খেজুর সারা বছর পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে রমজান মাস ছাড়া ফলটি কমই খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন? ফলটি পুষ্টির এক অসীম উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আসুন জেনে নিই খেজুরের নানা পুষ্টিগুণ:
শরীরে শক্তি যোগায়
খেজুরে আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ, যা তাৎক্ষণিক শরীরে শক্তি উৎপাদন করে। শরীর খুব ক্লান্ত থাকলে খেজুর শরীরের ক্লান্তি দূর করে নিমিষেই চাঙা করে তোলে। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী।
রক্ত স্বল্পতা
শরীর রক্তস্বল্পতায় ভুগলে নিয়মিত খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুর শরীরে রক্ত তৈরি করে দেহে রক্তের চাহিদা পূরণ করে।
বাড়তি চর্বি নেই
খেজুরে বাড়তি চর্বি থাকে না। ফলে খেজুর খাওয়া শুরু করে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। খেজুরে আছে এক ধরনের আঁশ যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাক হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ডায়রিয়া হলে কয়েকটি খেজুর শরীরকে সুস্থ্য করতে সাহায্য করে।
ওজন কমে
খেজুর শরীরে শর্করার চাহিদাও পূরণ করে। ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে শর্করাজাতীয় অন্য খাবার না খেলেও চলে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে খেজুর।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
এক গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় অনেক।
রুচি বাড়ায়
খেজুর খাওয়ার রুচি অনেক বাড়িয়ে দেয়, যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখে
খেজুরের ফ্রুক্টোজ ত্বকের লাবণ্য বাড়ায়, ত্বক সুন্দর রাখে।
চোখ ভালো রাখে
ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে খেজুর।
হজমসহায়ক
মুখের লালা ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর।
মস্তিস্কের জন্য দরকারী
খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য
৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের এই দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে। নবজাতকের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বাড়াতেও খেজুর কার্যকর ভূমিকা রাখে।
হাড় ও দাঁত ভালো রাখে
আমরা জানি, ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় বিশেষভাবে কাজ করে। আর খেজুর দেহে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে।
আয়রণের উৎস
খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। রক্তে লৌহিত কণিকার প্রধান উপাদানের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। খেজুর লৌহসমৃদ্ধ বলে এই রক্তশূন্যতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম, যা শরীরের স্নায়ুগুলোকে সচল রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, যা ষ্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সূত্র: সমকাল