Skip to content

২ ফেব্রুয়ারি শিলং-চেরাপুঞ্জি-শ্নোনেংপেডেং ফেমিলি ট্যুর

february-group-tour-2017

কবিগুরু রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু…।’
সিলেট থেকে শিলং আর চেরাপুঞ্জি ঘুরতে যাওয়ার বেলায় সম্ভবত কবিগুরুর এ কথাটি একেবারেই সত্যি। সিলেট থেকে মাত্র তিন ঘণ্টা দূরত্বের পথ শিলং।
ছোটবেলায় জাফলংয়ে যখন ঘুরতে যেতাম তখন দেখতাম দুটি পাহাড়ের মিলন ঘটিয়েছে একটি সুন্দর ব্রিজ। মা-বাবা দেখিয়ে বলতেন সামনেই ভারত। আবার বিছানাকান্দিতে গিয়ে দেখলাম দুরে একটি অসাধারণ ঝরনা কিন্তু কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। খুব খারাপ লেগেছিল। এত সুন্দর দৃশ্য তা কেন ভারতে পড়ল।
তখন মনে মনে ভেবেছিলাম একদিন না একদিন আমি ওই ব্রিজ আর ঝরনায় যাবই।
এবার সেই স্বপ্ন পুরণের পালা। গন্তব্য মেঘের আলয়-মেঘালয়ের রাজধানী শিলং আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের চেরাপুঞ্জি।

sonangpedng

এরকম পাহাড়ি নদীতে নৌকা ভ্রমণ কেমন লাগতে পারে! অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন ভ্রমণের প্রথম দিনেই। শুরুতেই যাব এখানে।

শিলং-চেরাপুঞ্জি-শ্নোনেংপেডেং ভ্রমণ এখন অনেক সহজ
খরচ হাতের নাগালে। ভিসার জন্য ই-টোকেনের বিড়ম্বনা নেই। যেতে হবে না অ্যাম্বাসিতেও। ভিসা ফি, যাওয়া-আসার গাড়ি ভাড়া, ট্রাভেল ট্যাক্স, শিলংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পুলিশ বাজারের ভালো মানের হোটেলে তিন রাত অবস্থান, রিজার্ভড গাড়িতে প্রায় ২০টি স্পট ভ্রমণ এবং এন্ট্রি ফি, প্রতিদিন তিন বেলা খাবার, ২৪ ঘণ্টা গাইড এতসব মাত্র ১৬,৯৫০/= টাকায়।

october-27-31

গত অক্টোবরে ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় যারা শিলং-চেরাপুঞ্জি গিয়েছিলেন তাদের কয়েকজন। সাইফুদ্দিন ডালিমের ক্যামেরায় বুরহিল ঝরনার উপর থেকে ছবিটি তুলেছেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা অ্যাডকমের শেখ সোহেল আহমেদ।

wakaba-falls

চেরাপুঞ্জির ওয়াকাবা ফলসের সামনে ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের ট্রাভেলাররা। যেখানে মেঘ প্রতিনিয়ত আসে খেলা করতে। ছবি: নিলয় মামুন।

শিলং, চেরাপুঞ্জি সম্পর্কে আরো জানুন নিচের লেখাগুলোয় ক্লিক করে:
চেরাপুঞ্জি, শিলং, মেঘালয় ভ্রমণ
এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং
বৃষ্টিভেজা চেরাপুঞ্জি
সাত বোনের কমলা দ্বীপ
হাতি ঝরনা মেঘালয়
মেঘের আলয় মেঘালয়
মেঘের ওপাশে ঝরনা
বৃষ্টির ভিতর চেরাপুঞ্জি

Burhill

বুরহিল। আমরা যাকে পান্থুমাই নামে চিনি। বিছানাকান্দি গিয়ে এটি দেখি। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান। নিচে বুরহিল ঝরনার ভিডিও।

https://www.youtube.com/watch?v=2opKtUg4QAA

ট্রাভেল রুট: ঢাকা > তামাবিল > ডাউকি > শ্নোনেংপেডেং > বুরহিল > লিভিং রুট ব্রিজ > মাউলিনং > শিলং > শিলং সাইটসিয়িং > চেরাপুঞ্জি > শিলং > ডাউকি > তামাবিল > ঢাকা।
ভ্রমণ শুরু: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বৃহস্পতিবার, রাত ১০টা।
ভ্রমণ সমাপ্তি: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, সোমবার, রাত ৮টা।
ইভেন্ট খরচ জনপ্রতি: ১৬,৯৫০/= (ষোল হাজার নয়শত পঞ্চাশ টাকা)

খরচের অন্তর্ভূক্ত
ভিসা ফি
ই-টোকেন
ট্রাভেল ট্যাক্স
ঢাকা-শিলং-ঢাকা বাস টিকেট
শিলংয়ের পুলিশ বাজারের তিন রাত টুইন শেয়ার বেসিস হোটেলে অবস্থান
রিজার্ভড গাড়িতে সাইটসিয়িং, গাড়ির ধরন: টাটা সুমো (৮/১০ সিট)/ট্যাক্সি (৪ সিট)
খাবার: ভারত ভূখণ্ডে মেনু নির্ধারিত খাবার (সকালের নাস্তা ৩টি, দুপুরের খাবার ৩টি, রাতের খাবার ৩টি)
ট্যুরিস্ট প্লেসে এন্ট্রি টিকেট (অধিকাংশ প্লেসে ঢুকতে টিকেট নিতে হয়)
গাইডের খরচ ও সম্মানী
ড্রাইভারদের খাবার

খরচের অন্তর্ভূক্ত নয়
বাংলাদেশ ভূখণ্ডের খাবার (একটি সকালের নাস্তা একটি দুপুরের খাবার)
টিপস
মেডিক্যাল সার্ভিস
ব্যক্তিগত খরচ
নির্ধারিত সময়ের বেশি বা কম দিন থাকা
অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির খরচ
যা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন খরচ

Dowki-River

ডাউকি নদীর উৎসে যাব প্রথম দিন, স্থানটির নাম শ্নোনেংপেডেং। ছবি: এনামুল হক ও রকিবুল হক রকি।

Dowki

শ্নোনেংপেডেংয়ের  ঝুলন্ত এই ব্রিজটি আপনাকে হারিয়ে নিতে পারে অন্য কোনো জগতে। ছবি: রকিবুল হক রকি।

বুকিংয়ের শেষ তারিখ: আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার।
ব্যুকিংয়ের সময় ১০,০০০/= টাকা পরিশোধ করতে হবে। সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করতে হবে ভিসা কনফর্ম হওয়ার পরে।

ভ্রমণ বাতিল বা ভিসা না হওয়া: ব্যুকিংয়ের পর ভিসা না হলে ভিসা ফি ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ১,৫০০/= টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেয়া হবে। এম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর কেউ ভ্রমণ বাতিল/ তারিখ পরিবর্তন করলে ভিসা ফি, বাস ভাড়া কনফর্মেশন, আনুসঙ্গিক খরচ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬,৬০০/= টাকা কর্তন করা হবে। ভিসা হওয়ার পর ভ্রমণ বাতিল/তারিখ পরিবর্তন করলে ভিসা ফি, বাস ভাড়া কনফর্মেশন, হোটেল বুকিং, আনুসঙ্গিক খরচ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ ৭,৬০০/= টাকা কর্তন করা হবে।

পূর্ব থেকে ভিসা থাকলে: এই রুটে (বাই রোড ডাউকি) পূর্ব থেকে কারো ভিসা থাকলে তিনি মোট মূল্যের ১,০০০/= টাকা ডিসকাউন্ট পাবেন। হরিদাসপুর কিংবা বাই এয়ার কিংবা অন্য রুটে যাদের ভিসা আছে তাঁরাও এই রুটে ট্রাভেল করতে পারবেন। এই রুটের অনুমতিসহ তাঁদের খরচও ১৬,৯৫০/= টাকা।

************************
পরবর্তী গ্রুপ ট্যুর ২০ এপ্রিল ২০১৭। যারা গ্রুপে যেতে পারবেন না তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা।
কমপক্ষে ৮ জন হলে একই খরচে বিশেষ গ্রুপ।
যেকোনো বৃহস্পতিবার গাড়িতে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে ট্যুর।
যোগাযোগ: ০১৬১২ ৩৬০৩৪৮ (মোস্তাফিজুর রহমান)
************************

Living-Root-Bridge

পাহাড়ি নদীতে গাছের শেকড়ের তৈরি সেতু, এশিয়ার পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাউলিনং যেখানে। দেখব প্রথম দিন। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান, এনামুল হক ও রকিবুল হক রকি।

Moulinong

এশিয়ার পরিচ্ছন্নতম গ্রাম মাউলিনং। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: এনামুল হক।

কোথায় কোথায় ঘুরব
Day 01
East Khashi Hill Sightseeing: Shnongpdeng (Dowki River), Burhill Watter Falls (Panthumai), Moulinnong (Asia’s cleanest village), Living Root Bridge.
Day 02
Shillong Sightseeing: Elephant Falls, Don Bosco Musuem, Shillong peak, Lady Hydari Park,  Catheril, Golf Link, Police Bazar.
Day 03
Cherrapunji daylong tour: Mawkdok View Point, Wakaba Falls, Nohka Li Kai Falls, Mawsmai Cave, Ramkrishno Mission, Eco Park, Lew Sohra Market, Nohsngithiang Falls (Seven Sisters Falls), Bangladesh View Point.

dowki-river

বিশাল বিশাল এসব পাথরের পাশ দিয়ে যেতে পারব ডাউকি (উমংগট) নদীর উৎসে। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: রকিবুল হক রকি।

খাবারের মেনু
প্রথম দিন
দুপুরের খাবার: সাদা ভাতা, মাছ, সবজি, ডাল, ফল। স্থান: ডাউকি বাজার/ক্লিন ভিলেজ।
রাতের খাবার: সাদা ভাত/ রুটি, সবজি, মাছ, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।

দ্বিতীয় দিন
সকালের নাস্তা: তেল পুরি (পরাটা), সবজি, ডিম, চা। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
রাতের খাবার: সাদা ভাত, ডিম ভুনা, সবজি, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।

DTC President Mostafizur Rahman on Shillong peak

শিলং পিক-এ ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: হাসানুজ্জামান।

তৃতীয় দিন
সকালের নাস্তা: আলু পরাটা, সস, আচার, চা। স্থান: মাউকডুক ভিউ পয়েন্ট।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, মাছ/ডিম, সবজি, ডাল। স্থান: চেরাপুঞ্জি মাউজমি কেভ।
রাতের খাবার: জিরা ভাত (জিরা দিয়ে ঘিয়ে ভাজা), সবজি, খাসির মাংস, ডাল। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।

চতুর্থ দিন
সকালের নাস্তা: পরাটা (তেল পুরি), সবজি, ডিম, চা। স্থান: ডাউকি বর্ডারে আসার পথের যেকোনো ভালো হোটেল।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
০১. নির্ধারিত খাবার খেতে কারো সমস্যা হলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা পূর্বে জানাতে হবে।
০২. খাবারের মেনু পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবর্তন করার ক্ষমতা টিম লিডারের থাকবে।
০৩. খাবারের মেনু নির্ধারণ করতে টিম লিডারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
০৪. বাংলাদেশের রান্না ও ভারতের রান্না ভিন্ন হওয়ায় খাবার গ্রহণে সমস্যা হতে পারে।
০৫. খাবারের সমালোচনা না করে পরামর্শ কাম্য।
০৬. বিশেষ কোনো খাবার খেতে ইচ্ছা হলে টিম লিডারকে জানাতে হবে।

ভ্রমণ পরিকল্পনা
শূন্য দিন
রাত ১০টা সিলেটের তামাবিলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু।
সারা রাত গাড়িতে অবস্থান।

প্রথম দিন
সকাল ৭টা: তামাবিল ও ডাউকি ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন
বেলা ১১টা: শ্নোনেংপেডেং ভ্রমণ (ডাউকি বর্ডার থেকে সাত কিলোমিটার দূরত্বে, তামাবিলে যে নদীটি (উমংগট) আমরা দেখি সেটির উৎপত্তিস্থলের কাছে।)
বেলা ১টা: বুরহিল ঝরনা। (সিলেটের বিছানাকান্দি ভ্রমণের সময় যে ঝরনাটি আমরা দূর থেকে দেখি এবং পান্থুমাই নামে যেটিকে চিনি।)
বেলা ১টা ৩০ মিনিট: দুপুরের খাবার গ্রহণ। স্থান: ক্লিন ভিলেজ।
বেলা ৩টা ৩০ মিনিট: মাউলিনং ভিলেজ (এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম) ও লিভিং রুট ব্রিজ ভ্রমণ। (পাহাড়ি নদীর উপর গাছের শেকড়ের তৈরি সেতু।)
সন্ধ্যা নাগাদ শিলংয়ের পুলিশ বাজারে পৌঁছা ও রিফ্রেশমেন্ট।
রাত ৯টা: রাতের খাবার গ্রহণ।
রাতে হোটেলে অবস্থান।

Elephant-Falls

শিলংয়ের ঐতিহাসিক এলিফ্যান্ট ফলস। দ্বিতীয় দিন সকালে যাব এখানে। এখান থেকে যাত্রা শুরু হবে গৌহাটির উদ্দেশে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।

দ্বিতীয় দিন
সকাল ৭টা ৩০ মিনিট: সকালের নাস্তা।
সকাল ৮টা: শিলং সাইটসিয়িং। স্থান: এলিফ্যান্ট ফলস, ডন বসকো মিউজিয়াম, লেডি হায়দারি পার্ক, ওয়ার্ডস লেক।
বেলা ২টা: দুপুরের খাবার গ্রহণ। স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
বেলা ৩টা: ব্যক্তিগত সময়, শপিং।
রাত ৯টা: রাতের খাবার।  স্থান: শিলং পুলিশ বাজার।
রাতে হোটেলে অবস্থান।

Mowdok-View-Point

ভ্রমণের তৃতীয় দিন রশিতে ঝুলে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার স্বাদ নেয়া যাবে মাউকডুক ভিউ পয়েন্টে। সকালের নাস্তা হবে এই পয়েন্টে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান, এনামুল হক ও রকিবুল হক রকি।

mousmi-cave

১৫০ মিটার দীর্ঘ মাউজমি কেভ। তৃতীয় দিন যাব এখানে। ছবি: সাইফুদ্দিন ডালিম।

তৃতীয় দিন
সকাল ৭টা: চেরাপুঞ্জির উদ্দেশে যাত্রা শুরু। পথে মাউকডুক ভিউ পয়েন্টে সকালের নাস্তা।
চেরাপুঞ্জি সাইটসিয়িং। স্থান: মাউকডুক ভিউ পয়েন্ট, ওয়াকাবা ফলস, রামকৃষ্ণ মিশন, নোহকা লি কাই ফলস, মাউজমি কেভ, সেভেন সিস্টার্স ফলস।
চেরাপুঞ্জি মাউজমি কেভ এলাকায় দুপুরের খাবার গ্রহণ।
সন্ধ্যা ৬টা: শিলংয়ের হোটেলে পৌঁছানো।
রাত ৮টা: রাতের খাবার গ্রহণ।
রাতে হোটেলে অবস্থান।

চতুর্থ দিন
সকাল ৬টা ৩০ মিনিট: ডাউকি বর্ডারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু। পথে সকালের নাস্তা।
সকাল ৯টা: ডাউকি ও তামাবিল বর্ডারের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা।
ইমিগ্রেশন শেষে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা।
দুপুরের খাবার নিজ ব্যবস্থাপনায় গ্রহণ।
রাত ৮টা: ঢাকায় পৌঁছা ও ট্যুরের সমাপ্তি।

Cherrapunji

শিলং-চেরাপুঞ্জির পুরো পথেই একটু পর পর মেঘ আপনার সাথে খেলা করতে আসবে। ওয়াকাবা ফলসের এই জায়গাটিতে যাব তৃতীয় দিন। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।

হোটেল
০১. রুম খালি থাকা সাপেক্ষে হোটেল রেইনবো শিলং অথবা জারা রেসিডেন্সি অথবা পাইন ব্রোগ অথবা এলগিন অথবা সমমান।
০২. প্রতি রুমে দুইজন।
০৩. ফেমিলি রুমে ৩-৭ জন।
০৪. শিলংয়ের আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় কোনো রুমে এসির প্রয়োজন নেই।
০৫. হোটেলের অবস্থান শিলংয়ের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুলিশ বাজারে।

Noh Ka Likai Falls

বিশ্বের চতুর্থ ঊঁচু নোহকা লি কাই ফলস। তৃতীয় দিন যাব এখানে। ছবি: সংগ্রহ।

ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে
০১. ছয়মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট। একাধিক/পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটিও জমা দিতে হবে।
০২. ভিসাসহ (যদি থাকে) পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি।
০৩. দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।
০৪. তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ব্যালান্স কমপক্ষে ২০,০০০/= টাকা। ব্যাংক হিসাব না থাকলে ২০০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট অথবা এন্ডার্সমেন্টর জন্য অতিরিক্ত ৮০০ টাকা।
০৫. বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিতকরণের জন্য ইলেক্ট্রিক বিলের মূল ও ফটোকপি।
০৬. ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
০৬. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি। লিমিটেড কোম্পানি হলে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামের ফটোকপি। ব্লাঙ্ক বিজনেস প্যাড। (ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে)।
০৭. নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের মূল কপি (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
০৮. ভিজিটিং কার্ড।
০৯. অফিস আইডি কার্ড (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
১০. স্টুডেন্ট আইডি কার্ড (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।

mousmi-cave

মাউজমি কেভের পাশে ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাবের কয়েকজন ট্রাভেলার। ছবি: ফারুক হোসাইন।

সাথে যা বহন করতে হবে
০১. শিলং ও চেরাপুঞ্জি ঢাকার চেয়ে ঠাণ্ডা হওয়ায় হালকা ও ভারি শীতের কাপড়।
০২. বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা/ রেইনকোট।
০৩. পাহাড়ি পথে হাটার জন্য কেডস।
০৪. রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
০৫. বাইনোকুলার, ক্যামেরা।
০৬. টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, তাওয়েল, স্লিপার।
০৭. জরুরি ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

Seven-Sisters-Falls

সেভেন সিস্টারস ফলস। তৃতীয় দিনের শেষ গন্তব্য এটি। ছবি: সংগ্রহ।

ভ্রমণকে উপভোগ করুন, অবশ্যই মনে রাখবেন
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সহনশীল ও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। পুরুষ-মহিলা/ ছেলে-মেয়ে যে কেউ এই ট্যুরে যেতে পারবে।

যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।

Responsibility
We will be responsible for operation of the tours and excursions as mentioned in our brochure under the normal situation. So, for personal accident, sickness or loss of baggage during the tour, any political problem resulting in unusual situation to conduct a tour etc. we will not be responsible. However, we will try to extend all possible assistance to overcome such problems. But the guest must pay any extra cost incurred due to such p roblems.
We reserve the right to withdraw or amend any tour should condition warrant such action. In such a condition, any participant unable to avail the changed schedule is entitled to take his/her money refunded.
During visiting days all members must be maintaining by their leaders. We reserve the rights to accept or refuse any participant as a member of the tour.

nohka-li-kai-falls

সেভেন সিস্টার্স ফলসের সামনে আমরা।

আরো আকর্ষণ
২৩-২৫ ডিসেম্বর বড় দিনের বন্ধে বান্দরবানে তিন দিনের ট্যুর, জনপ্রতি খরচ ৬,৫০০/= টাকা।
৫-৮ জানুয়ারি সুন্দরবন ট্যুর, জনপ্রতি খরচ ১০,৫০০/= টাকা থেকে শুরু।
২৭-২৯ জানুয়ারি সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার ট্যুর, জনপ্রতি খরচ ৭,৫০০/= টাকা।
১৯-২৪ জানুয়ারি দিল্লি-আগ্রা ট্যুর।
জানুয়ারিতে গ্রুপ ওমরাহ, জনপ্রতি খরচ ১,২৫,০০০/= টাকা।

burhil

বুরহিল ঝরনাকে পেছনে রেখে ফারুক হোসাইনের ক্যামরায় তোলা ছবি। সিলেটের বিছানাকান্দি গেলে এই ঝরনাটিকে আমরা পান্থুমাই বলি। আসলে পান্থুমাই নামে কোনো ঝরনা নেই। পান্থুমাই একটি গ্রামের নাম। এখানে নামার পর কারোই মনে হয়নি আমরা ক্ষুধার্ত।

যোগাযোগ
ঢাকা ট্যুরিস্ট ক্লাব
১৮০-১৮১, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণী (অষ্টম তলা) বিজয় নগর, ঢাকা- ১০০০।
মোবাইল: ০১৬১২৩৬০৩৪৮ (মোস্তাফিজুর রহমান)
ওয়েবসাইট: dhakatouristclub.com
ই-মেইল: dhakatouristclub@gmail.com
ফেসবুক পেজ: facebook.com/dhakatouristclub
ফেসবুক গ্রুপ: facebook.com/groups/dhakatouristclub

cover-photo

ভ্রমণের সম্ভাব্য তারিখ ১০-১২ মার্চ ২০১৬। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৬১২৩৬০৩৪৮ এই নম্বরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *