এই পৃথিবী কার বা কাদের? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকভাবেই দেয়া যেতে পারে, তবে আমাদের দৃষ্টিতে এই পৃথিবী শুধু ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য। ভ্রমণের জন্য নানরকম ভয়ংকর জায়গায়ও রাত কাটাতে দ্বিধাবোধ করছে না কেউ কেউ। আর যারা এই রোমাঞ্চকর পরিবেশে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান তাদের জন্য পাহাড়ের কোল ঘেষে গড়ে ওঠেছে মনোমুগ্ধকর হোটেল স্যুট। আর এমনি এক হোটেলের খোঁজ পাওয়া গেল পেরুর কুসকো শহরে।
নাটুরা ভাইব নামে পর্বতের কোল ঘেষে গড়ে ওঠেছে স্কাইলজ নামে এই হোটেল স্যুটটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চার হাজার মিটার উপরে অবস্থিত এই পর্বতটিতে তিনটি হোটেল স্যুট রয়েছে। হোটেল স্যুটটি দৈর্ঘ্যে প্রায় সাত মিটার এবং প্রস্থে দুই দশমিক চার মিটার। নীচ থেকে ক্যাপসুল লিফটে করে যেতে হয় উপরের দিকে। দূর থেকে দেখতেও এক একটি স্যুটকে ক্যাপসুল লিফটের মতো দেখায়। এক একটি স্যুটে চারটি করে বেডরুম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একটি ডাইনিং ও ড্রইংরুম। বেডরুমের জানালা দিয়ে উপভোগ করা যায় মনোরম পর্বতের দৃশ্য। দিনে আলোর প্রয়োজন না হলেও রাতের অন্ধকারের সমস্যা দূর করার জন্য আছে সোলার প্যানেল। এর সাহায্যে সর্বক্ষন রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
হোটেল স্যুটগুলোতে দম্পতিদের থাকার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঝুলন্ত হোটেলস্যুটগুলো যাতে ঝড়ে বা বৈরি আবহাওয়ায় কোনরকম ক্ষতি না হয় তার জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। হোটেলটির চারপাশের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে শক্ত অ্যালুমিনিয়াম ও পলিকার্বনেট দিয়ে। তবে এতো কিছুর মাঝেও রয়েছে কিছু অসুবিধা। হোটেলগুলোতে থাকতে হলে আপনি পাবেন না কোন প্রকার রুম সার্ভিস। তাই হয়তো খাবার সঙ্গে করে আনতে হবে নয়তো নিজে রান্না করে খেতে হবে।
২০১৩ সালের গ্রীষ্মকালে হোটেলটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এখানে রাত কাটাতে প্রতি রাতের জন্য আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ২৮৯ ইউএস ডলার বা প্রায় তেইশ হাজার টাকা। তবে এক একটি স্যুটে আটজনের বেশি মানুষ ওঠা সম্ভব নয়। আর যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের এই হোটেলগুলোতে রাত না কাটানোই শ্রেয়। সৌজন্যে : বাংলামেইল