Skip to content

রবিউল আউয়ালের বন্ধে মৈনট ঘাট

branding2

ঢাকার একেবারে কাছে। দোহারের কার্তিকপুরের যে জায়গাটি পদ্মাপাড়ে গিয়ে মিশেছে তার নাম মৈনট ঘাট। ডানে-বাঁয়ে বালু চিকচিক করা স্থলভূমি। সামনে রুপোর মতো চকচকে পানি। এটা পদ্মা, আমাদের প্রিয় পদ্মা নদী। মৈনট পদ্মাপাড়ের একটি খেয়াঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে। খেয়া পারাপারের জন্য জায়গাটির পরিচিতি আগে থেকেই ছিল। তবে এখন সেটা জনপ্রিয় বেড়ানোর জায়গা হিসেবেও। এত দিন অনেকটা আড়ালে থাকলেও ঢাকার কাছে বেড়ানোর ‘হটস্পট’ এখন এই মৈনট ঘাট।

মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া মৈনট ঘাটের নতুন নাম হলো—মিনি কক্সবাজার!

Mostafiz2

বিশাল পদ্মার রূপ মৈনট ঘাট এলাকায় বিস্ময়-জাগানিয়া। একটু পরপর পদ্মার ঢেউ কূলে এসে আঁছড়ে পড়ে। খানিক পরপর মাছ ধরার ট্রলার ছুটে চলে যাচ্ছে। তীরে সব ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। তাঁদের কেউ কেউ মাছ ধরার নৌকা দেখে মাছ কেনার জন্য এগোচ্ছেন। দরদাম ঠিক থাকলে অনেক পর্যটক মাছ কিনে নিচ্ছেন।

পুরো নদীর তীর ও তার আশপাশের এলাকা সমুদ্রসৈকতের মতো করে সাজানো।

এখানে সকালবেলাটা খুব ভালো কাটে, দুপুর কিছুটা মন্থর, তবে বিকেলবেলা অনেক বেশি জমজমাট।

সোনা রোদের গোধূলিবেলার তো কোনো তুলনাই চলে না।

কীভাবে যাব
১৩ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় নাস্তা শেষে বিজয়নগরে ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের অফিস থেকে রিজার্ভ করা গাড়িতে শুরু হবে আমাদের যাত্রা।

বাবুবাজার ব্রিজ পাড় হয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলবে পদ্মার উদ্দেশে।

মৈনট ঘাটে যাবার আগে আমরা দেখে নেব নবাবগঞ্জের রাজবাড়িসহ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা।

এরপর সোজা ঘাটে। এখানে থাকবে রিজার্ভ করা ট্রলার। যাব পদ্মায়। হবে সাঁতার প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে হয়তো সময় হবে দুপুরের খাবারের। ইচ্ছা আছে ট্রলারেই হবে খাবারের ব্যবস্থা।

খাবারের পর আবার ফিরে আসব ঘাটে।

বিকেলের সময়টা কাটাবো ঘাটেই। সূর্যাস্ত উপভোগের পর রওয়ানা দেব ঢাকার উদ্দেশে।

moinot-ghat3

ভ্রমণ খরচ: জনপ্রতি ১,০০০/= (এক হাজার) টাকা। ৩ বছরের নিচে ফ্রি। ডিটিসি মেম্বারদের জন্য ৯০০/= (নয়শত) টাকা।

ব্যুকিংয়ের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০১৬। বুকিংয়ের সময় সম্পূর্ণ ভ্রমণ খরচ পরিশোধ করতে হবে। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে খরচসহ দিতে হবে।

যোগাযোগ: মোস্তাফিজুর রহমান, ০১৬১২৩৬০৩৪৮

খরচের অন্তর্ভূক্ত
রিজার্ভ গাড়িতে মৈনট ঘাটে যাওয়া আসা।
সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের স্নাকস।
ট্রলার/বোট ভাড়া।

খরচে যা থাকছে না
ডিটিসে অফিসে আসা ও ইভেন্ট শেষে সেখান থেকে বাসায় যাওয়া।
ব্যক্তিগত খরচ।
অনাকাঙ্খিত কোনো খরচ।
যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।

মেনু
সকালের নাস্তা: ব্রেড, কলা, মিষ্টি, সেদ্ধ ডিম।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, সবজি/শাক/ভর্তা, মুরগি/ইলিশ, ডাল সালাদ।
বিকেলের স্নাকস: প্যাকেট বিস্কুট, চা।

moinot-ghat2

যা যা সাথে নিতে পারেন
নদীর পাড়ে বিছিয়ে বসার জন্য চাদর, হাতে বহনযোগ্য চেয়ার।
শীতের কাপর, মাফলার, কান টুপি।
সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাইলে গামছা, লুঙ্গি ও সাবান।
পানির বোতল। টিস্যু।
ক্যামেরা ও ব্যাটারি।
মোবাইল চার্জের জন্য ডাটা ব্যাংক।
ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস ও সানব্লক (চরে রোদ প্রোটেকশন দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই)।
প্রয়োজনীয় ওষুধ।
ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

ভ্রমণকে উপভোগ করুন, যা মনে রাখতে হবে
ভ্রমণ পিপাসু মন। ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে তার দায় ডিটিসির নয়।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
চর এবং ট্রলারে টয়লেট নেই তাই লঞ্চেই বাথরুমের কাজ সেরে নিতে হবে।
নদী বা পানিতে যাদের ভয় আছে তাদের জন্য এই ট্যুর নয়।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
ট্যুরের যেকোনো বিষয় কোনো ঘোষণা ছাড়া পরিবর্তনের ক্ষমতা ডিটিসি সংরক্ষণ করে।

moinot-ghat

পরবর্তী আকর্ষণ
বড় দিনের বন্ধে বান্দরবানে তিন দিনের ট্যুর।
জানুয়ারিতে সুন্দরবন ট্যুর, জনপ্রতি খরচ ১০,৫০০/= টাকা থেকে শুরু।
৯ ফেব্রুয়ারি শিলং-চেরাপুঞ্জি-গৌহাটি গ্রুপ ট্যুর, জনপ্রতি খরচ ১৬,৯৫০/= টাকা।
ডিসেম্বরে থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া গ্রুপ ট্যুর।
জানুয়ারিতে গ্রুপ ওমরাহ, জনপ্রতি খরচ ১,২৫,০০০/= টাকা।

আপডেট জানতে নিয়মিত চোখ রাখুন:
ওয়েব সাইট: dhakatouristclub.com
ফেইসবুক পেজ: facebook.com/dhakatouristclub
ফেইসবুক গ্রুপ: facebook.com/groups/dhakatouristclub

যোগাযোগের ঠিকানা: ১৮০-১৮১, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণী (অষ্টম তলা), বিজয় নগর, ঢাকা- ১০০০। মোবাইল: ০১৬১২ ৩৬০৩৪৮। ই-মেইল: dhakatouristclub@gmail.com

cover-photo

ছবিতে ক্লিক করে জেনে নিন বিস্তারিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *