Skip to content

সমুদ্র সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা সুইমিং জোন

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা সুইমিং জোন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন সাইফুল আশরাফ জয়ের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসক আলী হোসেনের সহযোগীতায় তৈরি করা এ জোনে গত ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটতে পারছেন নারীরা।

এ উদ্যোগের ফলে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েরা, ছোট সন্তান নিয়ে ঘুরতে আসা নারীরা, সিঙ্গেল মাদার, দল বেঁধে ঘুরতে আসা নারীরা স্বস্তিতে সমুদ্র স্নান করতে পারবেন বলে মনে করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

সুগন্ধা পয়েন্টে নেমে ডান পাশের হোটেল সিগাল বরাবর তৈরি হয়েছে নারীদের এ একান্ত জোন। জোনের দু’পাশে দুটি প্ল্যাকার্ড পুঁতে দেয়া হয়েছে। যার একপ্রান্তে লেখা রায়েছে ‘মহিলাদের সাাঁতারের স্থান শুরু’। অন্যপ্রান্তে লেখা ‘মহিলাদের সাঁতারের স্থান শেষ’।

এখানে নারীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবেন সৈকতের নিরাপত্তা কর্মীরা। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনার আভাস পাওয়া গেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। এছাড়া নারীদের নিরাপত্তার জন্য থাকছে লাইফ গার্ড। তবে শুধু এ নির্ধারিত স্থানেই নারীদের স্নান করতে হবে এমনটা নয়। সৈকতের অন্য সকল স্থান উন্মুক্ত থাকবে তাদের জন্য। তবে যারা নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় ভুগবেন তারা নিশ্চিন্তে সাঁতার কাটতে পারবেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সারা বিশ্বে নারীদের জন্য আলাদা সাাতার জোন থাকলেও বাংলাদেশে এই প্রথম নেয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। এটাকে নারীর ক্ষমতায়নের একটা বড় অংশ বলে মনে করছেন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয়।

তিনি বলেন ‘ট্যুরিজম ও প্রটোকল শাখার দায়িত্ব পাবার পর থেকে নারীদের থেকে অনেক অভিযোগ পাচ্ছিলাম। সম্প্রতি কয়েকটি ইভটিজিংয়ের ঘটনায় শাস্তি হিসেবে জেলে পাঠাতে হয়েছে প্রায় ৮ জনকে। এছাড়া এ ধরণের অভিযোগ আমাদের কাছে প্রায়ই আসছে।’

‘‘পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যেসব নারীরা বাবা-ভাই, স্বামী বা পরিবারের পরুষ সদস্যদের ছাড়া আসছেন তারাই বেশি হয়রানি ও শারীরিক লাঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সেজন্য নারীদের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য নেয়া হয়েছে এ ব্যবস্থা।’’ সূত্র : ডিএমপি নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *