
বিছনাকান্দিতে মেঘালয়ের পাহাড় যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে
সিলেট বিমানবন্দর রোড ধরে বিছানাকান্দির পথ। দুই পাশে সবুজ চা বাগান। আপনি সিএনজিতে বসেই দেখবেন ছবির মতো করে আঁকা মেঘালয়ের পাহাড়গুলো, পাহাড়ের গায়ে মাঝে মাঝে সাদা রেখার ঝরনাগুলো। বিছানাকান্দি, সীমান্তহীন মেঘনীল আকাশ এখানে বড় উদার, নিজেকে মেলে ধরেছে। সিলেটের বিছানাকান্দিতে বর্ষায় পানির ঢল নামে। এখানে ভারত থেকে আসা শীতল স্বচ্ছপানি পর্যটকদের মন কাড়ে।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সিলেটে আপনি ট্রেনে বা বাসে করে যেতে পারেন। সিলেট শহরের যে কোনো প্রান্ত থেকে রিজার্ভ করা সিএনজি নিয়ে যেতে হবে হাদার বাজার, ভাড়া নেবে বড়জোর ৫০০ টাকা। সিলেটের আম্বরখানা থেকেও যাওয়া যায় আলাদাভাবে। সেখানে প্রতি সিএনজিতে চারজন করে নেওয়া হয় হাদার বাজার পর্যন্ত। ভাড়া জনপ্রতি ৮০ টাকা। সময় লাগবে দেড় ঘণ্টার মতো। হাদার বাজার নেমে নৌকা ঠিক করতে হবে বিছানাকান্দি পর্যন্ত। ভাড়া নেবে ৪০০-৫০০ টাকা আপ ডাউন।
যেখানে থাকবেন : সিলেট শহরে এখন অনেক উন্নতমানের হোটেল গড়ে উঠেছে। বিছানাকান্দিতে দিনে গিয়ে দিনে ফেরা যায় সিলেট শহর থেকে। তাই সিলেট শহরেই থাকতে পারেন। হোটেল হিল টাউন, ব্রিটানিয়া হোটেল, হোটেল দরগা ইন ছাড়াও অনেক ভালো হোটেল আছে।
সাবধানতা : বিছানাকান্দির পানিতে নামতে হলে আপনাকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভারত থেকে আসা স্রোতের বেগ এত বেশি ক্ষীপ্র থাকে যা স্বচ্ছ জলের জন্য ডাঙ্গায় থেকে পরিমাপ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এ জন্যই না বুঝে নেমে পড়লে প্রচণ্ড স্রোতের বেগ আর পাথরের ফাঁকে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
নোট : বিছানাকান্দির পথেই আরেক পর্যটন স্পট রাতারগুল হয়ে যেতে পারেন। এখান থেকে রাতারগুল খুব বেশি দূরে নয়। একটু কষ্ট করলেই আর মিস করতে হবে না। সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন