কী নেই ভিরুঙ্গা পার্কে! বিভাগঃ ফিচার, বাছাইকৃত May 11, 2015 176 বার দেখা হয়েছে আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে কী নেই? সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন, সাভানা আর বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালা, গোরিলা, বিভিন্ন জাতের পাখি, উদ্ভিদ – আছে সবই। কিন্তু তারপরও যেন কী নেই? বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন, সাভানা আর বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালা সমৃদ্ধ আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোর ‘ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক’। তাই ইউনেস্কো ১৯৭৯ সালে এই পার্কের নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এর আগে ১৯২৫ সালে তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসক বেলজিয়াম ভিরুঙ্গাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। বিভিন্ন জাতের পাখি ও উদ্ভিদ ভিরুঙ্গা পার্কে প্রায় ৭০০ প্রজাতির পাখি ও দুই হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। পাশের গোমা শহরের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করতে গিয়ে প্রতি বছর পার্কের বনাঞ্চলের একটা বড় অংশ হারিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিরাও এই বনের কাঠ কেটে বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কিনে থাকে। গোরিলার বাস ভিরুঙ্গা পার্কের অন্যতম বাসিন্দা প্রায় ২০০ গোরিলা। ইউনেস্কোর এই পার্ককে স্বীকৃতি দেয়ার পেছনে বিলুপ্ত হতে থাকা এই প্রাণীর অবস্থানও একটা কারণ। তেল অনুসন্ধান নয় লন্ডন-ভিত্তিক একটি কোম্পানি ‘সোকো ইন্টারন্যাশনাল’ ভিরুঙ্গা পার্কে তেল অনুসন্ধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ এর প্রতিবাদ জানালে সেই পরিকল্পনা বাদ হয়ে যায়। অনুসন্ধানে যে বিপদ হতে পারতো তেল অনুসন্ধানের অনুমতি দিলে ভিরুঙ্গা পার্কের এডওয়ার্ড লেকের পানি দূষিত হয়ে পড়তো। এতে ঐ লেকের ধারে বাস করা প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের সমস্যা হতো। কারণ তাঁরা পানি পান ও রান্নার কাজের প্রয়োজনীয় পানি ঐ লেক থেকেই সংগ্রহ করে থাকেন। এছাড়া লেকে থাকা মাছগুলোও মরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই মাছ ঐ পরিবারগুলোর আয়ের একটা বড় উৎস। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে মহিলারা পার্কের একটি স্থানীয় বাজারে শুঁটকি বিক্রি করছেন। ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় থাকায় ভয়ে সেখান থেকে অনেক মানুষ পালিয়ে এই পার্কে অবস্থান নিয়েছে। অবশ্য এই পার্কেরও একটা অংশে এক সময় অনেক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। লোকদের বোঝাতে হবে পার্কের ডিরেক্টর ইমানুয়েল দ্য মেরোড বলেন, ‘‘ভিরুঙ্গাকে বাঁচাতে হলে আমাদের মানুষদের বোঝাতে হবে যে বন সংরক্ষণের একটা আর্থিক দিক রয়েছে।’’ সংরক্ষণের আর্থিক দিক ডাব্লিউডাব্লিউএফ বলছে ভিরুঙ্গা পার্ককে ঘিরে প্রায় ৪৫ হাজার চাকরি সৃষ্টি করা যেতে পারে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মৎস্য উৎপাদন, ইকো ট্যুরিজম, গবেষণা, শিক্ষা – এ সব খাতে এই চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব। ঠিকমতো পরিকল্পনা করলে এই পার্ক থেকে বছরে প্রায় দশ লক্ষ ইউরো আয় করা সম্ভব। সূত্র : ডয়চে ভেলে 2015-05-11 Dhaka Tourist Club tweet