পা ঘামা শরীরের একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু সচেতন না হলে সাধারণ সমস্যাটি হয়ে উঠতে পারে বিপত্তির কারণ। যদিও পা ঘামার সুনির্দিষ্ট কারণ আজও জানা যায়নি। তবে মানসিক দুশ্চিতার কারণে পা ঘামতে পারে। বংশগত কারণেও এ সমস্যাটি হতে পারে। পা ঘামা থেকে শুরু হয় বিভিন্ন সমস্যা। এর মধ্যে পায়ের দুর্গন্ধ অন্যতম। মূলত ঘাম থেকে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়ায় এই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। অপরিষ্কার মোজা থেকেও দুর্গন্ধ ছড়ায়। চলুন জেনে নিই দুর্গন্ধ রোধের কিছু উপায়।
* সবসময় পা পরিষ্কার রাখুন।
* দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য চামড়ার জুতা বেছে নিন। এতে গন্ধ ছড়ায় না।
* আরামদায়ক সুতির মোজা বেছে নিন। একদিন ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলুন।
* বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু অথবা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
* জুতা পরিষ্কার রাখুন। সপ্তাহে একদিন রোদে শুকিয়ে নিন।
* বাজারে ঘাম শুষে নেওয়ার জুতা পাওয়া যায়। চাইলে এই জুতা ব্যবহার করতে পারেন।
* দুর্গন্ধ রোধে জুতার সোলের নিচে দুটি করে ইউক্যালিপটাস পাতা বা দুই টুকরো মেনথল রাখতে পারেন।
* অতিরিক্ত ঘাম রোধে পায়ে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। পা ভালো করে পরিষ্কার করে কিছুটা বেকিং সোডা পায়ে ঘষে নিন।
* জুতার ভিতরে বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারবে না।
* প্রতিদিন বাসায় ফিরে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। পা ঘামা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যাবে।
* যাদের মাত্রাতিরিক্ত পা ঘামে এবং গন্ধ ছড়ায় তারা পায়ে ফ্রেড লোশন লাগাতে পারেন। জুতা পরার এক ঘণ্টা আগে এটি পায়ে মাখতে হবে।
* চর্মরোগে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন।।
* ঘাম রোধে ওষুধ ও ফুটবাথ নিন।
* যদি শীত-গ্রীষ্ম যে কোনো ঋতুতে হাত-পা ঘামতে থাকে তবে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন