Skip to content

শীতের দুই সমস্যা : ঠোঁট ও পা ফাটা

শীতে ঠোঁট ও পা ফাটার সমস্যায় অনেকেরই পড়তে হয়। একটু সচেতন হয়ে যতœ নিলে এ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। যত্নের উপায় জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ  খালেদা পারভীন সিনথিয়া

123456789

ঠোঁট
অনেকের সারা বছরই ঠোঁট ফাটে, কারো আবার শুধু শীতে। এর প্রধান কারণ পানিশূন্যতা। শীতে পানি কম পান না করে বরং বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠোঁট ফাটা রোধ করতে নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে হাত-মুখ ধোয়ার সময়ই নরম গামছা বা রুমাল ভিজিয়ে আলতো করে ঠোঁট মুছে ফেলতে হবে। এরপর পেট্রেলিয়াম জেলি, লিপএনহেনস কিংবা গ্লিসারিন লাগাতে হবে। লিপস্টিক ব্যবহার করলে গ্লিসারিন বা ক্রিম বেইজড লিপস্টিক বেছে নিতে হবে।

পা
শীতের শুরুতেই পায়ের যত্ন নিলে পা ফাটা রোধ করা সম্ভব। পানিশূন্যতা ছাড়াও পায়ের ত্বক অপরিষ্কার থাকলেও পা ফাটে। এ ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ফিরে পা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে সাবান ব্যবহার করতে হবে। এরপর মুছে ময়েশ্চারাইজার বা পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন কুসুম-গরম পানি বালতিতে নিয়ে এর মধ্যে লিকুইড সোপ বা শ্যাম্পু কয়েক ফোঁটা দিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর পা তুলে ঝামা দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লোশন বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। এর পরও যাদের পা ফাটবে, তাদের রাতে পা ভালো করে ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্নিসারিন লাগিয়ে নরম সুতির মোজা পরে ঘুমাতে হবে।

টিপস
♦ ঠোঁট ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজল সমপরিমাণ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
♦ ঠোঁট ফেটে চামড়া উঠলে হাত দিয়ে টেনে না তুলে ভেসলিন বা গ্লিসারিন দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নরম কাপড় দিয়ে ঠোঁট মুছে নিন।
♦ দিনে এক বা দুবার দুধের সর ৫ থেকে ৬ মিনিট ঠোঁটে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁটের ফাটা দাগ থাকবে না।
♦ পায়ের ত্বক মসৃণ করতে মধু, গ্লিসারিন, লেবুর রস ও ঘৃতকুমারীর রস একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
♦ যাঁদের পায়ের হাড়ের সন্ধিস্থানে কালো দাগ পড়ে, তাঁরা সাবান বাদ দিন। কালো দাগযুক্ত স্থানে লেবুর রস ও মধু লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে দাগ হবে না।
♦ অনেকের পায়ের গোলাড়ির চামড়া ছাড়াও ত্বকও ফাটে। তিলের তেল এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
♦ শীতে অনেকের নখ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সে ক্ষেত্রে লেবুর খোসা মুড়ি বা চানাচুরের সঙ্গে মিশিয়ে ১৫ দিন নিয়মিত খেলে নখ ভাঙা বন্ধ হয়ে যাবে। সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *