আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারিকেল গাছের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে মৃদু পবনের কোমল স্পর্শ। বালি, পাথর, প্রবাল কিংবা জীব বৈচিত্রের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র কক্সবাজার আর সেন্টমার্টিন। স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিশ, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, প্রবাল বিশ্ব রহস্যের জীবন্ত পাঠশালায় পরিণত করেছে এ স্থানগুলোকে।
সম্ভাব্য স্পট: কক্সবাজার সুগন্ধা ও লাবনী বিচ পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী বিচ, মেরিন ড্রাইভ রোড, নাফ নদী, সেন্টমার্টিন, ছেঁড়া দ্বীপ।
বিশেষ আকর্ষণ: ট্রলারে পুরো সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রদক্ষিণ। একটি বার-বি-কিউ ও একটি বুফে সি-ফুড ডিনার।
যোগাযোগ: ০১৬১২ ৩৬০৩৪৮, ০১৫৩৩ ২০৬৯৯৪
ট্যুরের অন্তর্ভূক্ত: ঢাকা থেকে কক্সবাজার নন এসি বাসে যাওয়া। টেকনাফ থেকে নন এসি বাসে ঢাকায় আসা। রিজার্ভড খোলা জিপে মেরিন ড্রাইভ রোড ভ্রমণ। কক্সবাজারে এক রাত ও সেন্টমার্টিনে দুই রাত টুইন শেয়ার বেডে হোটেল/রিসোর্টে থাকা। একটি বার-বি-কিউ ও একটি বুফে সি-ফুড ডিনারসহ সকালের নাস্তা, দুপুরের ও রাতের খাবার। ইভিনিং ¯œ্যাকস।
খরচে যা থাকছে না: চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত খরচ। মেনুর বাইরে অতিরিক্ত কোনো খাবার। কোমল পানীয়। হোটেল বা রিসোর্টে অতিরিক্ত কোনো রুম নিলে তার ভাড়া। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির খরচ। জরিমানা ও আইন খরচ। যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
ভ্রমণ শুরু: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, রাত ১০টা, স্থান- ফকিরাপুল।
ভ্রমণ সমাপ্তি: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, সকাল ৬টা, স্থান- ফকিরাপুল।
প্রথম দিন (২০.১২.১৮)
রাত ১০টায় ফকিরাপুল থেকে যাত্রা শুরু। যাত্রার সময় প্যাকেট ডিনার দেয়া হবে। সারা রাত জার্নি।
দ্বিতীয় দিন (২১.১২.১৮)
সকালে কক্সবাজার পৌঁছা। হোটেলে লাগেজ রাখা ও সকালের নাস্তা গ্রহণ। সমুদ্রে গোছল। দুপুরের খাবার গ্রহণ শেষে বিকেলে হিমছড়ি ও ইনানী বিচ ভ্রমণ। সন্ধ্যায় সুগন্ধা ও লাবনী বিচ পয়েন্টে সূর্যাস্ত উপভোগ। রাতে বার-বি-কিউ ডিনার শেষে হোটেলে অবস্থান।
তৃতীয় দিন (২২.১২.১৮)
খোলা জিপে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে টেফনাফ গিয়ে সকালের নাস্তা গ্রহণ। জাহাজে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বুক চিঁড়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছা। সেন্টমার্টিনে হোটেল চেক-ইনের পর সাগরে গোছল করা। ফিরে এসে দুপুরের খাবার গ্রহণ। বিকেলে যার যার মতো ঘোরাফিরা। রাতের খাবার শেষে হোটেলে অবস্থান।
চতুর্থ দিন (২৩.১২.১৮)
সকালের নাস্তা গ্রহণ শেষে ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণ। এর পর পুরো সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রদক্ষিণ শেষে হোটেলে আসা। দুপুরের খাবার গ্রহণ। বিকেলে বিচে সূর্যাস্ত উপভোগ। রাতে বুফে সি-ফুড ডিনার শেষে হোটেলে অবস্থান।
পঞ্চম দিন (২৪.১২.১৮)
ভোরে পূর্ব বিচে সূর্যোদয় উপভোগ। দুপুর ১২টায় হোটেলে চেক-আউট। দুপুরের খাবার গ্রহণ শেষে আড়াইটার মধ্যে জাহাজে আসন গ্রহণ। বিকেলে টেকনাফ পৌঁছা। টেকনাফে হালকা নাস্তা গ্রহণ শেষে চার দিনের স্মৃতি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা। পথে রাতের খাবার গ্রহণ।
ষষ্ঠ দিন (২৫.১২.১৮)
সকালে ঢাকায় পৌঁছার পর ট্যুরের সমাপ্তি।
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: dhakatouristclub.com/coxs-bazar-st-martin-19.12.18