Skip to content

সিকিমের রাস্তায় ধস, ব্যাপক যানজটে আটকে মানুষ

ভারতের জাতীয় সড়কের উপর পরপর অনেকগুলি ভূমিধসের কারণে প্রায় বন্ধ পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্য়বস্থা। একের পর এক ধসের ফলে রাস্তা আটকে যাওয়ার কারণে ওই জাতীয় সড়কে ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কটিই পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং এবং শিলিগুড়ির সঙ্গে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সংযোগস্থাপন করে।
প্রশাসনের তরফে ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও ওই এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ভূমি ধসে পড়ার কারণে রাস্তা পরিস্কারের কাজ খুব একটা দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত তিনদিন ধরেই আসাম,অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে। এর ফলেই ওই ভূমি ধসের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সকাল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী জাতীয় সড়কের অন্তত তিনটি স্থান অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ওই ভূমিধসের কারণে। সেতিঝোরী, কালীমন্দির এবং সেবক পুলিস আউটপোস্টের কাছে নামে ওই ভূমিধস। অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং আসামেও বেশ কিছু ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই সব অঞ্চলেও আটকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
একনাগাড়ে চলা বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের চার জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আসামের তিনজনসহ মৃত্যু হয়েছে চারজনের। ১১টি জেলার দুই লাখেও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে তিন দিন টানা বৃষ্টির পরেও এখনও সিকিমসহ ওই রাজ্যগুলোতে আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অরুণাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আটশোরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এখনও নিখোঁজ বলে জানা গেছে।
আসামের জোড়হাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানির স্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তেজপুরেও ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ব্রহ্মপুত্রের গতিবিধি। অন্তত পাঁচটি জায়গায় ওই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রাজ্যের উদ্ধারকারী দলগুলোর পাশাপাশি ওইসব পানিবন্দি এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করতে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও । সূত্র: এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *