Skip to content

কুয়াকাটার আমন্ত্রণ

Kuakata-April-2016

ওরা দু’বোন ‘বীচ-টুইন’। আপনাকে স্মিত হেসে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত।
বনমোরগের আযানের মদীরতায় ঘুম থেকে উঠেই সূর্যি মামার সাথে জলকেলি। হাজারো সবুজের সতেজতা গায়ে মেখে মাংকি মামুদের লাফালাফি। লাল কাঁকড়াদের পিছু নেয়া। বিস্কিট-রুটি ছুঁড়ে দিয়ে গাংচিলদের সাথে সখ্য গড়া। রাখাইন মেয়েদের হাতেবোনা লুঙ্গি-ব্যাগ সংগ্রহ। সুবৃহৎ বৌদ্ধমূর্তি। সাগর-তীরের টাটকা ডাবের ঝাঁঝাঁলো জলের স্বাদ নিয়ে কুয়াকাটার ‘কূয়া’ দর্শন। অশান্ত উর্মিমালার ফাঁকে দুরন্ত অ্যাডভেঞ্চার-সার্ফিং। মজাদার আহার-বিহার। একটু ঝিমিয়ে বৈকালিক আড্ডা। সেলফি-ছোটাছুটি। গোধূলিতে সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য। দীর্ঘ লঞ্চ ভ্রমণ, সাথে জমিয়ে আড্ডা। আরও কতো কী!
দীর্ঘলালিত স্বপ্নটা ছুঁতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটির অবসরে ৩ রাত ২ দিনের নাতিদীর্ঘ আনন্দ ভ্রমণে চলুন বেড়িয়ে আসি সাগরকন্যা কুয়াকাটায়।

Kuakata-Beach

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

টিম লিডার: মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসিডেন্ট, ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাব। মোবাইল: ০১৬১২৩৬০৩৪৮।

ভ্রমণকাল: ২ দিন ৩ রাত।
ভ্রমণ শুরু ৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ৭.৩০ মিনিট, স্থান- ঢাকা সদরঘাট; সমাপ্তি ৯ এপ্রিল রাত ৯টা, স্থান- ঢাকা সদরঘাট।

অংশগ্রহণ করতে চাইলে
নির্ধারিত ফরম পূরণ, এককপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি ও নির্ধারিত ফি ২০ মার্চের মধ্যে সরাসরি জমা দিতে হবে।

Kuakata2

লাল কাকড়া। ঝাকে ঝাকে আসে আবার মুহূর্তে কোথায় যে চলে যায় বোঝা যায় না।

ভ্রমণ খরচ
০১. বিলাসবহুল লঞ্চের ডাবল কেবিনে ৪ জন ও সিঙ্গেল কেবিনে ২ জন বরিশাল যাওয়া, বিকেলে গ্রীন লাইনের ভিআইপি লঞ্চের ইকোনমি চেয়ারে ঢাকা আসা: জনপ্রতি ৫,২৫০/= টাকা। ১০ বছরের নিচে হলে ২,৬৫০/= টাকা।
০২. বিলাসবহুল লঞ্চের ডাবল কেবিনে ২ জন ও সিঙ্গেল কেবিনে ১ জন বরিশাল যাওয়া, বিকেলে গ্রীন লাইনের ভিআইপি লঞ্চের ইকোনমি চেয়ারে ঢাকা আসা: জনপ্রতি ৫,৮৫০/= টাকা। ১০ বছরের নিচে হলে ৩,২৫০/= টাকা।
০৩. হোটেলে সিঙ্গেল সিটে থাকার জন্য অতিরিক্ত ১,২৫০/= টাকা। সিঙ্গেল রুমের জন্য অতিরিক্ত ১,৭৫০/= টাকা।

লঞ্চে যাওয়া-আসা ছাড়াও এই খরচে থাকছে
সকালের নাস্তা ২টি, দুপুরের খাবার ২টি, রাতের খাবার ২টি, সকাল ও বিকেলের স্নাকস ৪টি। এক রাত হোটেলে অবস্থান। ভ্যান ও ট্রলারে সাইট সিয়িং। ট্যুরিস্ট প্লেসের এন্ট্রি টিকিট।

খরচে যা থাকছে না
সদরঘাটে আসা-যাওয়া ও প্রবেশ নিজ দায়িত্বে করতে হবে।
ব্যক্তিগত খরচ, অনাকাঙ্খিত কোনো খরচ।
যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।

একরাত অবস্থান: হোটেল সী কুইন ইন্টারান্যাশনাল অথবা বনানী প্যালেস। প্রতি রুমে ৪-৬ জন।

Kuakata-Sunset

কুয়াকাটার সূর্যাস্ত

ভ্রমণসূচি

০৭.০৪.১৬: রাত ৭.৩০ মিনিটে ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের বিলাসবহুল লঞ্চের কেবিনে যাত্রা শুরু। (লঞ্চের নাম পরে জানানো হবে।)
০৮.০৪.১৬: খুব ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছানো। সকাল ৬টায় গাড়িতে কুয়াকাটার উদ্দেশে যাত্রা। পথে রুটি-কলা দিয়ে হালকা নাস্তা। যেতে যেতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কীর্তনখোলা ব্রিজ, আবহাওয়া অধিদপ্তরের টাওয়ার, গোলপাতা গাছ ইত্যাদি দেখা। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কুয়াকাটা পৌঁছানো। রিফ্রেশমেন্টের পর ডিম-খিচুরি দিয়ে সকালের নাস্তা। ১০.৩০ মিনিটে ভ্যানে রাখাইন পল্লী, ঝাউবন, কুয়াকাটার বিখ্যাত কুয়াসহ আশপাশের এলাকা ভ্রমণ। দুপুর ১২.৩০ মিনিটে জুমার নামাজের বিরতি। নামাজের পর দুপুরের খাবার শেষে ফাতরার বন ভ্রমণ ও সূর্যাস্ত উপভোগ। সন্ধ্যার পর বিচে আনলিমিটেড আড্ডা। রাতের খাবার শেষে জোছনা উপভোগ ও হোটেলে অবস্থান।
০৯.০৪.১৬: ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার পর সূর্যোদয় উপভোগের জন্য লাল কাকড়ার দ্বীপে যাওয়া ও সূর্যোদয় উপভোগ, দ্বীপে কাকড়ার পিছু নেয়ার চেষ্টা। সকাল ৭টায় হোটেলের উদ্দেশে যাত্রা। হোটেল গোছল ও নাস্তা শেষে সকাল ৯টায় বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা। গাড়িতে হালকা নাস্তা। বরিশালে দুপুরের খাবার শেষে গ্রীন লাইনের ভিআইপি লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা। ঢাকা আসার পথে মেঘনা-পদ্মাসহ বিশাল বিশাল নদীর সৌন্দর্য, জেলেদের মাছ ধরা, পানকৌড়িদের লঞ্চের পেছনে ছোটাছুটির দৃশ্য উপভোগ। রাত ৯টা নাগাদ ঢাকা সদরঘাটে পৌঁছানো ও ভ্রমণের সমাপ্তি। (ভ্রমণসূচি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের এক মিনিটও দেরি করে না। দেরি হলে নিজ দায়িত্বে বরিশাল যেতে হবে।)

Kuakata-Taranga-Hotal

কুয়াকাটায় অবস্থানকালে প্রধান খাবারগুলো হবে এই হোটেলে

খাবরের মেনু
প্রথম দিন (০৮.০৪.১৬)
সকালের নাস্তা: রুটি-কলা, ডিম-খিচুরি, চা।
দুপুরের স্নাকস: ডাব।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, শাক/সবজি/ভর্তা, দেশী মুরগি, ডাল, সালাদ।
বিকেলের স্নাকস: বিস্কুট, চা/ ফল ।
রাতের খাবার: সাদা ভাত, সবজি, সাগরের বেলে মাছ, ডাল, সালাদ।

দ্বিতীয় দিন (০৯.০৪.১৬)
সকালের নাস্তা: পরাটা, ভাজি, চা।
দুপুরের  স্নাকস: দেশী হাঁসের ডিম।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, সবজি, গরুর গোশত, ডাল।
বিকেলর স্নাকস: গ্রীন লাইনের লঞ্চ পরিবেশিত প্যাকেট খাবার।

Greenline

বরিশাল থেকে ঢাকা আসব গ্রীন লাইনের এই লঞ্চে

সাথে যা যা নিতে পারেন
লঞ্চে রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানার চাদর । বিচে বালুতে হাটার জন্য টর্চ লাইট, মোবাইল চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক। গোসলের জন্য লুঙ্গি, গামছা, সাবান, লাইফ জ্যাকেট। পানির বোতল, টিস্যু পেপার। রোদ প্রোটেকশনের জন্য ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন। প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

ভ্রমণকে উপভোগ করুন, অবশ্যই মনে রাখবেন
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘিœত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।

Kuakata See Queen Hotel

হোটেল সী কুইন। তিন তলা হোটেলটির তৃতীয় তলার নয়টি রুম আমাদের জন্য রিজার্ভ থাকবে। এই হোটেলে বসেই সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

র‌্যাফেল ড্র
প্রথম পুরষ্কার: শিলংয়ের হোটেল রেইনবোতে ২ জনের একরাত থাকা।
দ্বিতীয় পুরষ্কার: সেন্টমার্টিন পরিবহনের ঢাকা-খাগড়াছড়ি এসি বাস টিকেট।
আরো আকর্ষণীয় ৮টি পুরস্কার

র‌্যাফেল ড্রয়ের কুপনের মূল্য ২০/= টাকা। প্রত্যেককে কমপক্ষে পাঁচটি কুপন কিনতে হবে।

আপডেট জানতে ভিজিট করুন: dhakatouristclub.com/kuakata

পরবর্তী আকর্ষণ: সাজেক (পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে আকাশ ঘুমায় যেখানে)
যাতায়াত: সেন্টমার্টিন পরিবহনের বিলাসবহুল এসি গাড়িতে খাগড়াছড়ি যাওয়া-আসা, চান্দের গাড়ি।
বিশেষ আকর্ষণ: আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র‌্যাফেল ড্র…।
ভ্রমণ তারিখ: ৬ ও ৭ মে ২০১৬, ৩ রাত ২ দিন। ভ্রমণ খরচ: জনপ্রতি ৫,২৫০/= টাকা।
কুপন সংগ্রহের শেষ তারিখ: ১৫ এপ্রিল ২০১৬।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *