প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিকের ভূগোল বইয়ের একটি সাধারণ প্রশ্ন-পৃথিবীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কোথায়?
উত্তর-ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে। এটুকু পর্যন্ত মোটামুটি সবার জানা। তবে অনেকেই জানেন না এই চেরাপুঞ্জি বাংলাদেশ থেকে কতদূর। ম্যাপ বের করে হিসাব-নিকাশ করে দেখবেন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চেরাপুঞ্জি সোজাসুজি কুড়ি কিলোমিটারেরও কম। বাড়ির পাশেই বিশ্বের বৃষ্টিবহুল এই এলাকা, সেখানে ভ্রমণ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
ছোটবেলায় জাফলংয়ে যখন ঘুরতে যেতাম তখন দেখতাম দুটি পাহাড়ের মিলন ঘটিয়েছে একটি সুন্দর ব্রিজ। মা-বাবা দেখিয়ে বলতেন সামনেই ভারত। আবার বিছানাকান্দিতে গিয়ে দেখলাম দুরে একটি অসাধারণ ঝরনা কিন্তু কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। খুব খারাপ লেগেছিল। এত সুন্দর দৃশ্য তা কেন ভারতে পড়ল। তখন মনে মনে ভেবেছিলাম একদিন না একদিন আমি ওই ব্রিজ আর ঝরনায় যাবই।
এবার সেই স্বপ্ন পুরণের পালা। গন্তব্য মেঘের আলয়-মেঘালয়ের রাজধানী শিলং আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের চেরাপুঞ্জি। সম্ভাব্য স্পটগুলো হচ্ছে: Nohsngithiang Falls (Seven Sisters Falls), Eco Park, Nohka Li Kai Falls, Ramkrishno Mission, Dain Thlen Falls, Mawsmai Cave, Thangkarang Park, Maw Trop, Bangladesh View Point, Wakaba Falls, Mawkdok View Point. আরো আছে: Shnongpdeng, Umngot (Dowki River), Burhill Water Falls (Panthumai), Moulinnong (Asia’s cleanest village), Living Root Bridge, Elephant Falls.
ভ্রমণ শুরু: ০১ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, রাত ১০টা। ভ্রমণ সমাপ্তি: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার, রাত ১০টা।

ঢাকা ট্যুরিস্টের ব্যবস্থাপনায় ওয়াকাবা ফলসের সামনে ভিশন গ্রুপের শিলং-চেরাপুঞ্জি ট্যুর। ছবি: রাকিবুল হক রাকিব।
ট্রাভেল রুট: ঢাকা > তামাবিল > ডাউকি > শ্নোনেংপেডেং > বুরহিল > লিভিং রুট ব্রিজ > মাউলিনং > শিলং > চেরাপুঞ্জি > ডাউকি > তামাবিল > ঢাকা।
ইভেন্ট খরচ জনপ্রতি: ০১. স্টান্ডার্ড প্যাকেজ: এডাল্ট ১৬,৯৫০ টাকা, তিন বছরের নিচে ৭,৫০০ টাকা, ১০ বছরের নিচে ১৩,০০০ টাকা। ০২. এক্সিকিউটিভ প্যাকেজ: এডাল্ট ২০,৯৫০ টাকা, তিন বছরের নিচে ৭,৫০০ টাকা, ১০ বছরের নিচে ১৭,০০০ টাকা।
খরচের অন্তর্ভূক্ত: ভিসা প্রসেসিং, ভিসা ফি, ট্রাভেল ট্যাক্স, ঢাকা-তামাবিল-ঢাকা এসি গাড়িতে যাতায়াত, রিজার্ভড গাড়িতে সাইটসিয়িং (নন এসি), শিলংয়ের পুলিশ বাজারে তিন রাত হোটেলে অবস্থান। খাবার: মেনু নির্ধারিত খাবার (সকালের নাস্তা ৩টি, দুপুরের খাবার ৪টি, রাতের খাবার ৩টি)। ট্যুরিস্ট প্লেসে এন্ট্রি টিকেট। গাড়ি পার্কিং। ড্রাইভারের খাবার। গাইড সম্মানী।
খরচের অন্তর্ভূক্ত নয়: টিপস, মেডিক্যাল সার্ভিস, ব্যক্তিগত খরচ। বাংলাদেশ অংশের খাবার। নির্ধারিত সময়ের বেশি বা কম দিন থাকা। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির খরচ। যা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি এমন খরচ।
চাইল্ড পলিসি: তিন বছরের নিচের বাচ্চা হোটেলে বেড, খাবার ও গাড়িতে সিট পাবে না। ১০ বছরের নিচের বাচ্চা হোটেলে বেড ছাড়া সব পাবে।
বুকিং মানি: জনপ্রতি ১০,০০০ টাকা। বুকিংয়ের শেষ তারিখ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
ভিসা: ভিসা সংগ্রহের জন্য এম্বাসিতে যেতে হবে না। ভারত ভ্রমণের জন্য এই রুটের ভিসা দিয়ে বাই এয়ার, বাই রোড হরিদাসপুর ও গেদে (বাই ট্রেন) রুট ব্যবহার করা যাবে।
অন্য রুটের ভিসা: অন্য রুটের ভিসা থাকলেও এই ট্যুরে যাওয়া যাবে। শর্ত হচ্ছে আগের রুটে কমপক্ষে একবার ভ্রমণ করতে হবে। রুট পারমিটের জন্য প্রসেসিং আমরা করব। এজন্য এম্বাসিতে যেতে হবে না এবং কোনো অতিরিক্ত ফি লাগবে না।
যারা বিশেষ এই গ্রুপে যেতে পারবেন না তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। কমপক্ষে ৪ জন হলে প্যাকেজ ট্যুর।
কর্পোরেট ট্যুর ও কাস্টমাইজ ট্যুর আলোচনা সাপেক্ষে। মেঘালয় ভ্রমণ ৯,৯৯৯/= টাকা থেকে শুরু।
শিলং-চেরাপুঞ্জিতে আমাদের আরো কয়েকটি ট্যুরের ছবি

শ্নোনেংপেডেং গ্রামে উমগট নদীতে লায়ন্স ক্লাবকে সাথে নিয়ে ঢাকা ট্যুরিস্টের শিলং-চেরাপুঞ্জি ট্যুর। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।

চেরাপুঞ্জির থাংকারাং পার্কের সামনে ঢাকা ট্যুরিস্টের ট্রাভেলাররা। তৃতীয় দিন যাব এখানে।

ইন্ট্রাকো ডিজাইনের কর্মীদের সাথে নিয়ে ঢাকা ট্যুরিস্টের শিলং-চেরাপুঞ্জি ট্যুর। ছবি: হাসানুজ্জামান।

এবারের ঈদে Catheril Catholic Church-এর সামনে ছবিটি তুলেছেন বাবলু হোসাইন। দ্বিতীয় দিনের ভ্রমণ তালিকায় এই জায়গাটি।

বুরহিল ঝরনাকে পেছনে রেখে ফারুক হোসাইনের ক্যামরায় তোলা ছবি। সিলেটের বিছানাকান্দি গেলে এই ঝরনাটিকে আমরা পান্থুমাই বলি। আসলে পান্থুমাই নামে কোনো ঝরনা নেই। পান্থুমাই একটি গ্রামের নাম। এখানে নামার পর কারোই মনে হয়নি আমরা ক্ষুধার্ত। প্রথম দিনের দ্বিতীয় স্পট এটি।

চেরাপুঞ্জির ওয়াকাবা ফলসের সামনে ঢাকা ট্যুরিস্টের ট্রাভেলাররা। যেখানে মেঘ প্রতিনিয়ত আসে খেলা করতে। এখানে যাব তৃতীয় দিন। ছবি: নিলয় মামুন।

মেঘ পাহাড় আর ঝরনাকে সাথে নিয়ে এই ছবিটি তুলেছেন চ্যানেল আই-এর বিজ্ঞাপনী সংস্থা পজেটিভ আই-এর রকিকুল হক রকি।

ঢাকা ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের সেলফি। চেরাপুঞ্জির ওয়াকাবা ফলস এলাকা। যেখানে মেঘের নানা ধরনের মুভমেন্ট দেখা যায়।

টিম লিডার মোস্তাফিজুর রহমান। চেরাপুঞ্জির দেইন তালেন ফলসের উপর থেকে ছবিটি তুলেছেন বাবলু হোসাইন। বর্ষায় এই ঝরনাটি দেড় কিলোমিটারেরও বেশি প্রশস্ত হয়। এজন্য ঝরনাটিকে স্থানীয়রা নায়গ্রার সাথে তুলনা করেন। তৃতীয় দিন যাব এখানে।

কেউ বলেন মসুমাই কেভ কেউ মাউজমাই। চেরাপুঞ্জির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই গুহাটি। ভিশন গ্রুপের ট্যুরের একটি বিশেষ মুহূর্ত। তৃতীয় দিন যাব এখানে। ছবি: ঢাকা ট্যুরিস্ট
সম্ভাব্য স্পট
Day 01: Shnongpdeng, Umngot (Dowki River), Dawki River (Jaflong), Burhill Water Falls (Panthumai), Moulinnong (Asia’s cleanest village), Living Root Bridge.
Day 02: Umium Lake (Barapani Lake), Elephant Falls, Catheril Catholic Church, Golf Link, Madina Mosque (Green Mosque), Police Bazar.
Day 03: Mawkdok View Point, Wakaba Falls, Dain Thlen Falls, Eco Park, Ramkrishno Mission, Nohka Li Kai Falls, Mawsmai Cave, Nohsngithiang Falls (Seven Sisters Falls), Thangkarang Park, Maw Trop, Bangladesh View Point.

সপরিবারে ডিবিসি নিউজের নিউজরুম এডিটর অমিতাভ রহমান। পিবজার ফেমিলি ডে’র র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার জিতে গিয়েছিলেন চেরাপুঞ্জি ভ্রমণে। ঝরনাটির দেখা মিলবে বুরহিল যাওয়ার পথে ভ্রমণের প্রথম দিন।
শিলং, চেরাপুঞ্জি সম্পর্কে আরো জানুন নিচের লেখাগুলোয় ক্লিক করে:
চেরাপুঞ্জি, শিলং, মেঘালয় ভ্রমণ
এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং
বৃষ্টিভেজা চেরাপুঞ্জি
সাত বোনের কমলা দ্বীপ
হাতি ঝরনা মেঘালয়
মেঘের আলয় মেঘালয়
মেঘের ওপাশে ঝরনা
বৃষ্টির ভিতর চেরাপুঞ্জি

বুরহিল। আমরা যাকে পান্থুমাই নামে চিনি। বিছানাকান্দি গিয়ে এটি দেখি। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।

ডাউকি নদীর উৎসে যাব প্রথম দিন, স্থানটির নাম শ্নোনেংপেডেং। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: এনামুল হক ও রকিবুল হক রকি।
ভ্রমণ পরিকল্পনা
শূন্য দিন: রাত ১০টায় ঢাকার আরামবাগ/কমলাপুর থেকে সিলেটের তামাবিলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু। সারা রাত গাড়িতে অবস্থান।
প্রথম দিন
সকালে সিলেটে নাস্তা গ্রহণ। সিলেটে সামান্য যাত্রাবিরতি দিয়ে তামাবিলের উদ্দেশে যাত্রা এবং তামাবিল ও ডাউকিতে ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করা। ইমিগ্রেশনের পর শ্নোনেংপেডেং গ্রাম ও উমগট নদী ভ্রমণ। ডাউকি নদীর তিনটি উৎস দেখা যাবে এখানে। স্থানীয়ভাবে এই নদীর নাম উম গট। নদীর উপর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। সেটিতে উঠা যাবে। ব্রিজ থেকে নদীর দুটি উৎস দেখা যায়। নদীতে নামা যাবে। এমনকি গোছল করা যাবে, সাঁতারও কাটা যাবে। এরপর বুরহিল ঝরনার উদ্দেশে রওয়ানা দেব। সিলেটের বিছানাকান্দি ভ্রমণের সময় যে ঝরনাটি আমরা দূর থেকে দেখি এবং পান্থুমাই নামে যেটিকে চিনি ভারতে সেটিই বুরহিল ঝরনা। ব্রিজের উপর ও পাশ থেকে ঝরনাটি দেখা যাবে ও ছবি তোলা যাবে। এরপর যাব মাউলিনং ভিলেজ (এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম) ও লিভিং রুট ব্রিজ ভ্রমণ (পাহাড়ি নদীর উপর গাছের শেকড়ের তৈরি সেতু)। পথে ডাউকি বাজার অথবা মাউলিনংয়ে হবে দুপুরের খাবার। বিকেল/সন্ধ্যায় শিলংয়ের পুলিশ বাজারে পৌঁছা, হোটেলে রুম বরাদ্দ ও রিফ্রেশমেন্ট। রাত সাড়ে ৯টা: রাতের খাবার গ্রহণ। রাতে হোটেলে অবস্থান।

ভাবুনতো আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন তার উপর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, পাশ থেকে বৃষ্টির ফোটা তৈরি হচ্ছে, বৃষ্টির মেঘ আপনার নিচেও!! এই অনুভুতি চেরাপুঞ্জিতে পাওয়া সম্ভব। এমনই আবহাওয়ায় দেইন তালেন ফলস এলাকা থেকে ছবিটি তুলেছেন বাবলু হোসাইন। বাংলাদেশের কোনো অপারেটরের প্যাকেজে এই স্পটটি নেই। আমরা এখানে যাব তৃতীয় দিন।
দ্বিতীয় দিন
সকালের নাস্তা গ্রহণ শেষে সকাল ৮টায় শিলং সাইটসিয়িং। সম্ভব্য স্পট: উমিয়াম লেক (বড়াপানি লেক), এলিফ্যান্ট ফলস, ক্যাথরিল চার্চ, গালফ লিঙ্ক, মদীনা মসজিদে, পুলিশ বাজার। দুপুরের খাবার শেষে পুলিশ বাজারে শপিং ও ব্যক্তিগত সময়। রাত সাড়ে ৮টায় রাতের খাবার গ্রহণ। রাতে হোটেলে অবস্থান।
তৃতীয় দিন
সকাল সাড়ে ৭টা: সকালের নাস্তা গ্রহণ।সকাল ৮টা: চেরাপুঞ্জি সাইটসিয়িং। সম্ভাব্য স্পট: মাউকডুক ভিউ পয়েন্ট, ওয়াকাবা ফলস, দেইন তালেং ফলস, ইকো পার্ক, রামকৃষ্ণ মিশন, নোহকা লি কাই ফলস, মাউজমি কেভ, সেভেন সিস্টার্স ফলস, থাংকারাং পার্ক, মট ট্রপ, বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট। ইকো পার্কে দুপুরের খাবার গ্রহণ। বিকেলে সেভেন সিস্টার্স ফলস ভিউ ইন হোটেলে চা-বিস্কুট খেয়ে শিলংয়ের উদ্দেশে রওয়ানা। রাত সাড়ে ৮টায় রাতের খাবার গ্রহণ। রাতে হোটেলে অবস্থান।
চতুর্থ দিন
সকালের নাস্তা গ্রহণ শেষে ডাউকির উদ্দেশে শিলং ত্যাগ। ডাউকি ও তামাবিল বর্ডারের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা। ইমিগ্রেশন শেষে সিলেট হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা। পথে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী পানসী হোটেল থেকে আনা দুপুরের খাবার গ্রহণ (প্যাকেট)। রাতে গাড়ি ঢাকায় পৌঁছার পর ট্যুরের সমাপ্তি।

পাহাড়ি নদীতে গাছের শেকড়ের তৈরি সেতু, এশিয়ার পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাউলিনং যেখানে। দেখব প্রথম দিন। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান, এনামুল হক ও রকিবুল হক রকি।

এশিয়ার পরিচ্ছন্নতম গ্রাম মাউলিনং। প্রথম দিন যাব এখানে। ছবি: এনামুল হক।

এলিফ্যান্ট ফলস, দ্বিতীয় দিনের ভ্রমণ তালিকায় ঐতিহাসিক এই ঝরনাটি। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।
হোটেল
সাধারণ প্যাকেজ: হোটেল রেইনবো শিলং/ হোটেল শেরিন অথবা/এবং সমমান। এক্সিকিউটিভ প্যাকেজ: হোটেল দ্য সাদ/ পেগাসাস ক্রাউন অথবা/এবং সমমান।
প্রতি দুই বেডের রুমে দুইজন, তিন বেডের রুমে তিনজন ও চার বেডের রুমে চারজন করে থাকবেন।
প্রতিটি রুমে এটাচড বাথ ও গরম পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
হোটেলে পৌঁছার পর অফিসয়াল আনুষ্ঠানিকতার কারণে রুম বরাদ্দে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এজন্য রিসিপশনে অপেক্ষা করতে হবে।
হোটেলে সবাইকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
চেরাপুঞ্জি ও শিলংয়ের আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকায় কোনো রুমে এসির প্রয়োজন নেই।

হোটেল রেইনবো। শিলংয়ে আমাদের থাকার জায়গা।

বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট। আমাদের কাছে এটি অবাক মনে হতে পারে। কিন্তু এরকম অনেকগুলো ভিউ পয়েন্ট রয়েছে মেঘালয় জুড়ে। ছবিটি মাউলিনং ভিলেজ থেকে তুলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সাথে যা বহন করতে হবে
০১. শিলং ও চেরাপুঞ্জি ঢাকার চেয়ে ঠাণ্ডা হওয়ায় হালকা ও ভারি শীতের কাপড়।
০২. বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে ছাতা/ রেইনকোট।
০৩. পাহাড়ি পথে হাটার জন্য কেডস।
০৪. রোদ থেকে নিরাপদ থাকতে সানগ্লাস, সানক্যাপ।
০৫. বাইনোকুলার, ক্যামেরা।
০৬. টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, তাওয়েল, স্লিপার।
০৭. জরুরি ওষুধ। ফার্স্ট এইড ব্যান্ডেজ।

চেরাপুঞ্জির দেইন তালেং ফলস। বর্ষার সময় অনেকে এই ঝরনাটিকে নায়াগ্রার সাথে তুলনা করেন। তৃতীয় দিন বিশাল এই ঝরনাটি দেখব এর উপর থেকে। ছবি: সংগ্রহ।

গ্রুপ ট্যুরে খাবার নিয়ে অভিযোগ থাকে সবচেয়ে বেশি। আমরা চেষ্টা করি মানসম্মত ও হালাল খাবার পরিবেশন করতে। ছবিটি চেরাপুঞ্জির নীলগিরী হোটেল থেকে তুলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

মাউলিনংয়ের একটি হোটেল। প্রথম দিন সাধারণত এখানে আমরা দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করি। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান।
খাবারের মেনু
আমরা চেষ্টা করি মানসম্মত ও হালাল খাবার পরিবেশন করতে।
প্রথম দিন
দুপুরের খাবার: সাদা ভাতা, মাছ, সবজি, ডাল (মাউলনং/ডাউকি বাজার)।
রাতের খাবার: সাদা ভাত/ রুটি, সবজি, রুই মাছ, ডাল।
দ্বিতীয় দিন
সকালের নাস্তা: তেল পুরি (পরাটা), সবজি, ডিম, চা (পুলিশ বাজার)।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল (পুলিশ বাজার)।
রাতের খাবার: সাদা ভাত, খাসির মাংস, সবজি, ডাল (পুলিশ বাজার)।
তৃতীয় দিন
সকালের নাস্তা: আলু পরাটা, ডিম মামলেট, সস, আচার, চা (পুলিশ বাজার)।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত, মুরগির মাংস/ মাছ/ ডিম, সবজি, ডাল (চেরাপুঞ্জি ইকো পার্ক)।
রাতের খাবার: মাটন বিরিয়ানি (পুলিশ বাজার)।
চতুর্থ দিন
সকালের নাস্তা: স্ট্রিট ফুড।
দুপুরের খাবার: চিকেন বিরিয়ানী (তামাবিল বর্ডারে সিলেটের পানসী হোটেল থেকে আনা)।

মাউজমি কেভের পাশে ঢাকা ট্যুরিস্টের কয়েকজন ট্রাভেলার। তৃতীয় দিন যাব এখানে। ছবি: ফারুক হোসাইন।

মাউজমি কেভ। এখানেও যাব তৃতীয় দিন। ছবি: সোহেল আহমেদ।
ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে
০১. ছয়মাসের মেয়াদসহ পাসপোর্ট। একাধিক/পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটিও জমা দিতে হবে।
০২. ভিসাসহ (যদি থাকে) পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠার ফটোকপি।
০৩. দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাইজের ল্যাব প্রিন্ট ছবি, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।
০৪. তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ব্যালান্স কমপক্ষে ২০,০০০/= টাকা। ব্যাংক হিসাব না থাকলে ২০০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট।
০৫. বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিতকরণের জন্য ইলেক্ট্রিক বিলের মূল ও ফটোকপি।
০৬. ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
০৬. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি। লিমিটেড কোম্পানি হলে আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডামের ফটোকপি। (ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে)।
০৭. নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের মূল কপি (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
০৮. ভিজিটিং কার্ড।
০৯. অফিস আইডি কার্ড (চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে)।
১০. স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ও সর্বশেষ বেতন পরিশোধের রশিদ (ছাত্রদের ক্ষেত্রে)।

নোহকা লি কাই ফলস। বিশ্বের চতুর্থ ঊঁচু (১,১১৫ ফুট উঁচু) এই ঝরনাটি দেখতে যাব তৃতীয় দিন। ছবি: সংগ্রহ।
নির্দেশিকা
গাড়ি ছাড়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে।
ভ্রমণে কষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য প্রত্যেককে প্রত্যেকের সহযোগিতা করতে হবে।
অবশ্যই গ্রুপ লিডারের নির্দেশ ও শিডিউল মানতে হবে। কোনোভাবেও গ্রুপ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কিছু কোনোভাবেই করা যাবে না (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)।
অতিরিক্ত দু:সাহসিকতা দেখানো যাবে না।
এটি একটি পারিবারিক ট্যুর। সবাইকে পারিবারিক সম্মান বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
শিডিউল রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। কিন্তু গ্রুপ ট্যুরে অধিকাংশ সময় শিডিউল রক্ষা সম্ভব হয় না। এজন্য সবার সহযোগিতা কাম্য।

উমিয়াম লেক। শিলংয়ের সবচেয়ে বেশি পানির লেক হওয়ায় স্থানীয়রা একে বলেন বড়াপানি লেক। দ্বিতীয় দিন যাব এখানে। ছবি: নাহিদ আনজুমান
Responsibility
We will be responsible for operation of the tours and excursions as mentioned in our brochure under the normal situation. So, for personal accident, sickness or loss of baggage during the tour, any political problem resulting in unusual situation to conduct a tour etc. we will not be responsible. However, we will try to extend all possible assistance to overcome such problems. But the guest must pay any extra cost incurred due to such problems.
We reserve the right to withdraw or amend any tour should condition warrant such action. In such a condition, any participant unable to avail the changed schedule is entitled to take his/her money refunded.
During visiting days all members must be maintaining by their leaders. We reserve the rights to accept or refuse any participant as a member of the tour.
যেকোনো সময়ে ট্যুরের যেকোনো বিষয় পরিবর্তন হতে পারে। যেকোনো বিষয়ে টিম লিডারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

টিম লিডার মোস্তাফিজুর রহমান। লিভিং রুট ব্রিজের পাশের সড়ক থেকে ছবিটি নিয়েছেন নাহিদ আনজুমান।
নিয়মিত চোখ রাখুন:
ওয়েব সাইট: dhakatourist.com, dhakatouristclub.com
ফেইসবুক পেজ: facebook.com/dhakatourist
ফেইসবুক গ্রুপ: facebook.com/groups/dhakatouristclub
যোগাযোগের ঠিকানা: ১৮০-১৮১, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণী (নবম তলা), বিজয় নগর, ঢাকা- ১০০০। মোবাইল: ০১৬১২৩৬০৩৪৮। ই-মেইল: dhakatourist@gmail.com

For details please call 01612360348
Pingback: বাই রোড ভুটান, ৬ দিন ৭ রাত, জনপ্রতি ২০,০০০ টাকা | Dhaka Tourist Club
Pingback: কক্সবাজার-টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ ট্যুর | Dhaka Tourist Club
Pingback: বাই এয়ার ভুটান ৪ দিন ৩ রাত, জনপ্রতি ৩৯,৯৫০ টাকা | Dhaka Tourist Club