Skip to content

যাত্রীদের যেসব আচরণে বিমানবালারা বিরক্ত হন

Air-Hostess

ফাহিম ইবনে সারওয়ার
অনেকেই মনে করেন, বিমানবালাদের চাকরিটা মজার। কারণ, সকালে এক দেশে তো বিকেলে আরেক দেশে থাকেন তাঁরা। কাজের সুবাদেই বিভিন্ন দেশ ঘোরা হয় তাঁদের। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। কিন্তু বিমানে কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায়ও পড়তে হয়, বিশেষ করে বিভিন্ন যাত্রীর আচরণের কারণে।

যাত্রীদের কোন কোন আচরণে বিব্রত হন বিমানবালারা? সে খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা হাফিংটন পোস্ট।

পত্রিকাটির পক্ষ থেকে বিমানবালাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যাত্রীদের কোন আচরণগুলো একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা খুশি হতেন? বেশির ভাগ বিমানবালা জানিয়েছেন, যাত্রীরা যখন বাচ্চাদের নোংরা ন্যাপি ফেলার জন্য তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেন, তখন তাঁরা সবচেয়ে বেশি বিব্রত বোধ করেন। এটাই সবার আগে বন্ধ হওয়া উচিত।

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ক্যারিয়ার কানেকশন নামে এক ফেসবুক পেজে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিমানবালারা।

পানীয় পছন্দ করার ব্যাপারে অনেক যাত্রীই দীর্ঘ সময় নেন। অনেকে আবার নিজেদের মধ্যে এ বিষয়ক আলাপ-আলোচনা সেরে নেন। এ বিষয়টি বিমানবালাদের জন্য অস্বস্তিকর বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কোনো পানীয় নিতে চাইলে সেটা যাত্রীরা যেন দ্রুত ঠিক করেন, এমনটাই অনুরোধ তাঁদের।

Air-Hostess2

আরো আছে। সিটের পেছনে ময়লা না রাখার জন্যও যাত্রীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন বিমানবালারা। খাবার অর্ডার দেওয়ার সময় কানে হেডফোন লাগিয়ে বিমানবালাদের সঙ্গে কথা না বলার জন্যও অনুরোধ করেছেন কেউ কেউ। কারণ, একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় ভদ্রতাবশতই হেডফোন কান থেকে খুলে কথা বলা উচিত।

আরো যে ধরনের অদ্ভুত আচরণের মুখোমুখি বিমানবালাদের হতে হয়, তার তালিকাটাও লম্বা। এমন অনেক যাত্রী আছেন, যাঁরা নাকি বিমানবালাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক সময় জামা ধরে টানতে থাকেন! এটা একজন বিমানবালার জন্য কতটা বিব্রতকর, সেটা আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই।

এ ছাড়া বিমানবালারা অনেক সময় যাত্রীদের দ্বারা শারীরিকভাবে বা যৌন হয়রানির শিকারও হয়ে থাকেন। গ্লাসগো থেকে তুরস্ক যাওয়ার পথে একটি বিমানে অ্যান্ড্রু টশ নামের এক ব্যক্তি একজন বিমানবালাকে বিমানের মধ্যেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিমানের পাইলট গ্যাটউইক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন এবং ওই যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সৌজন্যে : এনটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *