কবিগুরু রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু…।’
সিলেট থেকে শিলং আর চেরাপুঞ্জি ঘুরতে যাওয়ার বেলায় সম্ভবত কবিগুরুর এ কথাটি একেবারেই সত্যি। সিলেট থেকে মাত্র তিন ঘণ্টা দূরত্বের পথ শিলং।
ছোটবেলায় জাফলংয়ে যখন ঘুরতে যেতাম তখন দেখতাম দুটি পাহাড়ের মিলন ঘটিয়েছে একটি সুন্দর ব্রিজ। মা-বাবা দেখিয়ে বলতেন সামনেই ভারত। আবার বিছানাকান্দিতে গিয়ে দেখলাম দুরে একটি অসাধারণ ঝরনা কিন্তু কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। খুব খারাপ লেগেছিল। এত সুন্দর দৃশ্য তা কেন ভারতে পড়ল।
তখন মনে মনে ভেবেছিলাম একদিন না একদিন আমি ওই ব্রিজ আর ঝরনায় যাবই।
এবার সেই স্বপ্ন পুরণের পালা। গন্তব্য মেঘের আলয়-মেঘালয়ের রাজধানী শিলং আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের চেরাপুঞ্জি।

বুরহিল। আমরা যাকে পান্থুমাই নামে চিনি। বিছানাকান্দি গিয়ে এটি দেখি। প্রথম দিন যাব এখানে।
শিলং আর চেরাপুঞ্জি সম্পর্কে আরো জানুন নিচের লেখাগুলোয় ক্লিক করে:
চেরাপুঞ্জি, শিলং, মেঘালয় ভ্রমণ
এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং
বৃষ্টিভেজা চেরাপুঞ্জি
সাত বোনের কমলা দ্বীপ
হাতি ঝরনা মেঘালয়
মেঘের আলয় মেঘালয়
মেঘের ওপাশে ঝরনা
বৃষ্টির ভিতর চেরাপুঞ্জি
ট্রাভেল রুট
ঢাকা > তামাবিল > ডাউকি > সোনংপেং > বুরহিল > লিভিং রুট ব্রিজ > মাউলিনং > শিলং > চেরাপুঞ্জি > শিলং > ডাউকি > তামাবিল > ঢাকা।
ভ্রমণ শুরু: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১০টা।
ভ্রমণ সমাপ্তি: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ৮টা।
ইভেন্ট খরচ: ১৭,৫০০/= (সতের হাজার পাঁচশত টাকা)
ব্যুকিংয়ের শেষ তারিখ: ১০ আগস্ট ২০১৬।
ব্যুকিংয়ের সময় সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
ব্যুকিংয়ের পর ভিসা না হলে ভিসা ফি ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ১,২০০/= টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেয়া হবে।
পূর্ব থেকে কারো ভিসা থাকলে তিনি মোট মূল্যের ৬০০/= টাকা কম জমা দিবেন।

ডাউকি নদীর উৎসে যাব প্রথম দিন, স্থানটির নাম সোনংপেং।
খরচের অন্তর্ভূক্ত
ভিসা ফি
ই-টোকেন
ট্রাভেল ট্যাক্স
ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এসি বাস টিকেট/ ট্রেন টিকেট
সিলেট-তামাবিল-সিলেট রিজার্ভড মাইক্রোবাস/ সিএনজি
রিজার্ভড গাড়িতে সাইটসিয়িং
গাড়ির ধরন: টাটা সুমো (১০ সিট)/ এমটিসি মিনিবাস (২৫-৩০ সিট)/ ট্যাক্সি (৪ সিট)
খাবার: ভারত ভূখণ্ডে মেনু নির্ধারিত খাবার (সকালের নাস্তা ৪টি, দুপুরের খাবার ৩টি, রাতের খাবার ৩টি)
ট্যুরিস্ট প্লেসে এন্ট্রি টিকেট

পাহাড়ি নদীতে গাছের শেকড়ের তৈরি সেতু, এশিয়ার পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাউলিনং যেখানে। দেখব প্রথম দিন।
খরচের অন্তর্ভূক্ত নয়
বাংলাদেশ ভূখণ্ডের খাবার
টিপস
মেডিক্যাল সার্ভিস
ব্যক্তিগত খরচ
নির্ধারিত সময়ের বেশি বা কম দিন থাকা
অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির খরচ
যা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন খরচ

এশিয়ার পরিচ্ছন্নতম গ্রাম মাউলিনং। প্রথম দিন যাব এখানে।
খাবারের মেনু
প্রথম দিন (১৪.০৯.১৬)
দুপুরের খাবার: সাদা ভাতা, মাছ, সবজি, ডাল (প্যাকেজ খাবার), ফল। স্থান: ডাউকি বাজার।
রাতের খাবার: সাদা ভাত/ রুটি, সবজি, মাছ, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
দ্বিতীয় দিন (১৫.০৯.১৬)
সকালের নাস্তা: তেল পুরি (পরাটা), সবজি, ডিম, চা। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
রাতের খাবার: সাদা ভাত, ডিম ভুনা, সবজি, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
তৃতীয় দিন (১৬.০৯.১৬)
সকালের নাস্তা: আলু পরাটা, সস, আচার, চা। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, মুরগির মাংস/ মাছ, সবজি, ডাল (প্যাকেজ খাবার)। স্থান: চেরাপুঞ্জি মাউজমি কেভ।
রাতের খাবার: জিরা ভাত (জিরা দিয়ে ঘিয়ে ভাজা), ডিম ভাজি, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
চতুর্থ দিন (১৭.০৯.১৬)
সকালের নাস্তা: পরাটা (তেল পুরি), সবজি, ডিম, চা। স্থান: ডাউকি বর্ডারে আসার পথের যেকোনো ভালো হোটেল।
এছাড়া প্রতিদিন ভ্রমণের সময় স্থানীয় ফল এবং স্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
০১. নির্ধারিত খাবার খেতে কারো সমস্যা হলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা পূর্বে জানাতে হবে।
০২. খাবারের মেনু পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবর্তন করার ক্ষমতা টিম লিডারের থাকবে।
০৩. খাবারের মেনু নির্ধারণ করতে টিম লিডারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
০৪. বাংলাদেশের রান্না ও ভারতের রান্না ভিন্ন হওয়ায় খাবার গ্রহণে সমস্যা হতে পারে।
০৫. খাবারের সমালোচনা না করে পরামর্শ কাম্য।
০৬. বিশেষ কোনো খাবার খেতে ইচ্ছা হলে টিম লিডারকে জানাতে হবে।

বিকেলের শিলং শহর। দ্বিতীয় দিন ঘুরব এই শহরে।
ভ্রমণপথ
শূন্য দিন (১৩.০৯.১৬)
রাত ১০টা সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু।
সারা রাত গাড়িতে অবস্থান।
প্রথম দিন (১৪.০৯.১৬)
সকাল ৭টা: তামাবিল ও ডাউকি ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন
বেলা ১১টা: সোনংপেং ভ্রমণ (ডাউকি বর্ডার থেকে সাত কিলোমিটার দূরত্বে, তামাবিলে যে নদীটি আমরা দেখি সেটির উৎপত্তিস্থলের কাছে।)
বেলা ১টা ৩০ মিনিট: দুপুরের খাবার গ্রহণ। স্থান: ডাউকি বাজার। মেনু: সাদা ভাতা, মাছ, সবজি, ডাল (প্যাকেজ খাবার), ফল।
বেলা ২টা: বুরহিল ঝরনা। (সিলেটের বিছানাকান্দি ভ্রমণের সময় যে ঝরনাটি আমরা দূর থেকে দেখি এবং পান্থুমাই নামে যেটিকে চিনি।)
বেলা ৩টা ৩০ মিনিট: লিভিং রুট ব্রিজ ভ্রমণ। (পাহাড়ি নদীর উপর গাছের শেকড়ের তৈরি সেতু।)
সন্ধ্যা নাগাদ শিলংয়ের পুলিশ বাজারে পৌঁছা ও রিফ্রেশমেন্ট।
রাত ৯টা: রাতের খাবার গ্রহণ। সাদা ভাত/ রুটি, সবজি, মাছ, ডাল।
রাতে হোটেলে অবস্থান।

মেঘে ঢাকা শিলং শহর। শিলংয়ের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় থেকে থেকে তোলা ছবি।

দ্বিতীয় দিন যাব বিখ্যাত এলিফ্যান্ট ফলস দেখতে।
দ্বিতীয় দিন (১৫.০৯.১৬)
সকাল ৭টা: সকালের নাস্তা গ্রহণ। মেনু: তেল পুরি (পরাটা), সবজি, ডিম, চা।
সকাল ৭টা ৩০ মিনিট: শিলং সাইটসিয়িং। স্থান: এলিফ্যান্ট ফলস, ডন বসকো মিউজিয়াম, লেডি হায়দারি পার্ক, ওয়ার্ডস লেক।
বেলা ২টা: দুপুরের খাবার গ্রহণ। মেনু: সাদা ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল।
বেলা ৩টা: ব্যক্তিগত সময়, শপিং।
রাত ৯টা: রাতের খাবার। মেনু: সাদা ভাত, ডিম ভুনা, সবজি, ডাল।
রাতে হোটেলে অবস্থান।

ভ্রমণের তৃতীয় দিন রশিতে ঝুলে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার স্বাদ নেয়া যাবে মাউডুক ভিউ পয়েন্টে।
তৃতীয় দিন (১৬.০৯.১৬)
সকাল ৭টা: সকালের নাস্তা গ্রহণ। মেনু: আলু পরাটা, সস, আচার, চা।
সকাল ৭টা ৩০ মিনিট: চেরাপুঞ্জি সাইটসিয়িং। স্থান: মাউডুক ভিউ পয়েন্ট, নোহকা লি কাই ফলস, রামকৃষ্ণ মিশন, মাউজমি কেভ, ইকো পার্ক, সেভেন সিস্টার্স ফলস, হাতে সময় থাকলে বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট। দুপুরের খাবার। মেনু: সাদা ভাত, মুরগির মাংস/ মাছ, সবজি, ডাল (প্যাকেজ খাবার)। স্থান: চেরাপুঞ্জি মাউজমি কেভ।
সন্ধ্যা ৬টা: শিলংয়ের হোটেলে পৌঁছানো।
রাত ৯টা: রাতের খাবার গ্রহণ। মেনু: জিরা ভাত (জিরা দিয়ে ঘিয়ে ভাজা), ডিম ভাজি, ডাল।
রাতে হোটেলে অবস্থান।
চতুর্থ দিন (১৭.০৯.১৬)
সকাল ৬টা ৩০ মিনিট: ডাউকি বর্ডারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু। পথে সকালের নাস্তা। মেনু: পরাটা (তেল পুরি), সবজি, ডিম, চা।
সকাল ৯টা: ডাউকি ও তামাবিল বর্ডারের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা।
ইমিগ্রেশন শেষে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা।
দুপুরের খাবার নিজ ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করতে হবে।
রাত ৮টা: ট্যুরের সমাপ্তি ঘোষণা।

শিলং-চেরাপুঞ্জির পুরো পথেই একটু পর পর মেঘ আপনার সাথে খেলা করতে আসবে।
হোটেল
০১. রুম খালি থাকা সাপেক্ষে জারা রেসিডেন্সি অথবা ইএলডিজি অথবা সমমান।
০২. প্রতি রুমে দুইজন।
০৩. ফেমিলি রুমে ৩-৭ জন।
০৪. শিলংয়ের আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় কোনো রুমে এসির প্রয়োজন নেই।
০৫. হোটেলের অবস্থান শিলংয়ের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুলিশ বাজারে।

শিলং পিক-এ ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান।
ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে
০১. ছয়মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট। একাধিক/পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটিও জমা দিতে হবে।
০২. ভিসাসহ (যদি থাকে) পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি।
০৩. দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।
০৪. তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ব্যালান্স কমপক্ষে ২০,০০০/= টাকা। ব্যাংক হিসাব না থাকলে ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট অথবা এন্ডার্সমেন্টর জন্য অতিরিক্ত ৮০০ টাকা।
০৫. বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিতকরণের জন্য ইলেক্ট্রিক বিলের মূল ও ফটোকপি।
০৬. ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
০৬. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি। লিমিটেড কোম্পানি হলে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামের ফটোকপি। ব্লাঙ্ক বিজনেস প্যাড। (ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে)।
০৭. নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের মূল কপি (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
০৮. ভিজিটিং কার্ড।
০৯. অফিস আইডি কার্ড (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
১০. স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।

ডন বসকো মিউজিয়াম। দ্বিতীয় দিনের ভ্রমণ তালিকায় এটি।
সাথে যা বহন করতে হবে
০১. শিলং ও চেরাপুঞ্জি ঢাকার চেয়ে ঠাণ্ডা হওয়ায় হালকা ও ভারি শীতের কাপড়।
০২. বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা/ রেইনকোট।
০৩. পাহাড়ি পথে হাটার জন্য কেডস।
০৪. রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
০৫. বাইনোকুলার, ক্যামেরা।
০৬. টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, তাওয়েল, স্লিপার।
০৭. জরুরি ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

নোহকা লি কাই ফলস। তৃতীয় দিন যাব এখানে।
ভ্রমণকে উপভোগ করুন, অবশ্যই মনে রাখবেন
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।

সেভেন সিস্টারস ফলস। তৃতীয় দিনের শেষ গন্তব্য এটি।
Responsibility
We will be responsible for operation of the tours and excursions as mentioned in our brochure under the normal situation. So, for personal accident, sickness or loss of baggage during the tour, any political problem resulting in unusual situation to conduct a tour etc. we will not be responsible. However, we will try to extend all possible assistance to overcome such problems. But the guest must pay any extra cost incurred due to such p roblems.
We reserve the right to withdraw or amend any tour should condition warrant such action. In such a condition, any participant unable to avail the changed schedule is entitled to take his/her money refunded.
During visiting days all members must be maintaining by their leaders. We reserve the rights to accept or refuse any participant as a member of the tour.