আকৃতিগত সাম্যাবস্থার কারণে আমরা প্রায়ই পাহাড়কে হাতি এবং হাতিকে পাহাড়ের সাথে তুলনা করে থাকি। কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা যে, প্রকৃতির নিয়মেই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এমন কিছু পাহাড় যাদের আকৃতিই কেবল হাতির মতো নয়, তাদের গঠনও হাতির অনুরূপ। এক নজর দেখে যে কেউ এই পাহাড়গুলোকে হাতি বলে ভুল করে বসবেন। পাহাড়গুলোর আকৃতি ও গঠনের পাশাপাশি এগুলোর অবস্থান হুবহু হাতিদের করা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মতো। কোনো কোনো পাহাড়কে দেখে মনে হবে একটি হাতি যেন সাগরের পানিতে গোড়ালি ডুবিয়ে বসে আছে। আবার কোনো কোনো পাহাড় যেন হাতির মতো শুঁড় ঝুলিয়ে চারপায়ে ভর করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
রহস্যে ঘেরা শহর জর্ডানের পেট্রা, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা ও আইসল্যান্ডের হাইমেন দ্বীপে এই হাতিরূপি পাহাড়ের দেখা মেলে। কারো কারো মতে, এই পাহাড়গুলো প্রকৃতির নিজস্ব খেয়ালেই গড়ে উঠেছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, পাহড়গুলো সৃষ্টির শুরু থেকেই এ রকম গঠন ধারণ করে আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অন্য কথা।
তাদের ধারণা, এল্ডফেল বা আগুনের পাহাড় থেকেই জন্ম হয়েছে এই হাতিরূপি পাহাড়ের। সৃষ্টির পর থেকে বিভিন্ন সময় হুটহাট লাভা উদগীরণ ছিল ৬৬০ ফুট উঁচু এই আগ্নেয়গিরির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। আর এই লাভা উদগীরণের ফলেই হাতির আকৃতি পেয়েছে পাহাড়গুলো। এই পাহাড়গুলোর বিভিন্ন অংশ হাতির শরীরের কুচকানো চামড়ার মতো, যা লাভা থেকে পাওয়া গাঢ় কালো শিলা দিয়ে তৈরি। আর এটিই বিশেষজ্ঞদের ধারণাকে সঠিক বলে প্রমাণ করে।
হাইমেন দ্বীপের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে এই হাতিরূপি পাহাড়গুলো। বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন হাইমেন দ্বীপে। তবে তাদের সবসময় সাবধান থাকতে হয় লাভা ও কেইকো নামের হিংস্র একটি তিমি থেকে। ভয় ও সৌন্দর্যের পাশাপাশি অবস্থান পর্যটকদের নিকট হাইমেন দ্বীপকে যেন আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সৌজন্যে: ইত্তেফাক