Skip to content

যাঁরা হজে যাচ্ছেন

প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে যান। তাঁদের অনেকেরই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্নায়ু ও বাতরোগ, কিডনি জটিলতা ইত্যাদি আছে। অনেকেই সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হজে যাওয়ার আগেই নিজ নিজ চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধের মাত্রা ও প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা করে নেওয়া ভালো।

* হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় প্রচুর হাঁটতে হয়। তাই খানিকটা হাঁটার অভ্যাস করে নিলে ভালো। আরামদায়ক হাঁটার জুতো কিনে নিন। একেবারে নতুন জুতো না নিয়ে আগেই এটা পরে বেশ হাঁটাহাঁটি করে মানিয়ে নিন।

* মক্কার আবহাওয়া শুষ্ক ও উষ্ণ। তাই প্রচুর পানি, ফল, ফলের রস খাবেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি পানীয় বা জুস পরিহার করুন, পানি বেশি করে খান। খুব ঘামলে স্যালাইন খেতে পারেন। অতিভোজন বা অল্পাহার—কোনোটাই করবেন না।

* আবহাওয়ার এই শুষ্কতায় অভ্যস্ত নন বলে অনেক বাঙালির শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ হয়। আবার জনসমাগম বেশি বলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। খুসখুসে কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, হাঁচি, জ্বর হওয়া বিচিত্র নয়। কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করবেন। প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সঙ্গে নিন। মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।

* হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একটানা রোদের মধ্যে হাঁটা বা পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। মাঝে মাঝেই ঠান্ডা জায়গায় বসে বিশ্রাম নেবেন। অতি রোদে ছাতা ব্যবহার করুন। ঠেলাঠেলি এড়িয়ে চলুন।

* ডায়াবেটিসের রোগীরা ওষুধ গ্রহণ করার পর সময়মতো খাবেন। রক্তচাপ বা হৃদ্‌রোগের ওষুধ, হাঁপানির ইনহেলার কখনোই বাদ দেবেন না।

* প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ, খাবার স্যালাইনের প্যাকেট, কাটাছেঁড়ার জন্য কটন ব্যান্ডেজ, আয়োডিন, স্যাভলন, অ্যান্টিসেপটিক ও পোড়ার মলম সঙ্গে নিন। গ্লকোমিটার, থার্মোমিটারও নিন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখুন। চশমা নিন কয়েকটা।

* অসুস্থ বোধ করলে বাংলাদেশ হজ মিশন বা নিকটস্থ হেলথ ক্যাম্পে সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।

ডা. এ হাসনাত শাহীন
ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস হাসপাতাল। সৌজন্যে: প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *