এখনও গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ পার হননি, কিন্তু ব্রিটেনের নির্বাচনে ইতিহাস গড়ে ফেললেন মহারি ব্ল্যাক!
ব্রিটেনের ৩০০ বছরেরও পুরনো ইতিহাসে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে পার্লামেন্টে পা রাখতে চলেছেন। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)-র প্রার্থী, মাত্র ২০ বছর বয়সী এই ছাত্রী ধরাশায়ী করেছেন লেবার পার্টির ‘ছায়া’ বিদেশ সচিব ডগলাস আলেকজান্ডারকে। পেসলি অ্যান্ড রেনফ্রিউশায়ার সাউথে তিনি ৪৭ বছরের ডগলাসকে ৬ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। ডগলাস লেবার পার্টির বিদেশবিষয় সংক্রান্ত মুখপাত্র তথা প্রচার বিভাগের প্রধান।
রাজনীতির ময়দানে একেবারেই নতুন এক মুখের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের ধাক্কায় লেবার পার্টির সবচেয়ে প্রবীণ রাজনীতিকদের অন্যতম ডগলাসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেই কার্যত যবনিকা পড়তে চলেছে।
স্কটল্যান্ডে এসএনপি-র জয়জয়কার, লেবার পার্টির মুছে যাওয়া-গোটা বিষয়টাই প্রতিফলিত হয়েছে ব্ল্যাকের চোখধাঁধানো সাফল্যে। এবারই স্কটল্যান্ডে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী সাফল্য পেল এসএনপি সেখানকার ৫৯টি আসনের ৫৬টিই ঝুলিতে ভরেছে তারা। এসএনপি-র অনুকূলে ২৬.৯ শতাংশ ভোট সুইং হয়েছে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৬৬৭ সালে হাউস অব কমন্সের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্রিস্টোফার মঙ্কটন। তারপর সবচেয়ে কমবয়সী সদস্য হিসাবে আগামী মাসে সেখানে প্রবেশ ঘটবে ব্ল্যাকের, যার গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ে ফাইনাল ইয়ার পূর্ণ করা এখনও বাকি। অপ্রত্যাশিত জয়ের পর ব্ল্যাক বলেছেন, স্কটল্যান্ডের জনগণ মুখ খুলেছেন তাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দিতে হবে ওয়েস্টমিনস্টারে।
ব্ল্যাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ছাঁটাই কর্মসূচির অবসান ঘটাতে তিনি লড়াই চালাবেন। কেননা তার কথায়, এর ফলে ‘সীমান্তের উত্তর, দক্ষিণ-দুদিকের মানুষেরই’ ক্ষতি হয়।
নির্বাচনী ব্যর্থতা স্বীকার করে ডগলাস বলেছেন, লেবারদের সামনে কঠিন সময়ই বটে। স্কটল্যান্ড রক্ষণশীল সরকারকে প্রত্যাখ্যান করলেও লেবার পার্টিতেও ভরসা রাখেনি। আগামী দিনে সেই ভরসা পুনঃস্থাপন করাই লক্ষ্য হবে আমাদের।