উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রয়েছে ডায়েট ফুড ক্যাটারিং। যার নাম স্লিমিং ডায়েট। এর মাধ্যমে আপনি চাইলেই ৩০ দিনে ৬ কেজি ওজন কমাতে পারেন। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কীভাবে সম্ভব? পাঠকদের তা জানাতেই আমাদের এবারের বিশেষ আয়োজন। স্লিমিং ডায়েট-এর কার্যক্রম দেখে এসে জানাচ্ছেন নওশীন শর্মিলী
সুস্থ ও সবল থাকার জন্য শরীরে ৪০ রকমেরও বেশি পুষ্টি উপাদান দরকার হয়। কেবল একটি বা এক রকমের খাবার সব রকমের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে না। তাই নানা রকমের খাবার আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রেখে এই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয় বা পুষ্টির সামঞ্জস্য করতে হয়। আর একেই বলে ব্যালান্সড ডায়েট।
এই ব্যালান্সড ডায়েটে অনেক রকমের খাবার থাকে বলে খাওয়ায় একঘেয়েমি আসে না। শরীর সুস্থ ও সবল থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের ব্যালান্সড ডায়েটে পাঁচ রকমের খাদ্য থাকতে হবে। প্রতি গ্রুপের খাদ্য থেকে পাঁচ রকমের খাবার আমরা একবেলা একটি করে খাব এবং প্রতি গ্রুপ (যেমন শর্করা, আমিষ, শাকসবজি, ফল ও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার) থেকে এক বা একাধিক রকমের পুষ্টি পাব। যেমন—পেয়ারাতে আছে ভিটামিন-সি, কিন্তু ওমেগা-৩ নেই, যা আছে মাছে। পনিরে আছে ভিটামিন বি-১২, কিন্তু ভিটামিন-সি নেই, পেয়ারায় ভিটামিন বি-১২ নেই। আবার এই পাঁচ গ্রুপের খাবারের ক্ষেত্রেও একেকটি গ্রুপের খাবারগুলোর একেক রকম পুষ্টি আছে। তাই প্রতি গ্রুপের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও ভিন্নতা আনতে হবে। প্রতি গ্রুপের খাবারগুলোও খেতে হবে একেক সময় বা দিন একেক রকম। অর্থাৎ একদিন শর্করা হিসেবে ভাত খেলেন অন্যদিন খেলেন রুটি বা নুডলস। কোনো সবজিতে ভিটামিন-সি বেশি, কোনোটাতে আবার আয়রন বেশি। তাই বিভিন্ন রকমের সবজি একেক বেলা একেক রকম খেতে পারেন। ফলের ক্ষেত্রে একবেলা কমলা খেলেন, তো আরেক বেলা তরমুজ বা কলা খান। আরেক দিন এক বেলা আম খেলেন, অন্য বেলা আপেল।
পাঁচ রকমের খাবারগুলো হলো—১.শর্করা : ভাত, আটা, ময়দা, পাস্তা, নুডলস, রুটি, সিরিয়াল বা ওটস ইত্যাদি। ২. আমিষ : মাছ, মাংস, ডিম, বিনস, বাদাম, ডাল। ৩. শাকসবজি ও ডাল। ৪. ফল এবং ৫. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার : পনির, দই ইত্যাদি।
আনন্দের বিষয় হলো, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রয়েছে ডায়েট ফুড ক্যাটারিং। যার নাম স্লিমিং ডায়েট (Diet Food Catering & Total Solution). রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত দেশের অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দক্ষ শেফ এবং একদল দক্ষ কর্মীর সমন্বয়ে গঠিত এই Sliming Diet. অধিক ওজন কমানোর জন্য দেশীয় খাবার হোম ডেলিভারির মাধ্যমে ৩০ দিনে ৬ কেজি ওজন কমানোর নিশ্চয়তা দিচ্ছে স্লিমিং ডায়েট।
স্লিমিং ডায়েট ফুড কখনোই শরীরের জন্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। বরং স্লিমিং ডায়েট ফুড সমান্তরালভাবে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ভেঙে ফেলে বলে হঠাত্ বয়স বেড়ে যাওয়া, চামড়া ঝুলে পড়া, চুল পড়ে যাওয়া—এ ধরনের কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। উপরন্তু আপনার সৌন্দর্য ও ত্বককে সজীব রাখবে ও শরীরিক দুর্বলতা অনুভূত হয় না। কারণ এটা একটি পরিপূর্ণ ডায়েট বা ব্যালান্স ডায়েট। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস, হূদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অধিক ইউরিক অ্যাসিড, কোলেস্টেরল, আর্থ্রাইটিস, শিশু স্বাস্থ্য ও গর্ভকালীন রোগীর জন্য বিশেষভাবে ডায়েট ফুড ক্যাটারিং করা হয়।
স্লিমিং ডায়েট খাবারের পরিবর্তে কোনো প্রকার Food Supplementary ব্যবহার করা হয় না। স্লিমিং ডায়েট প্রতিদিন ক্লায়েন্টের বাসা ও অফিসে ৬টি Meal ২টি ডেলিভারির মাধ্যমে রাজধানীর মধ্যে সরবরাহ করে থাকে এবং প্রতি ১০ দিন পর পর পুষ্টিবিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ থাকে। ক্লায়েন্টদের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্লিমিং ডায়েট আপসহীন। সৌজন্যে : ইত্তেফাক