Skip to content

ল্যুভর আবুধাবি : নজর কেড়েছে নানা দেশের

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে দেশি-বিদেশিদের নতুন আকর্ষণ এখন ল্যুভর আবুধাবি। গত বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। তবে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শনিবার। এরপরই জাদুঘরে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ইতোমধ্যেই ইতিহাস-ঐতিহ্যপ্রেমীদের নজর কাড়তে শুরু করেছে এই জাদুঘর। এই দর্শনার্থীদের মধ্যে যেমন ছিলেন আমিরাতবাসী; তেমনি এশিয়া, ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর বহু বেশভূষার হাজারো মানুষ।

ল্যুভর আবুধাবিই প্রথম জাদুঘর, যা ফ্রান্সের বাইরে দেশটির বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখানে থাকছে বিশ্বখ্যাত ফরাসি শিল্পকর্মের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সভ্যতার নিদর্শন। আধুনিক আলোকোজ্জ্বল অবকাঠামোয় প্রদর্শন করা হচ্ছে প্রায় ছয় শ নিদর্শন।

‘আরব বিশ্বে প্রথম সর্বজনীন জাদুঘর’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ল্যুভর আবুধাবি সাদিয়াত দ্বীপে অবস্থিত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির উপকণ্ঠের এই দ্বীপের সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের কথা মাথায় রেখে এখানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ল্যুভর আবুধাবির জন্য অভিজ্ঞতা ও ঋণের আওতায় শিল্পকর্ম সরবরাহ এবং অস্থায়ী প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে ফ্রান্স। এর বিনিময়ে ফ্রান্সকে দিতে হবে এক শ কোটি ইউরো। নতুন এই জাদুঘরকে আগামী দুই বছরের জন্য শিল্পকর্ম ধার দেবে প্যারিসের ল্যুভর।

ল্যুভর আবুধাবির নিজস্ব সংগ্রহেও রয়েছে বেশ কিছু নিদর্শন। এর মধ্যে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার শুরুর দিক থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন নিদর্শন উল্লেখযোগ্য।

অন্য সবার মতো শনিবার ল্যুভর আবুধাবিতে গিয়েছিলেন ফিলিপাইনের নাগরিক গিগলড র‍্যাচেল অ্যাকুইনো। তিনি আবুধাবিতেই বসবাস করছেন এখন। তিনি বলেন, ‘ল্যুভর দেখে আমার কী যে ভালো লেগেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’

জাদুঘরের পেছন দিকে উন্মুক্ত জায়গায় ছবি তুলছিলেন ব্রাজিলের অ্যালেক্স ভিয়েরা ও মারসেলো দ্য পলা জুটি। ভিয়েরা বলেন, ‘প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘরে তিনবার গিয়েছি আমি। আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে সেই ল্যুভরকে এখানে দেখতে পেরে আমার ভালো লাগছে।’

তবে আমিরাতের বাসিন্দা স্থপতি বাদরিয়া আল-মাজিমির মতে, ল্যুভর আবুধাবি কোনোমতেই প্যারিসের ল্যুভরের সংস্করণ হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘ল্যুভর আবুধাবি শুধু একটা ভবনই নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। আপনি যখন আশপাশে ঘুরে বেড়াবেন, আপনার মনে হবে, আপনি আমিরাতের পুরোনো কোনো অংশে রয়েছেন।’ বাদরিয়া আল-মাজিমির কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে নানা দেশের নানা জাতির মানুষের এই উপচে পড়া ভিড়। তিনি বলেন, ‘এটা আসলেই বিশেষ কিছু। বিদেশের মাটিতেই কেবল এমনটা চোখে পড়বে আপনার। এখন তা আমিরাতেই দেখা যাচ্ছে।’ সৌজন্যে: প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *