রাজধানীর হাতিরঝিলের রাস্তায় বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর ২০১৫) থেকে বৃত্তাকার (সার্কুলার) এই বাস সার্ভিস চালু করবে হাতিরঝিল প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাতিরঝিল প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করা। কিন্তু ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর প্রায় তিন বছর ধরে প্রকল্প এলাকার দুই পাশের ১৬ কিলোমিটার রাস্তায় কোনো বাস অথবা মিনিবাস চলাচলের অনুমতি ছিল না। ফলে এই এলাকার মধ্য দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, বনশ্রী, রামপুরা, নিকেতন, মধুবাগ, মহানগর প্রজেক্ট, উলন এবং মগবাজার এলাকায় বসবাসরত ব্যক্তিদের দুর্ভোগ ছিল নিত্যদিনের।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, বাস সার্ভিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে। এ ছাড়া প্রতিদিন হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা লোকজনের সংখ্যাও কম নয়। এ ক্ষেত্রে তাদের জন্যও এই সার্ভিস হবে বিশেষ একটি আকর্ষণ। এই সুযোগে হাতিরঝিলে দ্রুতগতিতে চলাচলের জন্য তৈরি রাস্তায় (এক্সপ্রেসওয়ে) অবৈধভাবে চলাচলকারী গাড়ির সংখ্যাও কমে আসবে বলে ধারণা জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার।
হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক মো. জামাল আক্তার ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় ২৭ আসনের চারটি সাধারণ বাস নিয়ে এই সার্ভিস চালু হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে আরও দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস নামবে। যাত্রী ওঠানামার জন্য প্রকল্প এলাকার ১০টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রামপুরা, মহানগর প্রজেক্ট, মধুবাগ, এফডিসি ক্রসিং, বেগুনবাড়ী, কুনিপাড়া, গুলশান আড়ং, পুলিশ প্লাজা এবং মেরুল বাড্ডা।
হাতিরঝিলসহ তেজগাঁও এলাকায় ভাওয়ালের রাজার এস্টেটের অনেক ভূসম্পত্তি ছিল। এস্টেটের হাতির পাল এখনকার ঝিলে বিচরণ করত বলে কালক্রমে এর নাম হয় হাতিরঝিল। সূত্র : প্রথম আলো