খুব অপ্রত্যাশিত জায়গায় এদের জন্ম, বা গজিয়ে ওঠা। কিন্তু বর্ণ ও বৈচিত্রে এরা অন্যন্য৷ আমরা অনেকেই হয়ত এদের দিকে খেয়াল করি না। তাই আসুন তাদের দিকে ফিরে তাকাই …
ক্ষুদ্র বিস্ময়
অরণ্যের মাটির দিকে ভালোভাবে তাকালে, গাছের গুড়িতে বা স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালে এদের দেখা পাবেন। এদের সর্বত্রই দেখা যায়। এদের উজ্জ্বল বর্ণ যে কাউকে আকৃষ্ট করবে– এরা সত্যিই ভীষণ সু্ন্দর।
পাথরের শ্যাওলা
এদের বলা হয় ‘রাইজোকার্পন জিওগ্রাফিকুম’ বা মানচিত্র শৈবাল। নরওয়ের একটি পাথরের উপর থেকে এই শৈবালের ছবিটি তোলা হয়েছে।
সহাবস্থান
ফাঙ্গাস আর অ্যালগি থেকে শৈবালের জন্ম। এখানে ফাঙ্গাস (বাদামি) অ্যালগি কোষের (সবুজ) সঙ্গে মিশেছে। সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যালগি কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি থেকে চিনি উৎপাদন করে এবং ফাঙ্গাস সেই খাদ্য খেয়ে বাঁচে।
রেইন ডিয়ার বা বল্গা হরিণ
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রেইনডিয়ার নামের এই শৈবালকে নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও দেখেছেন? বিভিন্ন গাছে বা ঝোপঝাড়ে ফুলের মতো দেখতে এই শৈবালদের দেখা যায়।
ক্রোম ইয়েলো
সব শৈবালই পুষ্টিকর খাবার নয়। এই সুন্দর রঙের ‘নেকড়ে শৈবাল’ বিষাক্ত শৈবালগুলোর মধ্যে অন্যতম। নেকড়ে ও খেঁকশিয়ালরা এর বিষের শিকার হয়।
স্পর্শকাতর শৈবাল
শৈবাল দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে টিকতে পারে না। এই শৈবালগুলোর ছবি নরওয়ের একটি বন থেকে তোলা। জার্মানিতেও এদের দেখা পাওয়া যায়। তবে এরা এখন বিলুপ্তির পথে।
অদম্য শক্তি
কেবলমাত্র স্পর্শকাতর নয় এমন কিছু শৈবাল আছে, যারা শত ঝড়ঝাপ্টাতেও টিকে থাকে। অ্যান্টার্কটিকা হোক বা মরুভূমি, তারা ঠিকই বেঁচে থাকে। গালাপাগোসের সৈকতে একটা প্লাস্টিকের বোতলে দেখা যাচ্ছে এমন এক ধরনের শৈবাল।
আরোগ্য শক্তি
পাতার মতো দেখতে এই শৈবালের নাম ‘আইসল্যান্ড মস’। কয়েক ধরনের চা বা ট্যাবলেটে এটি ব্যবহৃত হয়।
অদ্ভুত ধরন
এটা দেখে মনেই হয় না শৈবাল। মনে হয় যেন কোনো শক্ত পাথর। ‘আগ্নেয়গিরি শৈবাল’-এর দেখা পাওয়া যায় গালাপাগোসে এবং এরা অন্যদের থেকে একেবারেই ভিন্ন।
বাদামি টুপি
ফাঙ্গাল স্পোর থেকে শৈবালের পুনরুৎপাদন হয়। এদের বলা হয় ‘বাদামি টুপি’ শৈবাল। ইউরোপ, উত্তর অ্যামেরিকা এবং এশিয়ায় এদের দেখা মেলে।
নতুন বিশ্ব
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বে ২০ হাজার প্রজাতির শৈবাল রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলছে। সম্প্রতি এই বিশেষ শৈবালটির খোঁজ পেয়েছেন রুয়ান্ডাতে। সৌজন্যে: ডয়চে ভেলে