চীনের নানজিং থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে সৌরশক্তি চালিত বিমান সোলার ইমপালস।
জ্বালানী ছাড়াই পৃথিবীতে এই প্রথমবারের মতন প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে অ্যামেরিকা পৌঁছানোর মতন দুঃসাধ্য কাজটি করতে যাচ্ছে সোলার ইমপালস ।
ফুয়েলবিহীন বিমানে চড়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিতে যখন ককপিটে চড়ে বসলেন সুইস পাইলট আন্দ্রে বোর্শবার্গ, তখন একটি ইতিহাসেরও জন্ম হলো বটে। কেবল সৌর শক্তিকে ভরসা মেনে এর আগে এতো লম্বা সময় ধরে এতো বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিতে পারেনি কেউ।
এই বিমান নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে একটানা পাঁচ-ছয় দিন উড়তে হবে আকাশে।
কিন্তু দীর্ঘ যাত্রাকালেও সর্বোচ্চ কুড়ি মিনিটের বেশি এক নাগাড়ে ঘুমানোর সুযোগ পাবেন না চালক।
কারণ বিমানের চালকই বিমানের একমাত্র যাত্রী।
এক সিটের এই বিমান নিয়ে যাত্রা করার পর থেকেই মোনাকো’র একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিরতিহীনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে পাইলটকে। আকাশে নির্ভুলভাবে উড়ার জন্যে এই সোলার ইমপালসের দরকার হবে অনুকূল বায়ু, যেটি বিমানটিকে সামনের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে।
এছাড়া বিমানটির সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পেতে গেলে প্রয়োজন হবে একটি স্বচ্ছ আকাশ। তবে, দীর্ঘ সময় আকাশে উড়ার কারণে তড়িতাহত বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার আশঙ্কা থাকায়, বিমান নিয়ে পৌঁছার পর তিনি সরাসরি এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবেন না।
বরং প্রথমে তিনি একটি ছোটো নৌকায় নামবেন, আর তারপর সেখান থেকে ওঠবেন একটি জাহাজে। এই যাত্রায় যদি বোর্সখবার্গ সফল হতে পারেন তবে একই সঙ্গে অনেকগুলো রেকর্ডেরও মালিক হবেন তিনি। নয়া দিগন্তের সৌজন্যে।