Skip to content

রিংছা ঝরনার হিমেল পরশে কিছুটা সময়

Risongনিজাম উদ্দিন লাভলু
প্রচণ্ড গরমে প্রকৃতির একটু হীমশীতল পরশ পেতে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভ্রমণ পিপাসু ছুটে আসছেন খাগড়াছড়ির আলুটিলা রিছাং ঝর্ণায়। পাহাড়িয়া এ ঝর্ণার শীতল জলধারায় গোসল করে কিংবা পাশের আলুটিলা রহস্যময় হীমশীতল গুহায় দেহ-মন জুড়িয়ে নেন তারা। একই সাথে উপভোগ করেন এক রোমাঞ্চকর আনন্দ। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে মাত্র ৮-৯ কিলোমিটার দূরে আলুটিলা রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণা। চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির প্রবেশ পথের প্রধান সড়কের পাশেই আকর্ষণীয় এ পর্যটন স্পট। প্রধান সড়ক থেকে ৩০ মিনিট পায়ে হেঁটে কিংবা মোটর সাইকেল, অটো রিকশা, মাইক্রোবাস ইত্যাদি যোগে কয়েক মিনিটেই পৌঁছানো যায় রিছাং ঝর্ণার সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় হাজার ফুট নিচে নেমে এলে দেখা মিলবে সেই মনোমুগ্ধকর ঝর্ণা। পাহাড়ের শিলা পাথরের বুক চিরে বহমান স্বচ্ছ জলরাশি অবিরাম আছড়ে পড়ছে প্রায় ৩০ ফুট নিচে। ঝর্ণার এ সে াতধারার শব্দ, পাহাড় আর ঘন বনের ভেতর কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এ শব্দই পর্যটকদের কাছে ডেকে নেয় রিছাং। পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্ণার আছড়ে পড়া জলরাশির স্রোতধারায় পাথরের বুক অত্যন্ত পিচ্ছিল হয়ে গেছে। ৬০-৭০ ফুট দীর্ঘ এ অতি পিচ্ছিল জলধারায় পর্যটকরা স্লাইডিং করেন। যদিও এটি বিপজ্জনক। ১৯৯৩-৯৪ সালে প্রাকৃতিক এ ঝর্ণাটি আবিষ্কৃত হয়। সে সময়ে স্থানীয়রা এর নাম দেয় রিছাং ঝর্ণা। এটি মারমা শব্দ। ‘রি’ শব্দের অর্থ জল এবং ‘ছাং’ শব্দের অর্থ গড়িয়ে পড়া। অর্থাত্ গড়িয়ে পড়া জল। ঐ সময় গহীন বন জঙ্গলে ঘেরা এ ঝর্ণায় যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিল না। পায়ে হাঁটা মেঠো পথে এখন ইট বিছানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পাহাড় থেকে ঝর্ণায় নামার দীর্ঘ পাকা সিঁড়ি।

বিশালায়তনের আলুটিলা পাহাড়ের আরেকটি আকর্ষণীয় স্পট দীর্ঘাকারের রহস্যময় প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ বা গুহা। রিছাং ঝর্ণার প্রবেশদ্বার থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই এ সুড়ঙ্গের অবস্থান। খাগড়াছড়ির প্রধান সড়কের পাশে এ পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যবেক্ষণ টায়ারসহ নানা স্থাপনা। এখানে উঁচু পাহাড় থেকে সুড়ঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা দুটি দীর্ঘাকারের পাকা সিঁড়ি রয়েছে। পাথরের পাহাড় ভেদ করে বিশালায়তনের এই সুড়ঙ্গ বা গুহাটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি। ঘুটঘুটে অন্ধকার এ দীর্ঘ গুহার এক প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অপর প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে আসেন পর্যটকরা। মশাল, টর্চ কিংবা সার্চ লাইট সাথে নিয়ে পাড়ি দিতে হয় সুড়ঙ্গ পথ। সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই হীমেল হাওয়ায় শরীর, মন জুড়িয়ে যায়। সূত্র : ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *