সড়কপথে নেপাল অথবা ভুটান যেতে চাইলে আপনার প্রয়োজন হবে ভারতের ট্রানজিট ভিসা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনও ধরনের ঝক্কি ছাড়াই মিলবে এই ভিসা। আবেদন ফরম পূরণ থেকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময়ে তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।
সাধারণত ১৫ দিনের ট্রানজিট ভিসা দেয় ভারত। এ সময়ের মধ্যে ভারতের সড়ক ব্যবহার করে নেপাল অথবা ভুটান যাওয়া আসা করতে পারবেন।
জেনে নিন ভারতের ট্রানজিট ভিসা নেবেন কীভাবে।
বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ১২টি ভারতীয় ভিসা আবেদনপত্র কেন্দ্র (আইভ্যাক) আছে। গুলশান (ঢাকা), মতিঝিল (ঢাকা), মিরপুর রোড (ঢাকা), উত্তরা (ঢাকা), যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুরে রয়েছে এগুলো।
প্রথমেই https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/ এই লিংকে গিয়ে অনলাইনে পূরণ করে ফেলুন আবেদন ফর্ম। ফর্ম পূরণের দিন থেকে পরবর্তী ৫ দিন পর্যন্ত থাকবে এর মেয়াদ। এরপর আর এই ফর্ম জমা দেওয়া যাবে না।
ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে ফর্ম পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে না গিয়ে একদিন পর যাওয়াই ভালো। এতে খুব বেশি সময় লাগে না।
ভিসার ধরন হবে ট্রানজিট। ট্রানজিট ভিসা ব্যবহার করে নেপাল যেতে চাইলে এন্ট্রি এবং এক্সিট পোর্ট হবে চ্যাংড়াবান্ধা/ রানিগঞ্জ। যদি ভুটান যেতে চান তবে চ্যাংড়াবান্ধা/ জয়গাঁও দেবেন।
ফর্ম ঠিক মতো পূরণ করে প্রিন্ট করে নিন।
ভিসা প্রসেসিং ফি হিসেবে ৬০০ টাকা জমা দিতে হবে আপনাকে।
আগে টুরিস্ট ভিসা থাকলে সেটা বাতিল হয়ে যাবে আপনা আপনিই।
ভিসা ফর্মের সঙ্গে আরও যেসব কাগজপত্র লাগবে
মূল পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগ থেকে সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী হতে হবে পাসপোর্ট।
পাসপোর্টের ইনফরমেশন পেইজের ফটোকপি।
আগের ভিসা থাকলে সেটার ফটোকপি।
ভিসা ফর্মের জন্য এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (২ বাই ২)। ছবি অবশ্যই ৩ মাসের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা এন্ডোর্সমেন্টের মূল কপি এবং ফটোকপি।
আবাসস্থলের প্রমাণস্বরূপ বৈদ্যুতিক বিলের ফটোকপি। বিল বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
পেশার প্রমাণস্বরূপ চাকরিজীবী হলে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) এর মূল কপি। ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্সের কপি। শিক্ষার্থী হলে প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র।
যাওয়া-আসার কনফার্ম টিকিটের অরিজিনাল কপি ও ফটোকপি।
ভুটানে হোটেল বুকিংয়ের কপি।
তথ্য: ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার। সৌজন্যে: বাংলা ট্রিবিউন।