Skip to content

হিমালয়ের কোলে ছিপছিপে থিম্পু শহর

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর দেশ ভুটানের রাজধানী শহর থিম্পু৷ পাহাড়ের ঢালে ঢালে ছোট্ট এই শহরে আছে অনেক ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান৷

গ্রেট বুদ্ধ

বুদ্ধ দরদেনমা স্ট্যাচু বা গ্রেট বুদ্ধ দরদেনমা৷ ভুটানের রাজধানী থিম্পুর কুয়েসেলফোদরং পাহাড়ে বিশাল এই মূর্তিটি স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে৷ ২০১০ সালে এর কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও এখনো পুরোপুরি তা শেষ হয়নি৷ থিম্পু শহরের প্রায় সব জায়গা থেকেই বুদ্ধের এই মূর্তিটি দেখা যায়৷ ১৬৯ ফুট উঁচু বুদ্ধের এই প্রতিকৃতি চতুর্থ রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুকের ৬০তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল৷

থিম্পু শহর


ভুটানের পশ্চিমাংশে হিমালয়ের কোল ঘেঁষে নেমে গেলে যে উঁচু উপত্যকাটি পড়ে, সেখানেই গড়ে উঠেছে থিম্পু শহর৷ অতীতে থিম্পু ছিল দেশটির শীতকালীন রাজধানী আর পুনাখা ছিল গ্রীষ্মকালীন রাজধানী৷ তবে ১৯৬২ সালে থিম্পু শহরটিকে দেশের স্থায়ী রাজধানীতে পরিণত করা হয়৷

শহরের বাড়িঘর


থিম্পু শহরের প্রতিটি বাড়িতেই ভুটানের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের ছাপ লক্ষণীয়৷ এছাড়া শহরটি খুবই পরিচ্ছন্ন ও সাজানো-গোছানো৷

থিম্পু শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’


কুয়েসেলফোদরং পাহাড়ে বুদ্ধ দরদেনমা স্ট্যাচু থেকে থিম্পু শহরকে পাখির চোখে দেখা যায়৷

চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম


ভুটানের জাতীয় স্টেডিয়াম৷ বহুমূখী এ স্টেডিয়ামটি ১৯৭৪ সালে চতুর্থ ড্রুক গিয়াল্পো, জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক-এর রাজ্যাভিষেক উদযাপনের জন্য নির্মিত হয়৷ সেসময়ে এটি ১০,০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতার ছিল৷ তবে ভুটানের পঞ্চম রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের রাজ্যাভিষেক উৎসবের জন্য ২৫,০০০ দর্শককে স্থান দিতে এটি সংস্কার করা হয়৷

ন্যাশনাল মেমোরিয়াল চর্টেন


থিম্পু শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্মৃতিস্তম্ভ৷ এটি কিংস মেমোরিয়াল চর্টেন কিংবা থিম্পু চর্টেন নামেও পরিচিত৷ ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙ্গচুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে এটি তৈরি করা হয়েছিল৷

তাশি চো জং


থিম্পুর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য থিম্পু জং বা তাশি চো জং৷ ১২১৬ খ্রিস্টাব্দে এটি সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করেন লামা গিয়ালওয়া লানপা৷ পরে বৌদ্ধ বিহারকে সংস্কার করে ১৬৪১ সালে এখানে বিশাল দুর্গ গড়ে তোলা হয়৷ বর্তমানে এটি ভুটান সরকারের সচিবালয়৷ এখানে আছে দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি, সেন্ট্রাল মনাস্টিক বডির গ্রীষ্মকালীন হেডকোয়ার্টারসহ আরো অনেক রাষ্ট্রীয় দপ্তর৷

ফার্মার্স মার্কেট


থিম্পু শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বাজার পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়৷ একটি বাজার কতোটা সাজানো গোছানো আর পরিচ্ছন্ন হতে পারে একে না দেখলে তা বোঝার উপায় নেই৷

থিম্পু চু


জংখা ভাষায় ‘চু’ অর্থ নদী৷ থিম্পু শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে টলটলে পানির পাহাড়ি নদী থিম্পু চু৷ থিম্পু নদীর পার ধরে কিছু দূর গেলে ‘থিম্প চু’ আর ‘পারো চু’-র মিলনস্থল দেখা যায়৷ সেখানে দু’টি নদীর জলধারা একসাথে বইলেও পানির রং আলাদা৷

স্যুভেনির শপ


থিম্পু শহরে আছে বেশ কিছু স্যুভেনির শপ৷ এসব দোকানে দেশটির ঐতিহ্যবাহি বিভিন্ন স্মরক সামগ্রী কিনতে পারেন পর্যটকরা৷ সৌজন্যে : ডয়েচেভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *