বর্তমান সময়ে যেসব ভাষা কোথাও-না-কোথাও বলা হয় সেগুলোই জীবিত ভাষা। অনেক দেশে রাষ্ট্র ভাষা ছাড়াও কয়েকশ’ ভাষায় কথা বলা হয়। এমন কয়েকটি দেশের কথা থাকছে রকমারিতে।
ব্রাজিল
ভাষার উপর গবেষণাকারী সংগঠন এথনোলগের মতে, ব্রাজিলে বর্তমানে ২১৬টি ভাষার প্রচলন আছে। তবে ২১টি ভাষা এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে। ব্রাজিলের প্রধান ভাষা পর্তুগিজ।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান ভাষা ইংরেজি। এখানেও ২১৬টি ভাষার প্রচলন রয়েছে। তবে হারিয়ে গেছে ১৮৪টি ভাষা। এই দেশের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাটিই ব্যবহৃত হয়।
ক্যামেরুন
মধ্য আফ্রিকার এই দেশে ২৮১টি ভাষায় কথা বলা হয়। এর মধ্যে ৫৫টি আফ্রো-এশিয়ান এবং ১৬৯টি নাইজার কঙ্গো ভাষা। তবে দেশটির রাষ্ট্র ভাষা ইংরেজি এবং ফরাসি।
মেক্সিকো
মেক্সিকোতে ২৮৫টি ভাষার প্রচলন রয়েছে। এলাকাভিত্তিতে এখানে ভাষার ব্যবহার হয়। যেসব এলাকায় যে ভাষায় বেশি মানুষ কথা বলে, সেই এলাকার সরকারি কাজকর্মে ওই ভাষার চল আছে। রাষ্ট্রভাষা স্প্যানিশ না হলেও অনেক মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
চীন
চীনে মোট ভাষার সংখ্যা ৩০০। দেশটির রাষ্ট্রভাষা ম্যান্ডারিন। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
অ্যামেরিকা
অ্যামেরিকায় ৪২২টি ভাষার প্রচলন রয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, প্রবাসীরা এর মধ্যে ২১১টি ভাষায় কথা বলে। অ্যামেরিকার রাষ্ট্রভাষা ইংরেজি।
ভারত
ভারতে গত ৫০ বছরে ২৩০টি ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। তারপরও ৪৫৪টি ভাষা টিকে আছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ হিন্দিতে কথা বলে। রাষ্ট্রভাষা হিন্দি হলেও সরকারি কাজকর্মে ইংরেজি ভাষা বেশি ব্যবহৃত হয়।
নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ায় বর্তমানে ৫২৯টি ভাষা চালু রয়েছে। রাষ্ট্রভাষা ইংরেজি, কিন্তু ইয়োরুবা, হাওসা এবং ইগবো সংসদে ব্যবহৃত হয়।
ইন্দোনেশিয়া
দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ায় মোট ৭০৭টি ভাষার প্রচলন রয়েছে। এর মধ্যে ৯৮টি ভাষা বিশেষ কিছু এলাকায় বলা হয়। এই ভাষাগুলো হুমকির মুখে রয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনি
পাপুয়া নিউগিনি এমন একটি দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি ভাষাভাষী মানুষ রয়েছে। এথনোলগ তথ্যভাণ্ডারের তথ্য অনু্সারে এখানে মোট ৮৩৯টি ভাষার প্রচলন রয়েছে। কেবল পাপুয়ার পূর্বাঞ্চলে যত ভাষায় কথা বলা হয়, তা পুরো ইউরোপের ভাষার সমান। (এমএল/এপিবি) সৌজন্যে: ডয়চে ভেলে