অব সেটিসফেকশন (সিএস) স্বাক্ষর না করার কারণ দেখিয়ে জেআরএলের সাথে ওই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের নোটিস দেয়া হলে জেআরএল কর্তৃপক্ষ ঢাকা জেলা জজ আদালতে সালিশি মামলা করে। আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের উপর স্থিতাবস্থা দেন। আর শুনানি শেষে ২২ এপ্রিল সালিশি মামলার আবেদনটি খারিজ করেন।
এর বিরুদ্ধে জেআরএল হাইকোর্টে গেলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ গত ২৩ এপ্রিল সেতু কর্তৃপক্ষের নোটিস স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন। জেআরএলের মামলা খারিজের আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান হাইকোর্ট। সেই সাথে নোটিসের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
ওই আদেশ স্থগিতের আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৬ এপ্রিল চেম্বার আদালতে গেলে বিচারক বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সেই সাথে যমুনা রিসোর্টের উপর স্থিতাবস্থা দেন বিচারক। পরে ৩০ এপ্রিল শুনানি করে আপিল বিভাগ নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। সেই লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলেন। সূত্র : নয়া দিগন্ত