Skip to content

সৈকত শহর কক্সবাজার

দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, দিগন্ত বিস্তৃত নীল সমুদ্র, আকাশ ছোঁয়া পাহাড়সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে দেশের পর্যটন রাজধানীখ্যাত কক্সবাজারে। ঢাকা থেকে সড়ক ও আকাশ পথে সরাসরি যাওয়া যায় এ সৈকত শহরে।

দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত
বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ। এসব সৌন্দর্য্যের পসরা নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে প্রকৃতি রচনা করেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। ১২০ কিলোমিটার বিস্তৃত এ অবিচ্ছিন্ন সৈকত কক্সবাজার শহর থেকে শুরু করে টেকনাফের বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা প্রায় ১২০ কিমি. পর্যন্ত দীর্ঘ।

পরিচ্ছন্ন সৈকত
পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতটি জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ এর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।

ছুটিতে ভিড় বেশি
এই সময় কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। প্রচুর হোটেল আর রিসোর্ট থাকা সত্ত্বেও সেই সময় রাত যাপনের জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।

হোটেল, রিসোর্ট
কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত এলাকায় পাঁচ তারকা মানের একটি হোটেল। এই সৈকত শহরে পাঁচ তারকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল আর রিসোর্ট আছে। এ সব হোটেলে ধরনভেদে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় রাত যাপনের ব্যবস্থা আছে।

লাইফ গার্ড
লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সমুদ্র স্নানে নামা পর্যটকদের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখেন লাইফ গার্ডের সদস্যরা।

সূর্যাস্ত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মনোরম সূর্যাস্তের দৃশ্য।

ফিশারি ঘাট
বাঁকখালী নদীর তীরে অবস্থিত এই ঘাট। নানা ধরণের সামুদ্রিক মাছ দেখতে হলে যেতে হবে সেখানে। জেলেরা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে এখানেই জড়ো করেন বিক্রির জন্য।

নাজিরারটেক শুঁটকি কেন্দ্র
বঙ্গোপসাগর আর বাঁকখালী নদীর মোহনায় কক্সবাজারের নাজিরারটেকে দেশের সবচেয়ে বড় এই শুঁটকি কেন্দ্রটি অবস্থিত। সেখানে শুঁটকি তৈরির মূল মৌসুম অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। সেখানকার মাছের শুঁটকি বিদেশে রপ্তানিও হয়।

সৈকতে ঘুড়ি উৎসব
কক্সবাজার সৈকতে বর্ণিল ঘুড়ি উৎসবে মেতেছেন পর্যটকরা। প্রতিবছর জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন আকর্ষণীয় এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে।

মেরিন ড্রাইভ রোড
কক্সবাজার শহর থেকে সমুদ্র লাগোয়া মেরিন ড্রাইভ রোড চলে গেছে টেকনাফ পর্যন্ত। সড়কটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ।

হিমছড়ি
কক্সবাজার থেকে প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি সমুদ্রসৈকত। পাহাড় আর সমুদ্রের মিতালি পর্যটকদের খুব প্রিয়।

লাল কাঁকড়া
হিমছড়ির সৈকতে লাল কাঁকড়া। ভাটার সময় শুকিয়ে যাওয়া সৈকতে দলে দলে বেড়াতে আসা লাল কাঁকড়াদের দেখা যায় হিমছড়িতে।

ইনানী সমুদ্রসৈকত
কক্সবাজার থেকে প্রায় বিশ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত আরেকটি আকর্ষণীয় সমুদ্রসৈকত ইনানী। এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাথুরে সৈকত৷ সমুদ্র থেকে ভেসে এসে এখানকার বেলাভূমিতে জমা হয়েছে প্রচুর প্রবাল পাথর। ইনানীর সৈকতের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় সেন্টমার্টিন সৈকতের।

আরেকটি পাথুরে সৈকত
ইনানী সৈকতের মতো আরেকটি পাথুরে সৈকত হাজামপাড়া। কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের এ সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের আনাগোনা খুবই কম থাকে।

বর্ণিল সৈকত
বাংলাদেশের বর্ণিল সমুদ্রসৈকত টেকনাফ। কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এ সৈকতের অবস্থান। এখানকার সৈকতে জেলে নৌকাগুলো বর্ণিল পতাকা আর রঙে সাজিয়ে রাখেন জেলেরা।
প্রতিবেদন: মুস্তাফিজ মামুন, সৌজন্যে: ডয়চে ভেলে

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *