জ্যান্ত ইলিশ হাতে নিয়েছেন কখনো?
https://www.youtube.com/watch?v=DQ0p56aMyq0
মোহনা কি জানিস?
স্যার, আমার খালাত বোনের নাম মোহনা। খুব ভালো ছাত্রী। শুধু পড়াশোনা করে। আম্মা আমাকে ঝাড়ি দেয় কেন তার মত পড়াশোনা করি না।
চুপ থাক! ফাজিল কোথাকার। মোহনা হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে একাধিক নদী একসাথে মিশে সমুদ্রের পানে এগিয়ে যায়।
আচ্ছা বলতো বাংলাদেশের কোন জায়গায় তিনটা বড় নদী একসাথে মিশেছে?
স্যার গোয়ালন্দে।
হয়নি। তবে কাছাকাছি গিয়েছিস। চাঁদপুরের মোহনায় পদ্মা, মেঘনা আর ডাকাতিয়া এই তিনটা নদী একসাথে মিশেছে। দারুণ জায়গা। সুযোগ পেলে ঘুরে আসিস।
হ্যাঁ ঠিক তাই। ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের সদস্যরা এবার যাচ্ছে চাঁদপুরে। তবে সদস্য ছাড়াও যারা ফেসবুকে ক্লাবের সাথে অ্যাড আছে তাদের সবার জন্য উন্মুক্ত এই ট্যুর।
কীভাবে যাব? সকাল ৭টায় কনকনে শীতের মধ্যে সদরঘাট থেকে সোনার তরী লঞ্চে করে যাবো চাঁদপুর। লঞ্চ থেকে নেমে চাঁদপুর মোহনায় ঘুরে বেড়াবো, ছবি তুলবো। কিছুক্ষণ পরে ট্রলারে পাড়ি দেব ডাকাতিয়া, পদ্মা আর মেঘনা নদী। ট্রলার থেকে নামব জনমানবহীন নলখাড়ায় ভরা এক দ্বীপে। যে দ্বীপটি চারপাশে ধারণ করে রেখেছে পদ্মা ও মেঘনা নদীকে। সেখানে যেতে যেতে দেখব ইলিশ ধরার দৃশ্য। সৌভাগ্য হলে দেখতে পারব জ্যান্ত ইলিশ। চরে ঘুরবো, গোসল করব, ছবি তুলব। এরপর পাড়ি দেব মেঘনা নদী। ফিরে আসব চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে। একই লঞ্চে ফিরব। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পৌঁছে যাব ঢাকা সদরঘাটে।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
ভ্রমণ শুরু: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শনিবার, সকাল ৭টা, ঢাকা সদরঘাট থেকে।
লঞ্চের নাম: সোনারতরী। (লঞ্চ এক মিনিটও দেরি করবে না। কারো দেরি হলে নিজ দায়িত্বে চাঁদপুর যেতে হবে।)
সকাল ৭.৪৫ মিনিটে সকালের নাস্তা।
সকাল ৮.৩০ মিনিটে থেকে মিট আপ, ননস্টপ আড্ডা, আনলিমিটেড ছবি তোলা।
বেলা ১১.৩০ মিনিটে লঞ্চ থেকে নামা। তিন নদীর মোহনার দিকে হেটে যাওয়া। মোহনা ও রক্ত করবী চত্বর ঘুরে বেড়ানো, ছবি তোলা।
দুপুর ১২.৩০ মিনিটে ট্রলারে করে ডাকাতিয়া, পদ্মা আর মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে নলখাগড়ার (শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ) দ্বীপে পৌঁছা। যেতে যেতে ইলিশ ধরার দৃশ্য দেখা।
বেলা ২টায় ট্রলারে পদ্মা নদীকে ডান পাশে রেখে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের উদ্দেশে মেঘনা পাড়ি।
বেলা ২.৩০ মিনিটে সোনারতরী লঞ্চের ক্যান্টিনে বসে ইলিশ ভাজা দিয়ে দুপুরের খাবার গ্রহণ।
বেলা ৩.৩০ মিনিটে ঢাকা উদ্দেশে ছাড়বে লঞ্চ। লঞ্চে আনলিমিটেড আড্ডা, ছবি তোলা, সূর্যাস্ত দেখা।
সন্ধ্যা ৭টায় সদরঘাট নেমে যার যার বাসায় ফিরে যাওয়া।
ট্রিপ সাইজ: ২৫-৩০ জন।

এম.ভি সোনারতরী। লঞ্চ নয় যেন একটি ফোরস্টার হোটেল … বিশাল এই লঞ্চেই আমাদের আসা-যাওয়া।
চাঁদা
সাধারণ: জনপ্রতি ৭৫০/= (সাতশত পঞ্চাশ) টাকা। ১০ বছরের নিচে হলে ৫০০/= (পাঁচশত) টাকা।
ডিটিসি মেম্বার: যারা ২০১৬ বছরের বার্ষিক চাঁদা দিয়েছেন তাদের মধ্যে গোল্ডেন মেম্বারদের জন্য জনপ্রতি ৪০০/= (চারশত), সিলভার মেম্বারদের জনপ্রতি ৬০০/= (ছয়শত) টাকা এবং প্লাটিনাম মেম্বারদের জনপ্রতি ২৫০/= (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা।
এই খরচে থাকছে: সদরঘাট থেকে লঞ্চের ডেকে চাঁদপুর যাওয়া-আসা। (সাধারণ চেয়ারে যেতে চাইলে জনপ্রতি ১০০/= টাকা, বিজনেস ক্লাসের চেয়ারে জনপ্রতি ৩৪০/= টাকা, ভিআইপি চেয়ারে জনপ্রতি ৫০০/= টাকা ও কেবিনে যেতে চাইলে জনপ্রতি ৬০০/= টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।) ট্রলারে চরে যাওয়া-আসা। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকেলে ফল/ মিষ্টান্ন।

মাত্র ধরে আনা পদ্মার ইলিশ। ভিডিওতে যে মাছটি দেখেছেন এখানে সেটি সবগুলোর উপরে।

ওই যে দ্বীপটি দেখছেন এখানে যেতে যেতে আমরা দেখব ইলিশ ধরার দৃশ্য। দ্বীপটির ডানপাশে মেঘনা আর বাম পাশে পদ্মা। জ্যান্ত ইলিশের ভিডিওটি ওই দ্বীপে বসেই নেয়া হয়েছে। ট্রলারে করে মোহনা থেকে দ্বীপটিতে যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট।
মেনু
সকালের নাস্তা: পরাটা, সবজি, সেদ্ধ ডিম।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, সবজি/শাক, ভর্তা, ইলিশ ভাজা, গরু/মুরগির গোশত, সালাদ। (দুপুরের খাবারের মেনু পরিবর্তন হতে পারে)
****************
সদরঘাটে আসা-যাওয়া ও প্রবেশ নিজ দায়িত্বে করতে হবে। (ঘাটে প্রবেশ টিকেট ৫ টাকা)
চাঁদা পরিশোধের শেষ তারিখ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। পুরো টাকাটাই অগ্রীম দিতে হবে। আংশিক গ্রহণযোগ্য নয়।

যাত্রাপথে এরকম অনেক লঞ্চের দেখা হবে। আমাদের লঞ্চটি কিন্তু এর চেয়ে ছোট নয়।
যা যা সাথে নিতে পারেন
লঞ্চের ডেকে বিছিয়ে বসার জন্য চাদর।
শিতের কাপর, মাফলার, কান টুপি।
নদীতে গোছল করতে চাইলে গামছা, লুঙ্গি ও সাবান।
পানির বোতল। টিস্যু।
ক্যামেরা ও ব্যাটারি (ছবি তো তুলতেই হবে)।
মোবাইল চার্জের জন্য ডাটা ব্যাংক।
ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস ও সানব্লক (চরে রোদ প্রোটেকশন দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই)।
প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

এই দ্বীপে যাব আমরা
ভ্রমণকে উপভোগ করুন, যা মনে রাখতে হবে
ভ্রমণ পিপাসু মন। ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে তার দায় ডিটিসির নয়।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
চরে টয়লেট নেই তাই লঞ্চেই বাথরুমের কাজ সেরে নিতে হবে।
নদী বা পানিতে যাদের ভয় আছে তাদের জন্য এই ট্যুর নয়।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষমতা ডিটিসি সংরক্ষণ করে।

দ্বীপটির দক্ষিণ অংশ। সামনে বিশাল পদ্মা। চাইলে গোসলও করা যাবে এখানে।
যোগাযোগ
মোস্তাফিজুর রহমান ০১৬ ১২ ৩৬০ ৩৪৮, আবদুল্লাহ ০১৯ ৭১১ ০০ ৭১১
****************
সবধরনের আপডেট পেতে dhakatouristclub.com -এ ক্লিক করে ক্লাব সংবাদ ভিজিট করুন।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ: facebook.com/dhakatouristclub
অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রেুপ: facebook.com/groups/dhakatouristclub

দ্বীপটির পশ্চিম পাশের ছোট্ট চ্যানেল
Pingback: অসময়ে পদ্মা মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ | Dhaka Tourist Club