মেঘের চাদরে মোড়ানো পাহাড়। সবুজ বৃক্ষরাজি ঢেকে আছে ধবধবে সাদা কুয়াশায়। বিশাল বিশাল গাছপালা। অজগর সাপের মতো আঁকাবাঁকা আর উঁচু-নিচু রাস্তা। সুউচ্চ পর্বত। ভোরসকালে সূর্যোদয়ের দৃশ্য কোনটা নেই সাজেকে?
খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা, তারপর বাঘাইহাট হয়ে সাজেক। পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব। আশপাশের দৃশ্য বড় মনোরম। বেশির ভাগ সময় রাস্তাটাকে রোলার কোস্টারই মনে হয়।
সবুজে মোড়ানো প্রকৃতির মাঝে আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ বেয়ে দুঃসাহসিক এই ভ্রমণ যেখানে ফুরাবে, সেটাই সাজেকের মূল কেন্দ্র। নাম রুইলুইপাড়া। ছবির মতো পথঘাঁট। পথের দুপাশে লাল-সবুজ রঙের বাড়ি। কাছে-দূরের সব পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে।
সেখান থেকে আরেকটু দূরে কংলাকপাড়া। টেনেটুনে ২০টি ঘর। হেঁটে যেতে আধঘণ্টা। সেখানে থেকে সাজেক ভ্যালির বড় অংশটা দেখা যায়।
সাজেকের আনন্দ বারান্দা বা খোলা জায়গায় বসে বা শুয়ে মেঘের আনাগোনা দেখা। হঠাৎ হঠাৎ এক টুকরো মেঘ অথবা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে যায়। বদলে যায় দৃশ্যপট। হঠাৎ হঠাৎ সব এমনই ফকফকা যে সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের ঘরবাড়ি, ঝরনা, মন্দির পর্যন্ত দেখা যায়। কিছুক্ষণ বাদেই হয়তো মেঘ এসে ঢেকে দেয় চারদিক।
এই সাজেকে যাচ্ছি আমরা ঈদুল আযহার পরের দিন ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে।

ঢাকায় গাড়িতে ওঠা থেকে শুরু করে আবার নামা পর্যন্ত পুরো পথে ট্যুরের নেতৃত্ব দিবেন প্রজাপতি মিডিয়া লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ও ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান। খাগড়াছড়ির হার্টিকালচার পার্ক থেকে ছবিটি তোলা।
যোগাযোগ : মোস্তাফিজুর রহমান ০১৬১২ ৩৬০ ৩৪৮, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ০১৭ ১১ ২০৭ ৭৬৫, মুহাম্মদ আব্দুর রউফ ০১৬৭৪ ০৭০ ১৪৭।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
ভ্রমণকাল : ২ দিন ৩ রাত।
ভ্রমণ শুরু : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রাত ১০.৩০ মিনিট, স্থান- আরামবাগ সেন্টমার্টিন পরিবহন কাউন্টার।
ভ্রমণ সমাপ্তি : ১৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টা, স্থান- আরামবাগ।
ব্যুকিংয়ের শেষ তারিখ : ৩০ আগস্ট ২০১৬।
ভ্রমণ খরচ : জনপ্রতি ৫,৯৫০/= টাকা, ১০ বছরের নিচে হলে ৩,৫০০/= টাকা

আকাশ থেকে সাজেক ভ্যালি। রাতে থাকব এই ভ্যালিতে। ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ এটি।
এই খরচে থাকছে
সেন্টমার্টিন পরিবহনের বিলাসবহুল এসি বাসে খাগড়াছড়ি যাওয়া-আসা।
সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার।
সকাল ও বিকেলে হালকা নাস্তা।
বার-বি-কিউ উৎসব।
সাজেকে এক রাত হোটেলে শেয়ারিং রুমে অবস্থান। (সিঙ্গেল রুমের জন্য অতিরিক্ত ৫০০/= টাকা, ডাবল রুমের জন্য অতিরিক্ত ১,০০০/= টাকা দিতে হবে।)
খাগড়াছড়ি শহরে হোটেলে একটি সকাল ও একটি সন্ধ্যা গ্রুপ শেয়ারিং রুমে রিফ্রেশিং।
দুই দিন রিজার্ভড চান্দের গাড়ি।
ট্যুরিস্ট প্লেসের এন্ট্রি টিকেট। (প্রায় সবগুলো ট্যুরিস্ট প্লেসে ঢোকার টিকেট লাগবে।)
আলুটিলা গুহায় প্রবেশের মশাল।
ড্রাইভার ও হেলপারের থাকা খাওয়ার খরচ।
গাইড খরচ।
গাড়ি পার্কিং।
জনপ্রতি চার লিটার করে মিনারেল ওয়াটার।

আলুটিলা গুহা। প্রথম দিন সকালে গুহার অভিজ্ঞতা অর্জন করব।
খরচে যা থাকছে না
চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত খরচ।
মেনুর বাইরে অতিরিক্ত কোনো খাবার।
কোমল পানীয়।
হোটেল বা রিসোর্টে অতিরিক্ত কোনো রুম নিলে তার ভাড়া।
অনাকাঙ্খিত কোনো খরচ।
যা উল্লেখ নাই এমন সব খরচ।

সাজেক রিসোর্টের সামনে দুই টিম লিডার।
টিম লিডার :
০১. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসিডেন্ট, ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাব। মোবাইল: ০১৬১২৩৬০৩৪৮।
০২. কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রজাপতি মিডিয়া লিমিটেড। মোবাইল: ০১৭১১২০৭৭৬৫।
ভ্রমণসূচি
০ দিন : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
রাত ১০.৩০ মিনিটে ঢাকার আরামবাগ থেকে সেন্টমার্টিন পরিবহনের বিলাসবহুল এসি বাসে খাগড়াছড়ি রওয়ানা।

খাগড়াছড়িতে যাওয়া-আসা হবে সেন্টমার্টিন পরিবহণের বিলাসবহুল এসি গাড়িতে।
প্রথম দিন : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
০৬:০০ খুব সেকালে খাগড়াছড়ি পৌঁছা।
০৭:০০ খাগড়াছড়ি শহরে গ্রুপ রুমে ফ্রেস হওয়া ও সকালের নাস্তা। (মেনু: পরাটা, ভাজি, ডিম। স্থান: মনটানা হোটেল, খাগড়াছড়ি শহর)
০৮:০০ আলুটিলা গুহা ভ্রমণ।
১০:০০ রিসাং ঝর্ণা ভ্রমণ।
০১:০০ দুপুরের খাবার গ্রহণ। (মেনু: সাদা ভাত, সবজি/বেগুন ভাজি, রুই মাছ, পাতলা ডাল। স্থান: মনটানা হোটেল, খাগড়াছড়ি শহর)
০২:০০ রিজার্ভড চান্দের গাড়িতে সাজেকের উদ্দেশে রওয়ানা।
০৫:০০ সাজেক, রুইলুই পাড়া, হেলিপ্যাড, সাজেক রিসোর্ট ও তার আশপাশ বেড়ানো।
০৭:০০ বার-বি-কিউ উৎসব। স্থান: সাজেক ভ্যালি।
সাজেকে রাত যাপন।

সাজেকে থাকা-খাওয়ার যায়গা। এখানেই হবে বার-বি-কিউ উৎসব।
দ্বিতীয় দিন : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
০৬:৩০ হোটেল থেকে ফ্রেস/গোসল শেষ করে কংলাক পাড়ায় বেড়ানো।
০৮:৩০ সকালের নাস্তা। (মেনু: ডিম খিচুরি, চা। স্থান: সাজেক ভ্যালি)
০৯:৩০ খাগড়াছড়ির উদ্দেশে যাত্রা।
১১:০০ দেবতার পুকুর।
০১:০০ শতবর্ষী বটগাছ।
০২:০০ দুপুরের খাবার। (সাদা ভাত, সবজি/ভর্তা, গরু/মুরগি, ডাল। স্থান: বাশটানা হোটেল, খাগড়াছড়ি শহর)
০৩:৩০ হার্টিকালচার পার্ক/ ঝুলন্ত ব্রিজ। র্যাফেল ড্র।
০৭:০০ হোটেলে গ্রুপভিত্তিক রুমে ফ্রেস হওয়া।
০৮:০০ রাতের খাবার। (সাদা ভাত, সবজি, মাছ, ডাল। স্থান: খাগড়াছড়ি শহর)
০৯:০০ সেন্টমার্টিন পরিবহনের বিলাসবহুল এসি বাসে বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা।
০ দিন : শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
খুব ভোরে ঢাকার আরামবাগ পৌঁছা ও ট্যুরের সমাপ্তি।

রিছাং ঝরনা। প্রথম দিন সকালে যাব এখানে।
সাথে যা যা নিতে পারেন
মোবাইলের চার্জার ও পাওয়ার ব্যংক।
রবি ও টেলিটক সিম (অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক নাই)।
নিজের ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিস।
হেডলাইট অথবা টর্চলাইট।
রোদ প্রোটেকশনের জন্য ছাতা, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন।
প্রয়োজনীয় ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

দেবতার পুকুর। দ্বিতীয় দিন যাব এখানে।
ভ্রমণকে উপভোগ করুন, অবশ্যই মনে রাখবেন
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পরুষ-মহিলা/ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।
সাজেকে পানি স্বল্পতা রয়েছে। হোটেল-রিসোর্টগুলো টিনশেড ও বাঁশ-কাঠ দিয়ে তৈরি।
ব্যক্তিগত জিনিস বহনের জন্য কোনোভাবেও ট্রলি নেয়া যাবে না।
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।

শতবর্ষী বটগাছের নিচে আমরা কয়েকজন। দ্বিতীয় দিন যাওয়ার পরিকল্পনা এখানে।
র্যাফেল ড্র
প্রথম পুরস্কার: শিলংয়ের হোটেল রেইনবোতে ২ জনের একরাত থাকা।
দ্বিতীয় পুরস্কার: শ্যামলী পরিবহণে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা বাস টিকেট।
আরো আকর্ষণীয় ৮টি পুরস্কার
র্যাফেল ড্রয়ের কুপনের মূল্য ২০/= টাকা। প্রত্যেককে কমপক্ষে পাঁচটি কুপন কিনতে হবে।
আপডেট জানতে ভিজিট করুন: dhakatouristclub.com/sajek-eid
সাজেক সম্পর্কে জানতে নিচের শিরোনামে ক্লিক করুন
রাঙামাটির ছাদ!
মেঘ দেখতে সাজেকে
সাজেক : পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে আকাশ ঘুমায় যেখানে
আলুটিলা গুহার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা
রিছাং ঝরনার হিমেল পরশে কিছুটা সময়
পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসুন দার্জিলিং
Pingback: দেশসেরা ৫০ পর্যটন স্পট | Dhaka Tourist Club