Skip to content

স্ট্রোক চেনার সাত লক্ষণ

স্ট্রোক হওয়ার আগে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো চিনতে পারলে এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারলে রোগীকে মারাত্মক ক্ষতির
হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। জেনে নিন স্ট্রোক চেনার সাতটি লক্ষণের কথা।

Strokeমস্তিষ্ক
এক সাথে কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে স্ট্রোক প্রকাশ পেতে পারে। স্ট্রোক হওয়া মানুষদের মধ্যে শতকরা পাঁচজনেরই হাত-পা অবশ
বা মুখ বাঁকা হয়ে যেতে দেখা যায়। এমনটা স্ট্রোক শনাক্ত করার একটি মোক্ষম লক্ষণ, বলেন ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের
নিউরোলজিস্ট প্রফেসার ডা. কর্নেলিউস ভাইলার।

কথা জড়িয়ে যাওয়া
মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া কোনো কারণে বাধাগ্রস্থ হলে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ নষ্ট হয়ে যায়। একেই স্নায়ু রোগ বা স্ট্রোক বলে।
হঠাৎ করে যদি কখনও কথা জড়িয়ে যায় বা একটি বাক্য পুরো বলতে কষ্ট হয় অথবা রোগী যা বলতে চাইছেন তা বোঝা না যায়,
তবে সেটা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত স্ট্রোকের লক্ষণগুলো শরীরের একাংশেই হয়ে থাকে।

হঠাৎ করে ভুলে যাওয়া
কেউ কিছু বলতে চাইছেন, কিন্তু বলার মুহূর্তে আর মনে করতে পারছেন না। বা কথা বলার সময় হঠাৎ করেই কথার খৈই হারিয়ে ফেলছেন। একেবারে হঠাৎ করে কিছু ভুলে যাওয়া বা মনে করতে না পারাটাও স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হতে পারে।

মাথা ঘোরা
শরীর দোলা, মাথা ঘোরা, ভারসাম্য রেখে হাঁটার ক্ষেত্রে অসুবিধা কিংবা দাঁড়ানো অবস্থা থেকে হঠাৎ করে পড়ে যাওয়া বা হোঁচট খাওয়া – এগুলোও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। তাই ঘরে বা বাইরে কাউকে এমন অবস্থায় দেখলে, বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

মাথা ব্যথা
মাথা ঘুরে যাওয়া, বমি বমি ভাব এবং বমি করাও স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। তবে শুধু এগুলোই স্ট্রোকের লক্ষণ নয়, এর সঙ্গে যদি অন্যান্য লক্ষণ থাকে, একমাত্র তবেই সাবধান হতে হবে। অবশ্য কোনো কারণ ছাড়া মাথা ব্যথা হলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

চোখে সমস্যা
স্ট্রোক হওয়ার আগে চোখে নানারকম সমস্যা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর মনে হয় যে, তিনি প্রতিটি জিনিস দু’বার করে দেখছেন। মাতাল অবস্থায় যেমন হয়, অনেকটা সেরকম। স্ট্রোক হলে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু বেশ কম।

কন্ঠস্বর বের না হওয়া
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গলার আওয়াজ বা কণ্ঠস্বর বের না হলে তা মস্তিষ্কের টিউমার বা অন্য কোনো সংক্রমণের কারণে হয়। আবার হঠাৎ করে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম হলে বা কোনো দুর্ঘটনা অথবা গুরুতর কোনো অ্যালার্জির আক্রমণেও এমনটা হতে পারে। আবার স্ট্রোকের কারণও হতে পারে। তাই এ লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সূত্র । ডয়চে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *