Skip to content

ঢাকার কাছের বালয়াটি প্রাসাদ

মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
দালানগুলো দাঁড়িয়ে আছে আগের মতোই। তবে চেহারাটা অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। সীমানাপ্রাচীরেও লেগেছে রং। ভ্রমণপিপাসুরা আসছেন আগের চেয়ে বেশি। দালানগুলোর চূড়া মন কাড়ে আগতদের। বলছি মানিকগঞ্জের বালিয়াটি প্রাসাদের কথা।
অনেকে এটিকে বালিয়াটির জমিদার বাড়িও বলেন। তবে বালিয়াটি প্রাসাদ নামেই এটি বেশি পরিচিত। ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধে বালিয়াটির জমিদার গোবিন্দরাম প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।

Baliati
সময়ের ব্যবধানে এখানের ভবনগুলো ধ্বংসের প্রহর গুনলেও ঠায় দাঁড়িয়ে জানান দেয় বালিয়াটির জমিদারদের বিত্ত-বৈভবের কথা। তাদের জীবনযাপন যে কতটা বিলাসিতায় পূর্ণ ছিল তা রাজবাড়ির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কতটা নিখুঁত ছিল তাদের শিল্পচর্চা তা স্থাপনা দেখলেই বোঝা যায়।
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু সুরম্য প্রাচীন স্থাপনা।
প্রায় বিশ একরেরও বেশি জমির উপরে নির্মিত এ জমিদারবাড়িতে রয়েছে ছোট-বড় দু’শর বেশি কক্ষ। পেছনের দিকে আছে বড় একটি পুকুর। শান বাঁধানো ছয়টি ঘাট আছে এ পুকুরের চারপাশে।
প্রাসাদটির রঙ্গমহল এখন জাদুঘর। প্রতিদিন দর্শনার্থীদের আনাগোনা হয় এখানে। বিস্ময়ভরা চোখে জাদুঘরের প্রতিটি জিনিস খুঁটিয়ে দেখেন তারা।
প্রাসাদটি মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়ার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। দেখতে হলে ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াগামী বাসে উঠে সাটুরিয়া যাবেন। তারপর সাটুরিয়া থেকে টেম্পো বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে যাবেন বালিয়াটি। যেতে যেতে পেয়ে যাবেন বালিয়াটি প্রাসাদ। সাটুরিয়াতে থাকার মতো তেমন কোনো আবাসিক হোটেল নেই। তবে মানিকগঞ্জে আবাসিক হোটেল আছে। সেখানে থাকতে পারবেন।

daylong-tour-cover

ছবিতে ক্লিক করে যেনে নিন বিস্তারিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *